আগাম মরিচের বাম্পার ফলন ও মূল্য বেশি পেয়ে কৃষকের মূখে হাসি

0
1780

রৗমারী (প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরসহ দুই উপজেলায় বন্যার ক্ষতি পূষিয়ে উঠার লক্ষে এবার আগাম মরিচ চাষিরা বাম্পার ফলন ও মূল্য বেশি পেয়ে চাষিদের মুখে হাসি। এবার রৌমারী- রাজিবপুরের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য আগাম জাতের মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। ভালো ফলনই শুধু নয় আরও সাথে পেয়েছে বাম্পার মূল্যটাও। তবে আমাদের মফসল পল্লিতেও মরিচের ঝাঝাটও অন্যান বছরের তলোনায় অনেকটাই বেশি দেখা যায়। তবে বেশিটারও কারন রয়েছে, যেমন প্রতিটি উপজেলায় এধরনের মরিচ চাষ হলে তাহলে সারাদেশেই কমে যায় মূল্যটাও। মরিচের ঝাঝ বেশির কারন অনেকই চাষ করেও ফলন ফলাতে সক্ষম হয়নি যার ফলে ঝাঝটা

 

এবার বেশি মনে হচ্ছে। রাজিবপুর উপজেলার মরিচ চাষি কৃষক জাফর আলী, আখছেদ আলী, ফরিজল হক, রৌমারী উপজেলার মরিচ চাষি কৃষক আঃ মান্নান, ফুল মিয়া, নুরনবীসহ আরও শত মরিচ চাষি কৃষক রয়েছে এবার ফলনও ভালো মূল্যও বেশি পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটেছে। মরিচ চাষিকৃষক ফুলমিয়া জানান এবার বন্যায় যে পরিমান ক্ষতিডা ওইছাল হেডা আল্লার রহমতে প্রায় ক্ষতিডা উইডা আইফও। সে আরও জানায় ৬০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করছিলাম, প্রায় ৫০/৬০ হাজার টেহার মরিচ বেইছা হালাইছি। আরও বলেন যেসময় আছে তাতেকরে আর ৬০/৭০ জাহার টাকার মরিচ বিক্রয় করা হবে এমনটাই চাষিরা ভাবছেন। এরকারন প্রতি মুন মরিচ প্রাথমিক বিক্রয় হয়েছে ৩৫/৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় মূল্য ছিলো। বর্তমান মূল্যটা নেমে এসে মরিচের বিক্রয় মূল্য রয়েছে ২/২৫শত টাকায় বিক্রিও ক্রয় করতে দেখা যায়। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। রৌমারী উপজেলায় এবার মরিচে চাষ হয়েছে প্রায় ৪শত হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে এতে এবার মরিচ চাষিরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠার মতো পরিবেশ তৈয়ার করেছে কৃষকরা। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুজ্জামান জানান রাজিবপুরে প্রায় ৩২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে এতে মরিচের বাম্পার ফলন পেয়েছে এবং আগাম জাতের মরিচের মূল্যও ভালো পেয়েছেন আশা রাখি মরিচ চাষিরা ভালো আছে এবং ভালই থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + sixteen =