দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও সাবÑরেজিষ্টার অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের কথা আলাপÑআলোচনায় থাকলেও এখন প্রকাশ্যে চলছে এখানে ঘুষ বাণিজ্যের মতো অভিযোগ। অভিযোগে জানা যায় যে, চান্দগাঁও সাবÑরেজিষ্টার কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় সকল কর্মকর্তাই এ ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন। প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায় যে, এখানকার সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া ঘুষ না দিলে ফাইলও নড়াচড়া করেন না। তার কাছে ঘুষই যেন স্বর্গরাজ্য। সরেজমিনে এ অফিসে গিয়ে এ চিত্র ফুটে ওঠে। চান্দগাঁও থেকে আসা মোঃ শেখ সেলিম নামক এক ভূমির মালিক এখানে এসেছিলেন তার জমি রেজিষ্টারী করানোর জন্য। অফিসে ভূমি অফিসের দু’তলায় অবস্থিত পশ্চিম পাশের্^র ২য় চেয়ারে বসেছিলেন মোঃ ইলিয়াছ মিয়া। তিনি শেখ সেলিমকে জানালেন জমি রেজিষ্টারী করার পূর্বে ফাইল তদন্ত করে দেখতে হবে জমি আপনার আছে কিনা। তারপর খাজনা প্রদানের মাধ্যমে আপনার জমি রেজিষ্টারী করাতে প্রথমে আপনাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। এভাবেই মোঃ ইলিয়াছ মিয়া প্রতিদিনের কার্যকলাপ শুরু হয় বলে জানা যায়। অবশেষে মোঃ শেখ সেলিম ইলিয়াছ মিয়াকে নগদে ১০ হাজার একটি প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিলে ইলিয়াছ মিয়া কিছু না বলেই প্যাকেট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর ফাইল হাতে এসে তিনি বলেন আপনার সব কাজ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উক্ত অফিসে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; ঘুষ ছাড়া কিংবা কোন লেনদেন ছাড়া এখানে কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ এ অফিসে সিঁড়ি বেয়ে আসতে প্রত্যেক কর্মচারীকে ৪-৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হয়েছে। কে বা কাহারা এ টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে বলেন মন্ত্রী পর্যায়ে ক্ষমতার চেয়ারে যারা বসে আছে তাদেরকে তদবির করে এখানে আসতে হয়েছে। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামে ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের বহু সংবাদ পত্র পত্রিকায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হলেও মোঃ ইলিয়াছ মিয়ার মতো কর্মকর্তারা সরকারী উচ্চ পদস্থ মন্ত্রীদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থেকে রাতারাতি আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। অথচ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ভূমি মন্ত্রাণলয়ের ভূমি প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামÑ১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সম্পূর্ণভাবে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা যায়।