খুলনা প্রতিনিধিঃ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।খুলনা থেকে কৌশলে অপহরণ করে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ফেলে দেয়ার পর নিখোঁজ খুলনার যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজ (৩০)’র সন্ধান গত তিনদিনেও মেলেনি। এ ঘটনায় একটি ট্রলারসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ অপহরণ ও সবুজকে পানিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি ট্রলারে করে সন্ন্যাসী এলাকায় যাবার সময় কামরুজ্জামান সবুজ ও তার বন্ধু খুলনা কেডিএ’র সার্ভেয়ার সামছুল আরেফিন রনি (৩৪) কে মারপিট করে নদীতে ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। ওই সময় রনির ডাক চিতকারে মোরেলগঞ্জের গাবতলা এলাকার ট্রলার চালকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিন্তু নদীতে ডুবে যায় সবুজ। এর আগে সকালে তাদের একটি পাঁচ তলা ভবনের ডিজাইন করার কথা বলে খুলনা থেকে গাড়িতে করে মোরেলগঞ্জে নেয়া হয়। সবুজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে টহল শুরু করে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। সবুজ খুলনা মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা এবং দু’জনেরই বাড়ি খুলনার শেখপাড়া এলাকায়। মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, রনি ও সবুজের সঙ্গে থাকা সাত জনকে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানা পুলিশ আটক করেছে। তারা হলো- ওহিদুজ্জামান হাসান ওরফে পরশ (২১), হাফিজুল ইসলাম (১৯), মো. মাহামুদ (১৯), মো. হাসিব হাওলাদার (১৯), হাছিব হাওলাদার (১৮), মো. হাফিজুর রহমান (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (২০)। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ
শেষে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নিখোঁজ শেখপাড়া পুরাতন মসজিদ রোডের মৃত নুুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান সবুজ (৩০)’র সন্ধান পাওয়া যায়নি। পালিয়ে ফিরে আসা খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার শামছুল আরেফিন রনি (৩৪) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রনির মামা আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেছেন। তবে কী কারণে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জেল্লাল হোসেন বলেন, এ ঘটনার মূল হোতা হাসান ওরফে পরশসহ কয়েকজনকে বাগেরহাট পিরোজপুর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব কিছুই জানা যাবে।