চট্টগ্রামে রাজু হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম

0
1499

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত রাজু হত্যা মামলাটি ধামাচাপা পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গত ২০১৫ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী বেরীবাঁধ এলাকায় অনিল কৃষ্ণ জলদাশের ৬ষ্ঠ সন্তান রাজু কুমার দাশ (৭) খেলার চলে ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে বাম হাতটি ভেঙ্গে গেলে স্থানীয় এলাকায় বসবাসরত গেদু মাঝির সহযোগিতায় স্থানীয় কবিরাজ ও ভন্ড ডাক্তার আকবরের স্মরণাপন্ন হলে তিনি তার বাম হাতের কব্জিকে কেটে তাতে কবুতরের মাংস সংযোজন করে চিকিৎসা চালাতে গেলে এক পর্যায়ে রাজুর শরীর থেকে বাম হাতের কব্জিটি আলাদা হয়ে যায়। হাতে পচন শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফৌজদার হাট বক্ষব্যাধী হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করানোর পর রাজু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনার পর রাজুর পিতা অনিল কৃষ্ণ জলদাশ বাদী হয়ে স্থানীয় ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও দীর্ঘ ১ বৎসর ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনার নাটের গুরু হত্যাকারী আকবরকে গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ইপিজেড চত্বরে এক মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় স্কুলÑকলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জলদাশ পাড়ার জনসাধারণ। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন ইপিজেড থানার খামÑখেয়ালীর কারণে আলোচিত মামলাটি লাল ফিতায় বন্দী হতে চলেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৩৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আবু বকর, মোঃ ফরহাদ হোসেন, মোঃ আবছার উদ্দীন সোহেল, মোঃ এমরান হোসেন, মোঃ আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জলদাশ পাড়ার সাগর জলদাশ, রবিন জলদাশ, ইমন জলদাশ, সুমির জলদাশ, সুশীল জলদাশ প্রমূখ। এ সময় উক্ত মানবন্ধনে প্রশাসনের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলেন আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে তাহলে আরো বড় ধরণের কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজু হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে ধর্মঘটের মতো আন্দোলনের ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। তবে এ বিষয়ে রাজুর পিতা অনিল কৃষ্ণ জলদাশ সাংবাদিকদের মুঠোফোনে (০১৬২৯৩৪৭০০৩) বলেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে আবেদন জানাচ্ছি যেন আমি বেঁেচ আমার ছেলে রাজু দাশের হত্যার বিচার আমি বাংলার মাটিতে দেখে যেতে পারি। অপরদিকে রাজুর বড় ভাই কিরণ জলদাশ অভিমত প্রকাশ করে বলেন; আমাদের কাছে টাকা পয়সা না থাকার কারণে থানায় মামলা করেও হত্যার কোন বিচার পাচ্ছি না। অন্যদিকে হত্যাকারীদের কালো টাকার কাছে প্রশাসনও নির্বিকার হয়ে পড়েছে বলে কিরণ অভিযোগ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 2 =