এক কচি জীবনের নকশা

0
1176

এম এ বার্ণিক|ঃ  লাবিব নামের এক কচি খোকার ছোটবেলার কিছু ঘটনা আমরা শুনবো। সমাজের অন্যান্য ছোট ছোট ছেলেদের মতই তার শৈশব কাটে। মাত্র তিন বছর বয়সে তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। ২০০৩ সালের জুন মাসে ঢাকার স্কলাশটিকা স্কুলে তার জীবনের প্রথম পাঠচক্র শুরু হয়। নার্সারিতে ভর্তি হয় সে। স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজনে লাবিবকে অতি ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত করতো তার মা। চোখে ঘুম নিয়েই ক্লাসে যেতো লাবিব। ক্লাসে প্রায়ই সে ঘুমিয়ে পড়তো। পড়তো আর ঘুমাতো। ছোটবেলায় রক্তমাংসের মানুষ মাত্রই এমনটা হয়।২০০৪ সালে লাবিব কেজি ওয়ানে ওঠে। তার জন্য স্কুলের ইউনিফর্ম কেনা হলো। এবারই জীবনের প্রথম স্কুল ইউনিফর্মে সজ্জিত হয়ে সে স্কুলে যায়। কেজি ওয়ানে পড়ার চাপ একটু বেশি। বইয়ের বোঝার সাথে পড়ার বোঝাও তাকে বহন করতে হচ্ছে। কচি বাচ্চা কতটা বোঝা বহনের সামর্থ্য আছে তা কেউ ভাবছে না। বোঝা কেবল চাপিয়েই দিচ্ছে। বোঝা বহনে অপারগ হয়ে সে ক্লাস ফাঁকি দেয়ার ফন্দি করতো। কখনো পেট ব্যথা, কখনো মাথাব্যথা ইত্যাদির ভান ধরে কান্নাকাটি জুড়ে দিতো। এতে কখনো কাজ হলেও অধিকাংশ সময় তাকে স্কুলে যেতেই হয়েছে।  ২০০৫ সালে লাবিব কেজি টুয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে সে আগের চেয়ে হালকা ও বড় হয়েছে। নিজেকে অনেকটা মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে সে। এখন আর কান্নাকাটি করে না। পড়াশুনাকেও ভয় পায় না। বলা যায়, পাঁচ বছর বয়সে লাবিব বই আর পড়ার বোঝা বহনে সক্ষম হয়।

 

