সখিপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি ঃ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সখিপুর থানায় দালালী করে হুরমুজ আলী কোটিপতি হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়। যার নোন আনতে পান্তা ফুরাত তার বর্তমানে সখিপুর বাজারে চারতলা বিল্ডিং, আলিশান বাড়ী বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। দালাল হুরমুজের দাপটে এলাকাবাসী তটস্থ। সখিপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডে হুরমুজ থানায় দালালী করে মাদক, নারী, জমির ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। থানার দালাল হুরমুজের অত্যাচার নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে সাংবাদিকও বাদ পড়েনি। অর্ধশিক্ষিত হুরমুজ আলী দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সখিপুর থানার ওসি এস.আই দের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিভিন্ন ফার্নিচার উপহার দিয়ে। সখ্যতার সুযোগে কন্ট্রাকে এলাকার লোকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করে বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছে। তার আয়ের সাথে সম্পত্তির হিসাব মেলাতে গেলে অনেক অসংগতি লক্ষ্য করা যাবে। থানায় দালালী করে হুরমুজ আলী আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। থানার দালাল মাদক সম্রাট হুরমুজের বাড়ী সখিপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে পিতা মৃত সবুর আলী। তার এই অবৈধ আয়ের উৎস কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হুরমুজ আলীর অবৈধ সহায় সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে সখিপুর বাজারের প্রানকেন্দ্রে চার তলা বিল্ডিং ৪নং ওয়ার্ডে জমি জমা। আলিশান বাড়ী ৫নং ওয়ার্ডে স.মিল, অবৈধ কাঠের ব্যবসা, নওশিন এন্টার প্রাইজ সহ নামে বেনামে সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। অত্যন্ত ধূর্ত হরমুজ অন্য জমির দাগ দেখিয়ে খারিজ দাখিল করে খাস জমিতে স’ মিল স্থাপন করেছে। সে তার নিজের মেয়েকে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে,অবশেষে বিএনপি নেতার ভাগ্নে শাহিনের সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন হরমুজ শাহীনকে দিয়ে উপজেলা রোডের মাথায় অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ সহায় সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে সে সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে মেয়ে বিবাহ অথবা ভাতিজা, ভাতিজী ছেলের বিবাহ দিয়ে আত্মীয়তার সর্ম্পক গড়ে তুলে। ফলে দীর্ঘ একযুগের ও বেশী সময় থানায় দালালী করে ও সকলের ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। আর এসব কাজে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে থাকে হুরমুজের চাচাত ভাই হলুদ সাংবাদিক চাঁদাবাজ শাকিল আনোয়ার। দালাল হুরমুজের সম্পত্তির সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবী করেছেন ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী।