ইংল্যান্ডের ভরসা বৃষ্টি, জয় অষ্ট্রেলিয়া

0
587

ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ  জশ হ্যাজেলউডের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অ্যালিস্টার কুক। এবারের অ্যাশজে আরো একবার ব্যর্থ ইংলিশ ওপেনার। ছয় ইনিংসে তার রান মাত্র ৮৩। কুকের ব্যাটিং যেন সিরিজে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সেরই প্রতিচ্ছবি। প্রথম দুই টেস্টে হেরে যাওয়া ইংল্যান্ড পার্থেও হারের শঙ্কায়। ২৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩২। শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১২৭ রান। এই রানের মধ্যে ৬ উইকেট নিলেই অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করবে অস্ট্রেলিয়া।

 

চতুর্থ দিনে প্রায় এক ঘণ্টা বৃষ্টির পেটে গেছে। পার্থে বৃষ্টির পূর্বাভাষ আছে শেষ দিনেও। সোমবার শেষ দিনে পার্থে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সহায়তা ছাড়া ইংল্যান্ড এই ম্যাচ বাঁচাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

 

অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ৫৪৯ রানে। মিচেল মার্শের ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্নটা ভেঙেছে দিনের দ্বিতীয় বলেই। আগের দিনের ১৮১ রানেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মার্শ। আড়াই শ’তে যেতে পারেননি স্টিভ স্মিথও। আগের দিনের ২২৯ রানের সঙ্গে আর ১০ রান যোগ করতেই তিনিও অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। ইংল্যান্ড উইকেটটা পেয়েছে যদিও রিভিউ নিয়ে। টিম পাইনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ১ রানে রানআউট হয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ড যেখানে উইকেট নিতে পেরেছিল মাত্র একটি। আজ দিনের প্রথম সাত ওভারেই পড়েছে তিন উইকেট। তবে পাইন ও প্যাট কামিন্সের চল্লিশোর্ধ দুটি ইনিংসে প্রথম ইনিংসে আড়াই শ (২৫৯) রানের লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স করেছেন ৪১ রান। নাথান লায়ন আউট হওয়ার পর পরই পাইনকে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকেই ৯ উইকেটে ৬৬২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথ। ঘরের মাঠে টেস্টে এটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বোচ্চটা এই পার্থেই, ২০০৩ সালে ৬ উইকেটে ৭৩৫। দ্বিতীয় ইনিংসে কুক (১৪) হ্যাজেলউডের এক হাতে নেওয়া দুর্দান্ত রিফ্লেক্স ক্যাচে ফেরার আগেই আউট হয়েছেন মার্ক স্টোনম্যান (৩)। ওই হ্যাজেলউডেরই অফ স্টাম্পে পড়া বলে উইকেটকিপার পাইনকে ক্যাচ দিয়েছেন স্টোনম্যান। অধিনায়ক জো রুট (১৪) ফিরেছেন ইনিংসে নাথান লায়নের প্রথম বলেই, স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে। তখন ইংল্যান্ডের ৬০ রানেই ৩ উইকেট নেই, তখনো পিছিয়ে ১৯৯ রানে। চার দিনেই হারের শঙ্কাও পেয়ে বসেছিল সফরকারীদের।

 

এদিন বৃষ্টির পূর্বাভাষ ছিল আগে থেকেই। প্রথমবার বৃষ্টিটা নামল অবশ্য চা বিরতির একটু আগে। তাতে খুব বেশিক্ষণ খেলা বন্ধ থাকেনি। চা বিরতির পর খেলা শুরু হলে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে থাকেন জেমস ভিন্স। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। এরপরই স্টার্কের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড ভিন্স (৫৯)। লেগ স্টাম্পে পড়া বল লেগ স্পিনের মতো ঘুরে গিয়ে ভেঙে দেয় অফ ও মিডল স্টাম্প। ব্যাটসম্যান ভিন্সের চক্ষু তো চড়কগাছ! অনেকে এটিকে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ও বলেছেন। চা বিরতির আগে হালকা বৃষ্টি হলেও দিনের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে নামে ঝুমবৃষ্টি। তাতে দিনে খেলা হয়নি আর একটিও বল। ডেভিড মালান ২৮ ও জনি বেয়ারস্টো ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এই দুজন গড়েছিলেন ২৩৭ রানের রেকর্ড জুটি। তেমন কিছু আরেকবার করে দেখিয়ে ম্যাচ বাঁচাতে পারবেন মালান-বেয়ারস্টো? ইংল্যান্ড পারবে অ্যাশেজ ধরে রাখার স্বপ্নটা মেলবোর্ন পর্যন্ত টেনে নিতে? কাজটা ভীষণ কঠিন, তাদের একমাত্র ভরসা বৃষ্টিই

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − one =