ঢাকা-১৯ থেকে কে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন ??? মদখোর, ভুমিদস্যু, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসীকে মনোনয়ন দিলে ফলাফল ভালো আসবে না- পাভেল।

0
2849

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ”রাজনীতিকে সর্বদা ইবাদতের অঙ্গ বলে মনে করি। ছাত্র জীবন থেকে জনগনের পাশে থেকে কাজ করেছি, আর আমৃত্যু জনগনের পাশে থেকে সেবা করতে চাই”। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপরাধ বিচিত্রাকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে কথাগুলো বলছিলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবু আহমেদ নাসিম পাভেল। এসময় তিনি আরো বলেন, ”আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে কোন মদখোর,

 

 

অসত চরিত্রের অধিকারী, ভুমিদস্যু, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসীকে মনোনয়ন দিলে ভোটের ফলাফল ভালো আসবে না। জনগনের আস্থা ধরে রাখতে প্রয়োজন একজন ক্লিন ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থী। যে জনগনের আস্থার সাথে দলের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি বিজয় আনতে পারবে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যান্য দলের মত এবারো মাঠে নেমেছে ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ। পরপর দুই দফায় ক্ষমতায় থাকার পর টানা তৃতীয়বারের মত আগামী নির্বাচনে ফের জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে প্রস্তুতি গ্রহন করছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল মেটানোর পাশাপাশি চলছে সকল আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। আবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক এবং বর্তমান সাংসদ ছাড়াও রয়েছে বিকল্প প্রার্থী। সুত্র বলছে সারাদেশের ৩০০ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এর মধ্য থেকে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য এবং একই সাথে বিজয় আনতে পারবে এমন প্রার্থীই বাছাই করবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী। সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৫ বছর থাকে নির্বাচিত সংসদের মেয়াদ। ২০১৪ সালের ১২ই জানুয়ারী বর্তমান সরকার গঠিত হয়। সংবিধান মোতাবেক ২০১৯ সালের ১১ই জানুয়ারীর আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে এখনো প্রায় ১ বছর বাকী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। এদিকে দেশের বিভিন্ন আসনে এখন থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠ পর্যায়ে ব্যস্ত নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে। নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি সংগঠনের নেতা-কর্মিদের মন জয় করা সহ ব্যানার-ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে চলছে প্রচার-প্রচারনা।

 

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে সাবেক ও বর্তমান সাংসদের পাশাপাশি বিকল্প প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ কবির। এর মধ্যে আলহাজ্ব আবু আহমেদ নসিম পাভেল যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত। অন্যদিকে বর্তমান সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল গনী’র ছেলে ফারুক হাসান তুহিন। ফারুক হাসান তুহিন বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক সাংসদ তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদ ও বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। অন্যদিকে বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে রয়েছেন দুই দুইবার নির্বাচিত সাবেক সাবেক সাংসদ ও ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডা. দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু। বিএনপি’র কয়েকটি দলীয় সুত্র কিছুটা জোরালো ভাবেই বলছে মনোনয়ন এবারো তিনিই পাচ্ছেন।

 

 

মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু আহমেদ নাসিম পাভেল বলেন, ”মনোনয়নের বিষয়ে দলের কাছে আমি আশাবাদী। আর আমার থেকে বেশি ক্লিন ইমেজ সম্পন্ন যদি কেউ মনোনয়ন পায় তাতেও আমার কোন আপত্তি নেই”। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগন তাকে নির্বাচিত করলে এলাকার জনগন তার কাছে কি প্রত্যাশা করতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই যুবলীগ নেতা বলেন, ”সর্ব প্রথম সাভার-আশুলিয়াকে বসবাসযোগ্য ও পরিবেশ বান্ধব আধুনিক নগরীতে রুপদান করে, নিজেকে ঐক্যের প্রতিক হিসাবে গড়ে তুলবো। এছাড়া স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, স্থানীয় জনপ্রসাশন সহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ খাতসমুহ সহ নিজেকে জনগনের কাছে জবাবদিহি মূলক করে তুলবো ইনশাআল্লাহ”।

 

তাছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের (বিএনপি) অংশগ্রহনে নির্বাচন কঠিন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নেতাকর্মিদের নিয়ে বিতর্ক থাকলেও দেশের মানুষ বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হৃদয় থেকে ভালোবাসে। দেশের মানুষ জানে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ও সুসাশন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই। আর তাই বিএনপি’র অংশগ্রহনে নির্বাচন কঠিন হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু বলেন, ” ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনটি বরাবরই বিএনপি’র শক্ত ঘাটি। সার্বক্ষণিক দলের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।  আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো প্রায় এক বছর বাকী থাকলেও ঢাকা-১৯ আসনের সাধারন মানুষের মনে নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কে কে পাচ্ছেন আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন তা নিয়ে সরগরম চায়ের দোকান থেকে উপর তলার গোল টেবিল পর্যন্ত। এক সময় বিএনপি’র ঘাটি হিসাবে পরিচিত থাকলেও ২০০৮ সালের পর এই আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দখলে। বিএনপিও ছাড় দিতে রাজী নয়, তারাও মড়িয়া আসনটি পুনরুদ্ধারে। আসনটিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারন ভোটারদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন কে কে পাচ্ছেন দুই রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন আর কে আসছেন নির্বাচনে…।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 1 =