লাবিব একটু সরল প্রকৃতির ছেলে হওয়ার কারণে বন্ধুরা তাকে তেমন পাত্তা দিতে চায়নি। অনেকে তার দিকে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকাতো। লাপাত্তা লাবিবের লাজুক ললাটে লাঞ্ছনার লেশ ফুটে ওঠতো। অবশেষে সে ভাবলো নিজকে এভাবে উপস্থাপন ঠিক হচ্ছে না। তাই সে বুদ্ধি বের করলো। ক্লাসমেটদের সাথে লেখাপড়ার ফাঁকে কিংবা টিফিন আওয়ারে মিশতে শুরু করলো। নানা গল্প আওড়াতে শুরু করলো। গল্পগুলো এমনভাবে সাজিয়ে বলতো যে, মনে হতো লাবিব একজন রাজা-বাদশা। বন্ধুরা তার গল্প শুনে মজা পেতো। এভাবে সে ক্লাসে তার বন্ধুদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে ওঠে। নিজেই কৌশলে মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
লাবিব যখন ক্লাস টুয়ের ছাত্র তখন সে এক নতুন স্বপ্ন দ্যাখে। ছয়-সাত বছরের বালক লাবিব মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দ্যাখে। যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, অত্যাচার-নিপীড়ন করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখে লাবিব। সেজন্যে বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যাট্যালিয়ন গড়ে তোলার প্রয়াস পায়। বিশ্বের তাবৎ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে সে একাই; আর তার সাথে থাকবে তার অনুসারী ব্যাট্যালিয়ন সদস্যরা।
শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতে হলে অনেক কিছু দরকার হয়। সেরকম কিছু লাবিবের ব্যাট্যালিয়নের নেই। আছে কেবল মানসিক শক্তি আর আগ্রহ। লাবিব যুদ্ধে ব্যবহৃত গাড়ি, ট্যাংক, কামান, ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার ও জাহাজের ছবি সংগ্রহ করে। এসব দেখিয়ে বন্ধুদের অনুপ্রাণিত করে। মনে হয়, অলেকজান্ডার বিশ্বজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অনুসারীদের মধ্যে কেউ একটু বেশি উপযুক্ত মনে হলে তাকে একটা ভালো দায়িত্বে নিয়োগ দিত সে। এভাবে বন্ধুমহলে লাবিব এক দেশ প্রেমিক সাহসী যোদ্ধার বেশেই আবির্ভূত হয়।
মাঝে মাঝে তার ব্যাট্যালিয়নের বন্ধুদের নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে গেয়ে ওঠেতো :
যেথায় মিথ্যা ভ-ামি ভাই
করবো সেথা বিদ্রোহ,
ধামা ধরা ঝামা ধরা
মরণভীতু চুপ রহো,
আমরা চলি সোজা পথে
একটু মোদের নেই ক্লেশ,
এই দুলালুম বিজয় নিশান
মরতে রাজি মারবো শেষ।”
(ঈষৎ পরিবর্তন)
লাবিব যখন ক্লাস থ্রিতে ওঠে, তখন সে চলে আসে স্কলাশটিকা স্কুলের গুলশান ক্যাম্পাসে। তার সহযোদ্ধা বন্ধুরা যুদ্ধ করার আগেই চলে যায় ধানম-ি ক্যাম্পাসে। বিশ্বমানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার বাসনা আপাতত লাবিবের মন থেকে দূরে সরে যায়। এবার জ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করে সে।
ব্যবসায়িক কাজে তার বাবা প্রায়ই বিদেশ যেতো। লাবিব পিতাকে বিদেশ থেকে এনসাইক্লোপেডিয়া জাতীয় বই আনার জন্য অনুরোধ করতো। এসব বই পড়ে যে জ্ঞান অর্জন করতে থাকে, আর বন্ধুদের মধ্যে জ্ঞানচর্চা শুরু করে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার, নতুন নতুন তথ্য তার জ্ঞানভা-ারে সঞ্চিত করে বন্ধুদের মাঝে সেসব নিয়ে অবসর সময়ে আলোচনা করতে থাকে। ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময়ে লাবিব বন্ধুদের সাথে জ্ঞানের আসর বসাতো। এভাবে মাঝে মাঝে নিজের জ্ঞাত জ্ঞানের চর্চা আর জ্ঞান বিতরণের মজলিস বসাতো সে। ক্ষুদে সক্রেটিস যেনো জ্ঞান বিতরণের জন্য লাবিব বেশে স্কলাশটিকার কচিকাঁচাদের মধ্যে আবির্ভূত হলো।
এক সময় আফিফ জাবির নামের একটি ছেলের সাথে লাবিবের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আফিফ বেশ ভালো ছবি অঙ্কনে পারদর্শী ছিলো এবং কার্ডবোর্ড দিয়ে নানা জিনিস তৈরি করতে পারতো। লাবিব তার বন্ধু আফিফের গুণটি কাজে লাগাবার জন্য একটা কৌশল উদ্ভাবন করে। তারা দু’জনে মিলে কার্ডবোর্ড দিয়ে বিভিন্ন রকমের খেলনা তৈরি শুরু করে। খেলনাগুলোর দাম নির্ধারণ করে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে বিক্রি করার চেষ্টা চালায়। চেষ্টা সফল হয়। লেখা-পড়ার ফাঁকে ফাঁকে টু-পাইস কামানোর ধান্দা। ধান্দাটা মন্দ ছিলো না। কিছুদিন বেশ টাকা আয় হলো। চো সা-ু নামে তাদের এক ক্লাসমেট কিছুটা হিংসার বশবর্তী হয়ে ঘটনাটি শিক্ষকদের কাছে বলে দেয়। শিক্ষক থেকে নিষেধাজ্ঞা আসে। অবশেষে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
লাবিব যখন ক্লাস ফাইভে ওঠে, তখন তার স্কলাশটিকা স্কুলের ক্যাম্পাস হয় মিরপুরে। এসময় সে লেখা-পড়ার পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলা অ্যাকটিভিটির মধ্যে ড্রামা ক্লাসে যোগ দেয়। অর্থাৎ অভিনয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ক্লাস ফাইভে পড়ালেখার পাশাপাশি লাবিব ড্রামা/নাটকের অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময় স্কাশটিকা স্কুলে ড্রামার আয়োজন হলেই লাবিবের নাম অন্তর্ভূক্তি অনিবার্য হয়ে পড়তো। সে ৩০টিরও বেশি ড্রামাতে অভিনয় করে।

