শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে পেটালেন কাউন্সিলর!

0
668

চাঁদা না দেওয়ায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার নব কিশলয় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চৌগাছা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর

গোলাম মোস্তফা সহযোগীদের নিয়ে গত বুধবার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের ঘরে ঢুকে তাঁদের মারধর করেন। এ ঘটনায় পরদিন চৌগাছা থানায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌর এলাকায় তাঁর একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল আছে। দোতলা ভবনের নিচতলায় স্কুল এবং দোতলায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি বসবাস করেন। কিছুদিন ধরে কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা তাঁর একদল সহযোগী নিয়ে দোতলায় তাঁর থাকার ঘরে ঢুকে রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁকে পেটাতে থাকেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও ছেলে (চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র) ঠেকাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। তাঁদের রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক ফারহান হোসেনকেও মারধর করা হয়। চলে যাওয়ার সময় স্কুলের আসবাব ভাঙচুর করা হয়। তা ছাড়া তাঁর শার্টের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বাকি টাকা ৩০ ডিসেম্বর (আজ) নিতে আসবেন বলে শাসিয়ে যান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনার সময় আমি চৌগাছা থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) সঙ্গে দেখা করতে শহরের ধনী প্লাজায় গিয়েছিলাম। এই সময় আমাকে একজন ফোন করে জানান, পাড়ার কিছু ছেলে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে ঢুকেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি মোটরসাইকেলে সেখানে যাই। ছেলেগুলো সম্পর্কে আমার ভাইপো। তারা কিছু চড়-থাপ্পড় দিয়ে থাকতে পারে। আমি তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলি। কিন্তু আমি অধ্যক্ষের কাছে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। টাকা ছিনিয়েও নিইনি। তাঁদের মারপিটও করিনি। এসব মিথ্যা।’ চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামিম উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + 19 =