Site icon Aparadh Bichitra

লাকসামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানী ৫ লাখ টাকার গাছ লুট

আবাদ মিয়া, কুমিল্লা ঃ  সন্ত্রাসীর নাম মো: বেলায়েত হোসেন, লাকসাম পৌরসভার বাতাখালী গ্রামের বাড়ী। এক সময়ে আওয়ামীলীগের গ্রাম পর্যায়ের কর্মী ছিলেন। দখল বাণিজ্য করেন পুরো দমে। সে সময় আওয়ামীলীগের সমর্থিতরাও তার থাবা থেকে রেহাই পান নি। গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দল পাল্টিয়ে বিএনপিতে চলে যান। তার ধারনা নির্বাচনে এমপি তাজুল ইসলামের ভরাডুবি হবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। অপকর্মের প্রটেকশনের জন্য তাই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপিতে যোগদান।। বর্তমানে বিএনপিতে আছেন। কিন্তু অপকর্ম জায়েজ করার জন্য কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার সাথে টু-পাইসের বিনিময়ে হাত মিলান। তার ছোট ভাই কাঠমিস্ত্রি মোশারফ মশু যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আপন মামাদের সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। মামারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। তবুও রেহাই পাচ্ছে না সন্ত্রাসী ও পরের ধন লোভকারী বেলায়েতের থাবা থেকে। ব্যাপক অনুসন্ধান জানা যায় বেলায়েতের আপন মামা বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা: আবদুল আউয়াল ও ডা: আবদুল কাদের। এক সময়ে মামাদের অর্থায়নে এই বেলায়েতের লেখাপড়া, বাসস্থানসহ যাবতীয় খরচ চলতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ভাগিনা কাল সাপ হয়ে মামাদের ছোঁবল মারবেন ধারনা করেন নি কখনো! অনুসন্ধানে আরো  জানা যায় বাতাখালী গ্রামে মৃত কাছিম আলী প-িতের পরিবারের সন্তান মৃত ডাঃ আবদুল কাদের ও ডাঃ আবদুল আউয়াল। পৈত্রিক সম্পদের মালিকানা ও বন্টন তাদের জীবদ্দশায় ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করে দিয়ে যান। অভিযুক্ত বেলায়েতের মা জমিলা খাতুনের নামে তার নায্য প্রাপ্য হিসেবে ২০ডিং জায়গা খতিয়ান ভুক্ত করে দেন। যার মালিকানাসূত্রে জামিলা খাতুন উক্ত জায়গা ইতিমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই ভাইদের কাছে তার আর কোন দাবী নাই। এ নিয়ে জীবদ্দশায় কোন বিতর্কও তিনি করতে চান না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে জমিলা খাতুনের সন্ত্রাসী ছেলে বেলায়েত মায়ের এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।  বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর ডাঃ আউয়ালেল মালিকাধীন ২টি মেহগনি গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায়। ইতিপূর্বে একই কায়দায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষ টাকায় মূল্যের দেয় শতাধিক গাছ কেটে লুট করে দিয়ে যায়। তার এসব অপকর্মের সহযোগী বাতাখালী পূর্বপাড়ার সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী, সুমন, জহির ও স’মিলের মালিক মইনউদ্দিন প্রমুখ। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল আলিম দিদার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক কাটা গাছগুলো স্থানীয় স‘ মিলে জব্দ করার নির্দেশ দিলেও বেলায়েত বিষয়টি পাত্তা দেয়নি। গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম থানায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ আউয়ালেল ছেলে এক এম সোহরাব হোসাইন অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি ধামাচাপা ও ম্যানেজ করার জন্য বেলায়েত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে মিথ্যা মামলা দায়ের কারীকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছেন।