লাইসেন্স বিহীন আদম ব্যবসা জমজমাট

0
1004

বগুড়া সংবাদাতাঃ “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাভেলস্ এজেন্সী নামক সাইড বোর্ড ঝুলিয়ে বিদেশ জনশক্তি রপ্তানির নাম করে বিদেশগ্রামী শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীগণ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আশ্রয়ে এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রাণ কেন্দ্র বগুড়ার শহরের বি.আর.টি.সি মার্কেটের ৩য় তলায় আজিজ ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলস, আল আহনাফ, নর্থবেঙ্গল ট্রাভেলস সহ সাতমাথা টিএমএসএস মার্কেটে সাত/আটটি ট্রাভেল এজেন্ট কোম্পানী লাইসেন্স বিহীনভাবে জমজমাট আদম ব্যবসা করে আসছে। অভিযোগ সূত্রে আরও তথ্য জানা যায়, এদের কারো কাছে জনশক্তি রপ্তানি তো দুরের কথা এয়ার টিকিট বিক্রিরও কোন সরকারী লাইসেন্স নেই ! তাদের কাছে বিমান টিকিট বিক্রির অনুমোদন থাকলেও তা বর্তমানে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এদিকে সরকারি বিধি মোতাবেক একই ট্রাভেলস এজেন্সীর একাধিক অফিস ব্যবহার করার নেই। এদিক দিয়ে তারা যেমন সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন তেমনি তাদের কাছে প্রতারিত হচ্ছে বিদেশ যাবার জন্য উৎসুক জনসাধারণ।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আজিজ এয়ার ট্রাভেলস্ নামে এক এজেন্ট ১৫দিনের মধ্যে মালেশিয়া পাঠানোর নাম করে নজরুল ইসলাম নামের একজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছে। টাকা জমা নেবার ৮মাস পার হলেও তার বিদেশ যাবার বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি বা তাদের টাকা ফেরতও দেয়া হয়নি। নজরুল শাজাহানপুর উপজেলার সাংবাদিক মুকতার এর নিকট আত্বীয়। শুধু নজরুলই নয়, শেরপুরের মনির নামের একজনের কাছ থেকে ১লক্ষ দশ হাজার টাকা নিয়েছে আজিজ এয়ার ট্রাভেলস্।

এবং আদমদিঘীর একজনের কাছ থেকে ২লক্ষ আশি হাজার টাকা নিয়েছে অন্য এক ট্রাভেলস্ এজেন্ট। আদমদিঘীর ছেলে নওগাঁ মডেল প্রেস কাবের সাংবাদিক বেলাল হোসেনের নিকট আত্বীয় (খালু)। এ ব্যাপারে বেলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাকা ফেরত না দেবার বিষয়ে বগুড়া ডিবি পুলিশ এসআই ইব্রাহীম’র কাছে একটি অভিযোগ পত্র দেয়া আছে ।

যাতে আমরা স্বেচ্ছায় টাকা উত্তোলন করতে পারি এজন্য তিনি আমাদের সময়ও দিয়েছেন। ব্যর্থ হলে তিনি টাকা ফেরত দিবেন বলে কথা দিয়েছেন। উত্তোলনে ব্যর্থ হলে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন। এ ব্যাপারে শেরপুরের মনির নামের এক ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজিজার ভাই এ (মার্চ) মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।

যদি ভিষা প্রসেসিং করতে পারলে করবেন না পারলে টাকা ফেরত দিবেন। এ বিষয়ে আজিজ এয়ার ট্রাভেলস্ এর সত্বাধীকারি আজিজার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোনো দেশের ভিষা প্রসেসিং করি না শুধু টিকিট বিক্রি করি।

ভুক্তভোগীদের দাবী তাদের কাছে কোনো দেশের ভিষা প্রসেসিং এর ব্যবস্থা না থাকলেও আমাদের কাছ থেকে তারা টাকা নিলেন কেন? আমাদের মতো আর কেউ যেন এমন প্রতারণার শিকার না হয় এজন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনার সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + twelve =