 

লাবিব যখন ক্লাস এইটে অধ্যয়নরত, সেবছরই সে তার পিতার সাথে ওমরা হজের সুযোগ পায়। ওমরা থেকে ফেরার পর তার জীবনে পরিবর্তনের সূচনা ঘটে। সে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম নিয়ে গবেষণা ও অধ্যায়ন শুরু করে। গবৎপরভঁষ ঝবৎাধহঃ, ওংষধসরপ এঁরফধহপব নামক ইউটিউব চ্যানেলগুলো দিয়ে তার জানার পথ প্রশস্ত করতে থাকে। সমকালীন স্বনামধন্য ইসলামিক চিন্তাবিদ যেমন ড. ইয়াসির কাদি, শেখ সোলাইমান খাতানি, শেখ মুফতি মেন্ক, নোমান আলী খান প্রমুখের লেকচার শুনে সে পরিশুদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এসব ইসলামি চিন্তাবিদদের লেকচার তার মনে দারুনভাবে রেখাপাত করে। সে আস্তে আস্তে মননে ও মানসে সিরাতুল মুস্তাকীমের দিকে ধাবিত হয়।
ক্লাস নাইনে প্রবেশ করে লাবিব আরও কিছু নতুন নতুন বিষয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন শুরু করে। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় ছিলো ঐঁসধহ চংুপযড়ষড়মু. মানুষকে সহজে বোঝার ক্ষমতা ও কৌশল সে আয়ত্ত করে ফেলে। ওই সময় এক পর্যায়ে লাবিব তার এক বন্ধু নাঈমের সাথে ই-কমার্স ক্লোথিং লাইনে ‘কোলারেডো’ নামে ব্যবসা শুরু করে। তাদের সাথে আরও ২ জন পার্টনার যুক্ত হয়। এরা হলো হামিম আলম ও মাহি আবরার। কিন্তু মাস যেতে না যেতেই ব্যবসায় মন্দা দেখে এরা দু’জন কেটে পড়ে। লাবিব ও নাঈম লেগে থাকে।
দুই বন্ধু চার হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে প্রথমে ব্যবসা শুরু করে। দু’মাস পর তারা প্রথম একটি অর্ডার পেলো জার্সি তৈরির। স্কলাশটিকা স্কুলেরই একটি খেলার দলের জার্সি তৈরি। এরপর চারিদিক থেকে অনেক অর্ডার আসতে থাকে। তাদের ব্যবসাও প্রসারিত হতে থাকে। এ অবস্থা দেখে বন্ধুরা লাবিবকে ‘বিজনেস ম্যাগনেট’ বলে ডাকতে শুরু করে।
ক্লাস নাইনের শেষের দিকে লাবিব ‘ফ্যাশন এ- স্টাইল’ নিয়ে গবেষণা শুরু করে। এটা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির গবেষণা বটে। এ কাজে তাকে সাহায্য করে আলফা এম (ইউটিউবের একটা চ্যানেল)। তাদের বিভিন্ন প্রকার ডিজাইন ও স্টাইল সম্পর্কে সে ধারণা লাভ করতে শুরু করে।
লাবিব যখন ক্লাস টেনে ওঠে, তখন ইসলামিক রিচার্স, ফ্যাশন ও স্টাইল রিচার্স কাজে আরও উচ্চমাত্রা যুক্ত হয়, সে অনুযায়ী সে চলতে ও বলতে অভ্যস্থ হতে থাকে। পাশাপাশি তার ব্যবসায়িক কাজ ও লেখাপড়া সমান তালে চালিয়ে যেতে থাকে।
ক্লাস টেনে পড়াশুনার সময় এক পর্যায়ে ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট অলিম্পিয়াড (আইইও) -তে যাওয়ার জন্য সে নির্বাচিত হয়। আইইও-তে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বসহ সে চলে যায় ভারত। তার দলে থাকে হাঞ্জালা, চিশতি, মারজুকা, রাফিড, জারিফ, অন্বেষা, নাঈয়ার ও তাশদিদ। তারা পাঁচ দিন ভারতে অবস্থান করে। সেখানে বিশ্বের আরও ৫০টি দলের সাথে তাদের মতবিনিময়ের সুযোগ হয়। প্রতিযোগিতায় ৫০টি দেশের মধ্যে লাবিবের দল ৯ম স্থান অধিকার করে। এটা তার জীবনের একটা বড় আন্তর্জাতিক বিশ্বের নানা অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
