স্বামীর পাজরের হাড় দিয়ে স্ত্রীকে তৈরী কি বিশ্বাস করেন

1
2262

অপরাধ বিচিত্রাঃ আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’। এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

 

১. বাংলাদেশে দেখা যায় স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের নাকের ফুল, কানের দুল ও হাতের চুড়ি খুলে ফেলা হয় এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

উত্তর: স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত বা শোক পালন করতে হয়। আল্লাহতায়ালা বলেছেনে, স্বামী মারা গেলে স্ত্রীরা ৪ মাস ১০ দিন পর্যন্ত গৃহে অপেক্ষমাণ থাকবে অর্থাত গৃহে ইদ্দত বা শোক পালন করবে। এ বিষয়ে উম্মে সালমা (রা.) থেকে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, শোক পালনরত অবস্থায় কোনো নারী চোখে সুরমা, শরীরে সুগন্ধি ও যেকোনো রকমের অলংকার ব্যবহার করা যাবে না। এমন কি চাকচিক্য বিহীন কাপড় পরিধান করতে হবে। এগুলো ঠিক আছে স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের নাকের ফুল, কানের দুল ও হাতের চুড়ি পরা ৪ মাস ১০ দিন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে এরপরে আবার পরতে পারবে।

২. প্রচলিত আছে প্রত্যেক স্ত্রীকেই তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাহলে যে সব নারীর একাধিক বিয়ে হয় তাদের ক্ষেত্রে এর হুকুম কী কোন স্বামীর হাড় থেকে তাদের তৈরি করা হয়েছে?

উত্তর: না, প্রত্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে এমন কোনো কথা কুরআনেও নেই আবার হাদিসেও নেই। তবে হাদিসের মধ্যে যেটা আছে সেটা হলো, পৃথিবীর প্রথম নারী হাওয়াকে আদমের বাম পাঁজরের হাড় থেকে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। শুধু মাত্র ওনাকেই আর কেউকে না।

৩. তাকদির বা ভাগ্য বিষয়টি কী সব সময় নির্দিষ্ট থাকে?

উত্তর : তাকদির মানে হলো নির্ধারণ করা। আসলে তাকদিরের চারটি ধাপ রয়েছে, প্রথমটি হলো সবকিছু আল্লাহর জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো সব কিছু তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তৃতীয়টি হলো সব কিছু তার লিখিত লওহে মাহফুজের মধ্যে রয়েছে। চতুর্থ ধাপটি হলো সেই জানা, সেই পরিকল্পনা ও সেই লেখা অনুসারেই মহাবিশ্বের সব কিছু সংগঠিত হচ্ছে। এই চারটি ধাপই হলো তাকদির। এর সঙ্গে আমাদের কর্তব্য হলো শুধু ঈমান আনা। আসলে তাকদির নিয়ে বেশি প্রশ্ন তোলা উচিত না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − 15 =