রাজধানীর মেরাদিয়া গ্লামর কুইন পাপিয়ার ইয়াবা ব্যবসা জমজমাট প্রকাশিত সংবাদের লিগ্যাল নোটিশ

0
1466

স্টাফ রিপোর্টারঃ
“রাজধানীর মেরাদিয়া গ্লামর কুইন পাপিয়ার ইয়াবা ব্যবসা জমজমাট” প্রকাশিত সংবাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মোসাঃ পাপিয়ার পক্ষে এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি সংবাদের বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করে তার সাথে দেখা করার জন্য বলেছেন, কিন্তু তার ভিন্ন মত পরবর্তি কোন সংখ্যায় ছাপানোর জন্য উল্লেখ করেননি। পাপিয়া সংবাদ পত্রের নিয়ম কানুন

 

না জানলেও এডভোকেট জাহাঙ্গির পাপিয়ার পক্ষে সংবাদপত্রের নিয়মকানুন না জেনে যে পত্র পাঠিয়েছেন তাতে অঞ্জতার পরিচয়ই বহন করেছে। কারন কোন সংবাদ বা রিপোট রিপোর্টারগনই লিখেন সম্পাদক লিখেন না। কোন সংবাদ এর বিষয়ে সংশিল্ষ্ট কারোর কোন আপত্তি থাকলে বা অভিযোগ থাকলে সংবাদপত্রের নিয়মানুসারে সম্পাদক বরাবর প্রতিবাদ জানাতে হয়। এ ক্ষেত্রে এডঃ জাহাঙ্হির সম্পাদককে দেখা করতে বলতে পারেন না এবং কোন সম্পাদক এ ধরনের পত্রের কারনে কোন এডঃ এর সাথে দেখা করতে বাধ্য নন। একই সাথে পাপিয়ার পক্ষে ভিবিন্ন লোকজন তাদের মোবাইল থেকে প্রতিবেদকের মোবাইল নাম্বারে একাধিক দিন, একাধিকবার ফোন করে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। যা অপরাধ বিচিত্রার দপ্তরে সংরক্ষিত রয়েছে। পাপিয়ার পক্ষে যারা ফোনে হুমকি দিয়েছেন, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের বিষয়েও অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে। সাংবাদিকগন যা দেখেন শুনেন তা তথ্য প্রমান, যুক্তি, সাক্ষ্য অনুসন্ধান করেই লিখেন এবং তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করেন যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে তার সমুহ সমাধান করা যায়। অপরাধ বিচিত্রা দির্ঘ দুই যুগ অত্যান্ত সুনামের সহিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। ফলে দেশের জনগন, সরকার উপকৃত হয়েছে। সন্ত্রাস মাদক,দুর্নীতির বিরুদ্ধে অপরাধ বিচিত্রা বরাবরই আপোষহীন এ কথা সর্বজন স্বিকৃত। পাপিয়ার সাথে অপরাধ বিচিত্রার কোন বিরোধ নেই। এলাকার জনগনের তথ্যের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান সাপেক্ষে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসা করতে কোন লাইসেন্স লাগেনা। এলাকাবাসি দাবী করেছেন পাপিয়ার একাধিক মোবাইল সেট এবং একাধিক সিম নাম্বারগুলো তদন্ত করলেই বিষয়টি আরো বেশী পরিস্কার হয়ে যাবে। সে মোতাবেক অপরাধ বিচিত্রার এ প্রতিবেদকও তাই লিখেছেন। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ ছিল, অনুসন্দানকালে পাপিয়া নিজেকে আড়াল করতে ইয়াবা ব্যবসায়ী পাপিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, ঢাকাস্থ খিলগাঁও মেরাদিয়া’র ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও ইয়াবা সেবনকারী গ্ল্যামার কুইন পাপিয়া রমরমাভাবে ইয়াবা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তার বাসাতেও প্রতিনিয়ত ইয়াবার আসর বসে। তার এ আসরের নিয়মিত সঙ্গী একই এলাকার পারভেজ ও শাহিন। সূত্রে জানা যায়, ১৩/১৪ বছরের কিশোরদের দিয়ে পাপিয়া ইয়াবা পাচার করে থাকে। একেই সাথে নিজের রূপকে পূজি করে বিভিন্ন উচ্চবিত্ত যুবকদের তার রূপের জালে আটকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এ ব্যবসা করে ইয়াবা সুন্দরী পাপিয়া নিজের ও তার বাবা-মায়ের সংসার রাজকীয়ভাবে চালাচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও ইয়াবা সেবনকারী গ্ল্যামার কুইন পাপিয়া সমাজের কিশোর, তরুণ ও যুবকদের দিয়ে গড়ে তুলেছে বিশাল ইয়াবা ব্যবসার নেটওয়ার্ক। জানা যায়, এই ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পাপিয়ার সম্পর্ক রয়েছে বিভিন্ন নেতাদের সাথে। এ বিষয়ে পাপিয়াকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে পাপিয়া তা অস্বীকার করে, পরে একজন পাতিনেতার নাম জিজ্ঞাসা করলে পাপিয়া বলে চিনি না। কিন্তু তার ১০ মিনিট যেতে না যেতে সেই পাতিনেতাকে দিয়ে প্রতিবেদককে ফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং ২ দিন না যেতেই ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে দিয়ে ফোন দিয়ে নানা রকম প্রশ্ন করে প্রতিনিধিকে। পাশা-পাশি ডিবি পরিচয় প্রদানকারী ব্যক্তিটি বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে পাপিয়ার গুণগান প্রচার করতে থাকে। উক্ত পাপিয়া মেরাদিয়া নয়াপাড়া মসজিদ গলির জামাল ভূইয়ার কন্যা। তার স্বামীর নাম মিলন। পাপিয়ার এলাকায় গিয়েও দেখা যায়, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার আচার-আচরণে ক্ষিপ্ত হলেও প্রকাশ্যে পাপিয়ার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে। এলাকাবাসী’র বক্তব্য ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবা সেবনকারী গ্ল্যামার কুইন পাপিয়ার কারণে অকালে ঝরে যাচ্ছে আমাদের যুবসমাজ। এলাকাবাসী পাপিয়ার বিরুদ্ধে গোয়েন্দ সংস্থগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে যুবসমাজকে এই বহুরূপী পাপিয়ার রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। একইসাথে সচেতন মহলের দাবী মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী গ্ল্যামার কুইন পাপিয়ার মোবাইল কল রেকর্ড তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে তার শক্তিশালী চক্রের তথ্য ও পরিচয়। বহুরূপী পাপিয়ার মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিমত। ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল কিশোর, তরুণ ও যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনসহ গোয়েন্দা সংস্থার আশু কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − 11 =