স্কুলে খেলাধুলাতেও লাবিব পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম হয়। ক্লাস টেনে পড়ার সময় স্কলাশটিকা স্কুলে সে ইন্টার-স্কুল হ্যা-বল টুর্ণামেন্ট অর্গানাইজ করার সুযোগ পায়। তার প্রথম ইভেন্ট ঝওঐঞ-২০১৫-এর প্রধান ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ পায় ও অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে।
ইলেভেন ক্লাসে ওঠার পর ২০১৬ সালে লাবিব আরও কিছু নতুন নতুন বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে। এ সময় গড়ফবষ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঈড়হভবৎহপব- এ অংশগ্রহণ শুরু করে। আলোচ্য কনফারেন্সের আয়োজনে তাকে একদিকে সংগঠকের ভূমিকা পালন করতে হয় এবং অন্যদিকে কনফারেন্সের বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করতে হয়। ফলে সে বিশ্ব সমস্যা ও বিশ্ব ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে থাকে। সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, এডলফ হিটলার, দ্য হলো অ্যালায়েন্স, রথচাইল্ড ফ্যামিলি প্রভৃতি সম্পর্কে স্টাডি করে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করে।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে লাবিব তার স্কুলে ক্রিকেট খেলার জন্য ডমেস্টিক টুর্নামেন্ট নামানোর কাজ করে। এ সময় সেলফ ইভেন্ট নামানোর কাজে সে হেড অর্গানাইজারের দায়িত্ব পালন করে। সেবছর নভেম্বর মাসে ঝওঈখ-২০১৬ ঝপযড়ষধংঃরপধ ওহঃৎধ ঈৎরপশবঃ খবধমঁব-২০১৬ আয়োজনের দায়িত্ব অর্পিত হয় লাবিবের ওপর। এসময় সে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। তার টীম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষকবৃন্দ এবং স্কুল পরিচালনা কমিটি তার পারফরমেন্সের জন্য তাকে সাধুবাদ জানায়।
লাবিব একবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। এ সময় এক বিকেল বেলা গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার পাশে অনেক বাগান আর গাছ-পালা। গাছে গাছে পাখ-পাখালির ঝাঁক। একটু পরে অনুভব করলো, বাঁশের মর মর শব্দ তার কানে আসছে। সেখানে একটি সুন্দর পাখি মগডালে বসে গান করছে। বাতাসে পাখির পরগুলো দুলছে আর পাখিটি গানের তালে তালে নাচ করছে। এমন সময় এক শিকারি সেখানে এসে হাজির হলো। একটি মাত্র বন্দুকের গুলির শব্দ হলো। পাখিটি অমনি মাটিতে পড়ে ধরফড় করতে লাগলো।
নিজের চোখের সামনে সুন্দর যে পাখিটি কয়েক মিনিট আগে লাবিবকে গান শুনাচ্ছিলো, সেটিই এখন শিকারির বন্দুকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীরে ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে। এ দৃশ্যে লাবিবের কচি বুকটাও ছটফট করতে লাগলো। একদিকে পাখিটির বুক থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরছে, অন্যদিকে লাবিরের চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। লাবিব আর সহ্য করতে পারছিলো না। সে শিকারিকে কচিকণ্ঠে কিছু একটা বলতে বলতে দৌড়ে ঘরে চলে গেলো। তার যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। দু’তিন দিন সে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে।
লেখক : সভাপতি, ইতিহাস গবেষণা সংসদ

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × two =