Site icon Aparadh Bichitra

বাকৃবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত

“জল আছে যেখানে, মাছচাষ সেখানে” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ উদযাপিত হয়েছে। মৎস্য র‌্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মত বিনিময় সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।

জানা যায়, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গেত ২৫ জুলাই ১১ টায় মৎস্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মপুত্র নদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে মৎস্য খামারের উদ্যোগে ব্রাহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.সি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর র‌্যালির শুভ উদে¦াধন ও মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। পোনা অবমুক্ত শেষে ১২ টায় মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে মত বিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়। অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। ওই সময় অনুষদীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হ্যাচারী মালিক ও মৎস্য চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ভি.সি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালী। মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের লক্ষে ১৯৬৭ সালে বাকৃবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ চালু হয়। মৎস্যবিদদের নিরলস চেষ্টায় আজ আমরা মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ।

বিএফআরআই  মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, বর্তমানে প্রতি বছরে আমাদের মাছের উৎপাদন প্রায় এক লক্ষ থেকে সোয়া লক্ষ টন। আগামী ১৯ সালে মৎস্য সম্পদে আমরা স্বয়ংসম্পর্ণ হব। মৎষ্য সম্পদ উন্নয়নে বাকৃবির আবদান অনস্বীকার্য। মৎস্য চাষের সাথে বর্তমানে প্রায় ২কোটি লোক জড়িত। প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ লোকের নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে মৎস্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থান চতুর্থ থেকে ১ম স্থানে আসবে।