চাঁদপুর জেলা ফরিদগঞ্জ থানা ১৪ নং দক্ষিন ইউপি

0
1666

২নং ওয়ার্ড  পশ্চিম পোয়া এলাকায় বরাদ্দকৃত
ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রনালয়ের ৯ টন চাল আত্মসাতকারী কে এই আঃ মালেক?

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফরিদগঞ্জ পশ্চিম পোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট কাজের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় দেয়া সরকারী বরাদ্দ ৯ টন চাল আত্মসাত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২৪ জুন সোমবার সকাল ১০ টায় নব নির্বাচিত কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত করেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান সরদার। সভায় বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ফজল আহমেদ মাষ্টার, সমাজ সেবক মাও. মাহবুবুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম রাঢ়ী, মাও. খাজে আহমেদ হারুনুর রশিদ জমাদার। উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। সভায় বিদ্যালয়ের ম্যানের্জি কমিটির সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার ৯ টন চাল বরাদ্দ দেয়। উক্ত বরাদ্দের চাল পাই নাই। প্রকল্প চেয়ারম্যান ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন কিছু পরিমান টাকা আমাকে দিতে চাইলে আমি নেইনি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরো বলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পিআরও সফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, পিআরও বলেন বরাদ্দকৃত চাল তিন ভাগ করা হয়। ১ ভাগ আঃ মালেক, ১ ভাগ পিআরও উপজেলা অফিস এবং ১ ভাগ স্কুল কমিটির। উন্নয়ন প্রকল্পের সম্পদক সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজল আহমেদ মাস্টর বলেন আমাকে প্রকল্প কমিটিতে রাখা হয়েছে কিন্তু ৯ টন চাল উত্তোলনে আমি কিছুই জানি না। ৯ টন আত্মসাতের ঘটনার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা অফিসার ফরিদ উদ্দিন আওয়ামীলীগের নেতা হাজী আবুল কাশেম কন্টেকটার এলাকাবাসীকে বলেন আমি ফরিদগঞ্জ যাইয়া যে ভাবেই হউক আপনাদের স্কুলের ৯ টন চালের টাকা ব্যবস্থা করে দিব এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন করা হয়। পুলিশ সুপার, জেলা গোয়েন্দা আনচার্জ আবেদনটি দেয়। গোয়েন্দা ইনচার্জ বিবাদীদেরকে নোটিশ জারী করেন ১১/০৮/২০১৩ ইং জেলা গোয়েন্দা অফিসে বিবাদীরা হাজীর হইয়া টাকা দিবে বলিয়া অঙ্গিকার করিয়া যায়। অদ্যবধী স্কুলের মাঠ ও পুকুর ভরাটের ৯ টন চাউলের মূল্য ম্যানেজিং কমিট পায় নাই। পূর্বেও মন্ত্রনালয়ের দালাল আঃ মালেক স্কুলের নামে ১১ টন চাউল ও গম আত্মসাত করিয়াছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন মিজি, সাং কুমড়াডুগি, পোঃ শাহতলী বাজার, উপজেলা ও জেলা চাঁদপুর। ড্রজার দিয়ে ডাকাতিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্কুলে পুকুরটি ভরাট করে। ২৫ হাজার মাটি ১ লক্ষ টাকা মূল্য পুকুর ভড়াট অবস্থায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুয়ারী, ইয়াবা, ফেন্সিডেল, গাজাঁ বিক্রয়কারী ও সেবনকারী মোঃ সামিম হেসেন দীপু (২৮) পিতামৃত নজির আহমেদ, পশ্চিম পোয়া, পোঃ কালীরবাজার, থানা ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর। বর্তমান বাসা ফরিদগঞ্জ থানার পশ্চিম পার্শ্বে ০৫/০৪/২০১৩ ইং তারিখে স্কুল ভড়াটের কাজ শুরু করে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে  ০২/০৮/২০১৩ ইং সকাল ৯ ঘটিকায় পুকুর ডোবা ভরাটের চুক্তি নামা করে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এলাকার চুক্তি নামায় ২/৩/৪/৫/৬/৭/৮ নং সাক্ষীগন কার্টিজ পেপারে স্বাক্ষর দিয়েছেন এবং আরো এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট হইতে ২০ হাজার টাকা বুঝিয়া পাইয়া ০৫/০৮/২০১৩ ইং তারিখে পাশের ডাকাতিয়া নদী হইতে ড্রেজার মাধ্যমে স্কুলের ভরাটের কাজ শুরু করেন। এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় দানকৃত টাকায় নতুন ভবন নির্মান এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এ ব্যাপারে আঃ মালেকের মন্ত্রনালয়ের দালাল স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতিকুর রহামন সরদারকে হত্যাকরার জন্য ৫০ হাজার টাকা  চুক্তি দেয়। ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডেল, জুয়ারী, চাঁদাবাজ, রাতে অন্ধকারে সি এন জি যাত্রীদের স্বর্ণলংকার, মোবাইল টাকা ইত্যাদি ছিন্তাইকারী গডফাদার মোঃ শামিম হোসেন দিপু, মোঃ আফসার উদ্দিন, মাইনদ্দিন বাচ্চু, বাশির উল্লাহ বেপারী গং সহ এলকার নিরীহ লোকদের বিচারের নামে করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার। তাহারা কথায় কথায় বলে থানার প্রশাসনকে মিল করে তাহারা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করিয়াছে। আমাদের অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে, আগামীতে তাহাদের আরো চিত্র তুলে ধরা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + three =