দেখার যেন কেউ নেই তুরাগে প্রশাসনের সেল্টারে চলছে অবৈধ চোরাই তেল রমরমা বানিজ্য

0
735

জেমস এ কে হামীমঃ
রাজধানীর তুরাগে রাস্তার পাশে চোরাই তেল সিন্ডিকেট এক রকমের পেশায় পরিনত হয়েছে। এরা সরাসরি গাড়ী থেকে জ্বালানি তেল অকটেন ও ডিজেল তৈল রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এভাবেই বের করে থাকে। তাদের হিসাব আবার অন্যরকম তা হলো লিটারে দুই লিটার যার মূল্য প্রায় তিনের একাংশ টাকা পেয়ে থাকে গাড়ীর ড্রাইভার। তবে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তার কোন ভাবে প্রতিকার হয়নী যা প্রতিদিন প্রকাশে দেখা যায়। সরে জমিনে ঘুরে দেখাযায় পুলিশের তিনটি টিমকে টাকা দিয়ে থাকে বলে জানতে পারাযায়। শুধু তাই নয় থানায় রয়েছে তাদের মাসিক মাসহারা দিয়ে থাকে তারা। সাংবাদকর্মী নিকট কিছু প্রত্যক্ষদর্শিরা এমন কথাও বলে থাকে তুরাগ থানার মোট ২৬টিরও বেশি রয়েছে তেলের স্পট। এই স্পট টাকা কি শুধু থানার পুলিশ খায় নাকি অন্য কেউও পেয়ে থাকে টাকা?

তেমনি একজন চোরাই জ্বালানি তৈল ব্যবসায়ি শাহে আলম (৪৫) পিতা মৃত মোকারম আলী, মাতা রাবেয় খাতুন তার স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম রাজেন্দ্রপুর পোষ্ট বাংলাবাজার ইউপি ৩নং দুর্গাপুর থানা কোতায়াল জেলা কুমিল্লা। যার প্রথম তেল ব্যবসা শুরু উত্তরা পূর্ব থানা থেকে। বেশ কিছু দিন উত্তরা পশ্চিম থানার রাজউকের একটি পরিত্যাক্ত প্লটে করতেন এরপর পশ্চিম থানার ওসি সেখান থেকে স্পট রাখতে দেয় বর্তমানে তিনি তুরাগ থানার ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে প্রায় দুইশত গজ দুরে বস্তির লেক পাশে করে থাকেন। তার এই চোরাই ব্যবসা সিন্ডিকেটের পিছনে ছিলো একটি অসাধু ব্যক্তিদের হাত যা সব সময় ছিলো। তার এই চোরাই তেল ব্যবহার করতেন পূর্ব থানায় থাকা কালীন বিএনপি ও জামায়েত শিবির হরতাল সমর্থকগন। বিএনপির অনেক নেতা কর্মীরা গাড়ী পোড়ানোর জন্য নিয়েছে বলে জানতে পারাযায়। তার সহযোগী কর্মকর্তা ওলী উল্যা ওলীর কাছে, আর শাহে আলম কথায় কথায় বাক্য হলো। আমি ওসি, ডিসিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকি। আমার ব্যবসা কেউ ঠেকাতে পারবে না । তার এই চোরাই তেলের দোকান কেউ সরাতে পারবে না। যার কারনে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপর করে রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ চোরাই তেলের ব্যবসা। শুধু শাহে আলম নয় তার মতই রয়েছে আরেক জন অবৈধ চোরাই তেলের ব্যবসা। তুরাগ থানাধীন ধউর সরকার বাড়ী সংলগ্ন রুবেলের অবৈধ চোরাই তেলের দোকান যার প্রকাশে রাস্তার পাশে গাড়ী থেকে তৈল নেওয়ার ছবি প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে এবং সেই সাথে ছবিটিও প্রতিবেদনের সাথে তুলে ধরা হলো। এ ব্যাপারে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাথে মুঠো ফোনে বারা বার কথা বলার চেষ্ঠা করলেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + 18 =