আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবি

0
4955

আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবি

২৪ ঘন্টা খবর :  আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেছে দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, বিশেষ করে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারণের খুব সুযোগ রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশকে আর্ন্তজাতিক বানিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে এই দাতা সংস্থা। বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ২৩টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) করা হবে। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।’ পাবলিকেশন সিরিমনি অব টুওয়ার্ড নিউ সোর্সেস অব কমপিটেটিভনেস ইন বাংলাদেশ- কী ফাইনডিং অব দ্য ডায়াগনিস্টিক ট্রেড ইনট্রিগ্রেটেড স্টাডির এই মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন সম্পর্কিত সভায় ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাত ভিত্তিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে ওঠে এসেছে- বাংলাদেশের এক্সপোর্ট দ্বিগুন বেড়েছে। যদি চীনের ২০ শতাংশ বাজার দখল করা যায় তাহলে আমাদের পোশাক খাতের রফতানি দ্বিগুন বেড়ে যাবে। এর ধারাবিহকতায় ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হবে বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, যদি আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান জিডিপি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট গ্রোথ ৩২ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ১৬ বিলিয়ন ডলার। এভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি চলতে থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত হবে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, বিশ্ব ব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট সঞ্চয় কাথুরিয়া, এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ‘ডায়াগনস্টিক ট্রেড ইন্টিগ্রেশন স্টাডি’ শীর্ষক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে যোগ হচ্ছে ২০ লাখ শিক্ষিত শ্রমিক। এতে শ্রমশক্তির বিকাশের পাশাপাশি দেশের জিডিপিতে অবদান বাড়ছে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ করেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। বর্তমানে পোশাক খাতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাতে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =