গাঙ্গুলি ও বাঙালিদের গালি দিলেন সাকিবের অধিনায়ক!

2
1200

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তিনি অধিনায়কত্ব করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রতিনিধিত্ব করেন বাঙালির। কিন্তু, সাকিব আল হাসানের দলের অধিনায়ক সেই গৌতম গম্ভীরই যেন বদলে গেলেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। আসলে ব্যাপার হল, ভারতের রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বাংলা’র অধিনায়ক ও সাকিবের সতীর্থ মনোজ তিওয়ারীর সাথে গণ্ডগোল বাঁধে দিল্লীর অধিনায়ক ভারতীয় জাতীয় দলের এক সময়ের ওপেনার গৌতম গম্ভীরের। সেই বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি কলকাতার ক্রিকেটের ‘প্রতীক’ ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ও বাঙালির প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন মনোজ তিওয়ারী। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ শেষে তিনি যে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলবেন, শনিবারই সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মনোজ। এদিন ম্যাচ শেষে সে প্রসঙ্গ উঠতেই ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে তিওয়ারী এই ব্যাপারে বলেন, ‘সৌরভ ও বাঙালিদের নিয়ে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিল গম্ভীর। পুরো বিষয়টা নিয়ে আমি দাদির সঙ্গে কথা বলেছি। যেভাবে ওর নাম টেনে আনা হয়েছে তাতে দাদি ভীষণ হতাশ। সৌরভের বিরুদ্ধে কোনও কিছুই আমরা কিন্তু বরদাস্ত করব না।’

মজার ব্যাপার হল, দিল্লীর হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলা গৌতম আইপিএলে খেলেন কলকাতার হয়ে। আবার সেই কলকাতার দল মনোজ আইপিএলে এখন খেলেন দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। দু’জনই রঞ্জি ট্রফি দলের অধিনায়ক। আরও কাকতালীয় ব্যাপার হল, মনোজ আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন কলকাতার হয়ে, আর গম্ভীর শুরু করেন দিল্লীর হয়ে।

গম্ভীর মিথ্যে কথা বলছেন দাবি করে মনোজের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমাকে নিয়ে গম্ভীর যা বলছে, সেটা সত্যি হলে কেন আমার মাত্র ৪০ শতাংশ আর ওর ৭০ শতাংশ জরিমানা হল? বিষয়টা শুধু স্লেজিং হলে কিছু মনে করতাম না। কিন্তু কারোর মাকে নিয়ে কটূক্তি ঠিক নয়। আর গম্ভীর তো কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেন। আইপিএলে কলকাতা ক্রিকেটপ্রেমীরা তো সবসময় ওদের সমর্থনে গলা ফাটায়। সে কীভাবে বাঙালিদের নিয়ে কুকথা বলতে পারে, ভেবে পাচ্ছি না।’ শনিবার ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ক ও দু’দলের ম্যানেজারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি। সেখানে দুই ক্রিকেটারকে জরিমানা করেই ছেড়ে দেন তিনি। বিস্তারিত রিপোর্ট বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ম্যাচ রেফারি ভালমিক বুচ।

a83633865f465c5827cc5d7ee5287524

গাঙ্গুলি ও বাঙালিদের গালি দিলেন সাকিবের অধিনায়ক!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তিনি অধিনায়কত্ব করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রতিনিধিত্ব করেন বাঙালির। কিন্তু, সাকিব আল হাসানের দলের অধিনায়ক সেই গৌতম গম্ভীরই যেন বদলে গেলেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। আসলে ব্যাপার হল, ভারতের রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বাংলা’র অধিনায়ক ও সাকিবের সতীর্থ মনোজ তিওয়ারীর সাথে গণ্ডগোল বাঁধে দিল্লীর অধিনায়ক ভারতীয় জাতীয় দলের এক সময়ের ওপেনার গৌতম গম্ভীরের। সেই বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি কলকাতার ক্রিকেটের ‘প্রতীক’ ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ও বাঙালির প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন মনোজ তিওয়ারী। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ শেষে তিনি যে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলবেন, শনিবারই সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মনোজ। এদিন ম্যাচ শেষে সে প্রসঙ্গ উঠতেই ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে তিওয়ারী এই ব্যাপারে বলেন, ‘সৌরভ ও বাঙালিদের নিয়ে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিল গম্ভীর। পুরো বিষয়টা নিয়ে আমি দাদির সঙ্গে কথা বলেছি। যেভাবে ওর নাম টেনে আনা হয়েছে তাতে দাদি ভীষণ হতাশ। সৌরভের বিরুদ্ধে কোনও কিছুই আমরা কিন্তু বরদাস্ত করব না।’

মজার ব্যাপার হল, দিল্লীর হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলা গৌতম আইপিএলে খেলেন কলকাতার হয়ে। আবার সেই কলকাতার দল মনোজ আইপিএলে এখন খেলেন দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। দু’জনই রঞ্জি ট্রফি দলের অধিনায়ক। আরও কাকতালীয় ব্যাপার হল, মনোজ আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন কলকাতার হয়ে, আর গম্ভীর শুরু করেন দিল্লীর হয়ে।

গম্ভীর মিথ্যে কথা বলছেন দাবি করে মনোজের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমাকে নিয়ে গম্ভীর যা বলছে, সেটা সত্যি হলে কেন আমার মাত্র ৪০ শতাংশ আর ওর ৭০ শতাংশ জরিমানা হল? বিষয়টা শুধু স্লেজিং হলে কিছু মনে করতাম না। কিন্তু কারোর মাকে নিয়ে কটূক্তি ঠিক নয়। আর গম্ভীর তো কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেন। আইপিএলে কলকাতা ক্রিকেটপ্রেমীরা তো সবসময় ওদের সমর্থনে গলা ফাটায়। সে কীভাবে বাঙালিদের নিয়ে কুকথা বলতে পারে, ভেবে পাচ্ছি না।’ শনিবার ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ক ও দু’দলের ম্যানেজারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি। সেখানে দুই ক্রিকেটারকে জরিমানা করেই ছেড়ে দেন তিনি। বিস্তারিত রিপোর্ট বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ম্যাচ রেফারি ভালমিক বুচ।

 

বোর্ড যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এদিন সে ইঙ্গিত দিয়েছেন সচিব অনুরাগ ঠাকুর। বলেন, ‘কোনও খেলাতেই এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গেও কথা বলব। দোষী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ হাত গুটিয়ে বসে নেই পশ্চিম বঙ্গ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলও (সিএবি)। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘আমরা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। দল বাইরে রয়েছে। কলকাতায় ফিরলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনা–চিন্তা করব।’ রবিবার রাতে অবশ্য গম্ভীর একটি বিবৃতি দেন, যেখানে পুরো ঘটনাই তিনি অস্বীকার করেছেন।  বলেন, ‘রবিবার মনোজ জানিয়েছে আমি নাকি বাঙালি জাতি এবং আমার প্রিয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, যাকে আমি দাদা বলে ডাকি, তাকে নিয়ে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছি। আমি জানাতে চাই, এই নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তেওয়ারির কল্পনাপ্রসূত। আমি একজন গর্বিত ভারতীয় যে সমস্ত ধর্ম, জাতি এবং লিঙ্গকে শ্রদ্ধা করি। এছাড়াও, আমি কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে বাঙা‍লিদের প্রচুর ভালবাসা এবং অভিবাদ‍ন পেয়েছি। এর আগেও প্রচুর সাক্ষাৎকারে আমি জানিয়েছি, বাংলা আমার কাছে দ্বিতীয় ঘরের সমান এবং তার মূল কারণ অবশ্যই কে কে আর।’ সৌরভের অধীনেই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন গম্ভীর। সেই ঘটনার উল্লেখ করে তার মন্তব্য, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভের অবদান অবর্ণনীয়। দাদার নেতৃত্ব থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় গোটা ঘটনায় দাদার নাম টেনে আনা হয়েছে।’ গম্ভীর এও দাবি করেন, তার ৭০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা যাওয়ার কথাও মিথ্যা। বললেন, ‘তিওয়ারী নাকি এও বলেছে আমি মূল দোষী বলেই আমার ৭০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়েছে। কিন্তু এটা ভুল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি অপরাধ করেছি বলেই এই জরিমানা হয়েছে।’

মনোজ তিওয়ারী–গৌতম গম্ভীর বাকবিতণ্ডায় সৌরভ গাঙ্গুলির নাম আসায় স্বভাবতই স্বয়ং সৌরভ ব্যাপারটা নিয়ে কিছুটা বিব্রত। তবে এই ব্যাপারে তিনি খানিকটা কুটনৈতিক জবাব দিলেন কলকাতার দৈনিক আজকালকে, ‘এই ঘটনায় আমাকে কেন টানা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। মনোজ ফিরলে বিষয়টা নিয়ে ওর সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা বলব। আসলে গৌতম যা বলেছে সেটা তো মনোজকেই বলেছে। ফলে ওই বলতে পারবে কোন পরিস্থিতিতে ঠিক কী হয়েছিল। কিছুটা শুনেছি, কিছু ঘটনা পড়েছি। ক্রিকেট মাঠে বিতর্ক হয়েই থাকে, তবে এধরণের ঘটনা কাম্য নয়।’ ঘটনাটা ঘটে দিনের অষ্টম ওভারে। সে সময়, দিল্লীর মনন শর্মার বোলিংয়ে বাংলার পার্থ সারথী ভট্টাচার্য আউট হন। এরপর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মনোজ তিওয়ারী। স্ট্রাইক এন্ডে ছিলেন মনোজ। কিন্তু, বোলিং লাইন আপে থাকা বোলার দৌঁড় শুরু করার পর হঠাৎই তাকে আটকে দেন তিনি। ড্রেসিং রুমে ইশারা করে কাউকে হেলমেট আনতে বলেন। দিল্লীর খেলোয়াড়রা মনে করছেন এটা বোলারের মনো:সংযোগ নষ্ট করার জন্য ইচ্ছা করে করা। মনন আর মনোজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘটনায় আবির্ভাব ঘটে গম্ভীরের; গালমন্দ করতে থাকেন বাংলার অধিনায়ককে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − fifteen =