Site icon Aparadh Bichitra

লাকসাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফ নামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ

জামালউদ্দিন স্বপন, কুমিল্লা ঃ  নির্বাচনী হলফ নামায় ব্যাপক তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে লাকসাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে। গত ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাকসাম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হন রাশিদা বেগম। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিলীয় হলফ নামায় ব্যাপক তথ্য গোপন করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। লাকসাম পৌর সভার গাজিমুড়া গ্রামের চান মিয়া মেয়ে ও দেলোয়ার হোসের স্ত্রী রাশিদা বেগম লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শরির চর্চা শিক্ষক হিসাবে বর্তমানে কর্মরত আছে। সরকারের দুই জায়গা থেকে বেতন বা সম্মানি গ্রহনের অভিযোগে ইতি মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চলছে চিঠি চালাছালি। এদিকে রাশিদা বেগমের নির্বাচনী হলফ নামা নিয়ে চলছে ব্যাপক অনুসন্ধান। বিভিন্ন তদন্ত সংস্থাও এই বিষয়ে তদন্ত করছে বলে সুত্রে জানা গেছে। রাশিদা বেগমের হলফ নামার ‘ক’ ফরমের ১নং ক্রমিকে অস্থাবর সম্পদে দেখা যায় রাশিদা বেগমের নিজ নামে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে এবং তার স্বামী বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভোলাফমেন্ট বোর্ড লাকসাম এর সহকারি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন এর নামে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ৩নং ক্রমিকে ব্যাংক জমা দেখানো হয়েছে তার নামে ৩০ হাজার ও স্বামীর নামে ৮০ হাজার টাকা। ৫নং ক্রমিকে স্থায়ী আমানতে বিনোয়গের পরিমাণ নিজ এবং তার স্বামী ও তার নিরর্ভশীল ব্যাক্তিদের কোন রোপ অর্থ নেই বলে হলফ নামায় দেখা যায়। এদিকে রাশিদা বেগমের নীজ নামে রুরাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (আরসিএল) নামে একটি বেসরকারি সময়বায় প্রতিষ্টানে ১৬ লক্ষ টাকা রক্ষিত আছে বলে জানা গেছে। লাখে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা সুদ হিসাবে ৩২ হাজার টাকা পাওয়ার নিমিত্তে ঐ টাকা রাশিদা বেগম আরসিএল প্রতিষ্ঠানে এমপিডিআর করে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। ২৭ মার্চ ২০১২ সালে ১০ লাখ, ১লা সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে ৩ লাখ, ৩ নভেম্বর ২০১২ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং ১৯ নভেম্বর ২০১২ সালে ৫০ হাজার টাকা ঐ প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখেন লাকসাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা বেগম। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উক্ত ১৬ লাখ টাকা গোপন করে নির্বাচন কমিশনে হলফ নামা জমা দেন রাশিদা বেগম। উক্ত টাকা পাওয়ার জন্য রাশিদা বেগম বিজ্ঞ আদালতে কোম্পানির বিরুদ্ধে গত ১৮ নভেম্বর ২০১৫ সালে সি আর ৬৭৩/১৫ মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য লাকসাম উপজেলা সময়বায় অফিসার ওমর ফারুক মজুমদাকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা গত ১১ জানুয়ারি ২০১৬ সালে লাকসাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা বেগম উক্ত টাকার মালিক ও পাওনাদার বলে একটি প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন।