প্রতরণার শেষ কোথায়, মুসলিম অথচ মঘা শ্যামী পরিচয়ে নগরীর কালুরঘাটে এক ভন্ড বৈদ্যের রমরমা অপচিকিৎসা বাণিজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা অভিযান জরুরী

0
2479

মোহম্মদ করিম,চট্টগ্রাম ঃ
বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহরে  আদিকাল থেকেই কবিরাজী চিকিৎসা চলে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে এই সেবা তার নিজস্ব পবিত্র ধারায় অব্যাহত থাকতে পারছে না কিছু অসাধু ও অর্থলোভী লোক এ হারবাল চিকিৎসাকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই অভিনব প্রতারণার বিষয়টি দেখা গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক কোন অবস্থাতেই নড়ছে না । চট্টগ্রামের শহরের প্রায় প্রতিটি থানায় কোন না কোন জায়গায় ছোট-বড় একটি দোকান ভাড়া করে অথবা রাস্তায় ফুটপাতে চালিয়ে যায় তাদের চিকিৎসার নাম করে প্রতারণা। ভুয়া কবিরাজ, ভন্ড বৈদ্য, ডাক্তার আর ঔষুধ ব্যবসায়ীরা আজ আঙ্গুল ফুলে তালগাছ। সর্বত্র ভুয়া চিকিৎসক ও ভুয়া প্রাইভেট ক্লিনিকের ছড়াছড়ি। অসংখ্য রোগীদেরকে প্রতারিত করে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে এসব ডাকাত চিকিৎসক ও ক্লিনিক নামক প্রতারণার ফাঁদ আশংকাজনক হারে বেড়ে চলছে। মাঝে মাঝে র‌্যাব- পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত কিছু ভুয়া চিকিৎসক প্রাইভেট ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সংবাদ গনমাধ্যমে প্রচারিত হয়। কিন্তু এর পরও থামছে না চিকিৎসক নামক ডাকাত ও ক্লিনিক নামক প্রতারণার কারখানাগুলোর অপকর্ম। তারা মানছে না কোন সরকারী নীতি মালা। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও বিভিন্ন জেলার কিছু অসাধু সিভিল সার্জনকে হাত করে প্রতারক চিকিৎসক ভুয়া কবিরাজ, ভন্ড বৈদ্য, আর ঔষুধ ব্যবসায়ীরা এবং ভুয়া ক্লিনিকগুলো দেদারসে তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ক্ষমতাসীন দলীয় নেতা ও স্থানীয় মাস্তানদেরকে মাসোহারা দিয়েও চলছে চিকিৎসার নামে প্রতারণা। চট্টগ্রামে এ ধরনের একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক চিকিৎসক ও তার ঔষুধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট রোডস্থ কাপ্তাই রাস্তার মাথায় নবরতœ পাহাড়ী ঔষধালয়  নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এক মুসলিম ব্যাক্তি নিজেকে মঘা শ্যামী (মগ) বৈদ্য কথিত কবিরাজ পরিচয় দিয়ে রমরমা অপচিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসার নামে ভুয়া কবিরাজ তথা ওই ভন্ড বৈদ্যের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে দূরদুরান্ত  গ্রাম গঞ্জ থেকে আসা সাধারণ অল্পশিক্ষিত লোকজন। নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অভিযান জরুরী বলে সচেতন মহলের দাবী। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় নবরতœ পাহাড়ী ঔষধালয়  নামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত ও সিসি ক্যামরার নিরাপত্তার মোড়কে আবৃত এ প্রতিষ্ঠানে আব্দুর রহমান মিলন নামের এক মুসলিম ব্যাক্তি নিজেকে মঘা শ্যামী (মগ) বৈদ্য কবিরাজ হাকিম পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সমিতি, সরকার অনুমোদিত কম্পিউটার প্রিন্ট করা বেশ কিছু ভুয়া সার্টিফিকেট  রোগীদের প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন কল্প কাহিনী প্রচার করে লোকদেরকে শুনানো হয় বিভিন্ন জটিল কটিন রোগের মহৌষদের কল্প কীর্তি কাহিনী । যৌন, চর্ম, বাত, ব্যাধী, গ্যাষ্টিক হাঁপানী, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, অর্শ্ব -পাইলস, মহিলাদের লিকুরিয়া, শ্বেত– প্রদর এমনকি ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল কঠিন রোগের পাহাড়ী লতাপাতার তৈরী অব্যর্থ ঔষুধ বলে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে বিক্রি করছে করে আসছে দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে। পড়ালেখার ডিগ্রি না থাকলেও নিজকে দন্ত চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দাতের যাবতীয় রোগের চিকিৎসাও করে থাকেন ওই ব্যাক্তি। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনামূলক চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ অল্পশিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। রোগ যত জটিল কটিন হোক না কেন সমস্থরোগের ঔষুধ মিলে তার ঔষধালয়ে। এসব ঔষুদের ক্রেতাদের বেশিরভাগ গ্রাম থেকে আসা সাধারণ সহজ সরল লোকজন । ভন্ড বৈদ্য ভূয়া এ কবিরাজ থেকে নেয়া বিভিন্ন রোগের গ্যারান্টি যুক্ত ঔষুধ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নানা রোগের এসব ঔষূধ খেয়ে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে উল্টে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সহজ সরল মানুষ । আবার অনেক রোগীকে ঔষুধে কাজ না হলে তাবিজ দিয়ে চিকিৎসা করায় । ভন্ড বৈদ্য মিলনের প্রতিষ্ঠানটি জনবহুল স্থানে হওয়ায় এবং বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকা ও ডিস চ্যানেলে চোখ ধাঁধানো নানা প্রতারনামূলক চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করার কারণে রোগীর সংখ্যা খুব বেশী। বিজ্ঞাপনে মহিলাদের অশ্লীল নগ্ন ছবি দেখিয়ে বিভিন্ন রোগের বর্ননা করে অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে প্রচারণা চালানো হয়। ঔষধের বেশীর ভাগই সেক্স সংক্রান্ত হওয়ায় বেচা বিক্রিও কম নয়, ভুক্তভোগী বেশ কয়েক জন রোগী এ প্রতিনিধিকে জানান, কবিরাজ তথা মগাশ্যামী আব্দুর রহমান মিলনের কাছ থেকে কিনে নেওয়া ঔষুধ খেয়ে সাময়িকভাবে ভাল লাগলেও  পরবর্তীতে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বশান্ত হতে হয়। বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকদেরকে  যৌন উত্তেজক ঔষুধ বিক্রি করে  হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর টাকা সেই সাথে বিপদগামী হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। সচেতন মহলের ধারনা, এসব অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা  না নিলে  ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষার্থীরা, অবিভাবক মহল দিন দিন তাদের সন্তানদের মেধা শূন্য হয়ে পড়বে বলেও আশংকা করছেন।
শুধু তাই নয় ভয়ঙ্কর আব্দুর রহমান মিলন প্রতারনার আর কি বাকি রেখেছেন,স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় মাসের পর মাস বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার চালান ওস্তাদ মঘাশ্যামী এখন চট্টগ্রামে সমস্যা থেকে সমাধান । এ বিজ্ঞাপনে যার একবার চোখ পড়বে সে তার কাছ থেকে সমস্যার সমাধান করতে আসবে অবশ্যই। মানুষ মগ বৈদ্যকে বিশ্বাস করে ,অনেকের ধারণা মগ বৈদ্যের মাধ্যমে মগা তন্ত্র ,মগা শাস্ত্রের চিকিৎসা ভাল। মানুষের এ বিশ্বাসকে পুঁজি করেও ভন্ড বৈদ্য মিলনের প্রতারনার শেষ নেই। মানুষ এমনিতো নানামুখি সমস্যায় জর্জরিত সেখানে যদি সমস্যার সমাধান করতে এসে প্রতারনার ফাঁদে পড়ে মোটা অংকের টাকা পয়সা কথিত বৈদ্যের পকেটে আটকা পড়ে তাহলে তো নতুন করে আর একটি সমস্যায় পড়ে গেল। প্রতারনার মাধ্যমে বৈদ্য একবার কারো কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিলে কাজ হোক বা না হোক সে টাকা আর ফেরত নাই। ধরে নিতে হবে  উল্টো টাকা দিয়ে বিপদে কিনেছে। প্রতারক বৈদ্য মিলন পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে যা প্রচার করেন তার কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হল সংসারে কলহ, স্বামী স্ত্রীর অমিল, প্রেমে ব্যর্থতা, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, চাকুরীতে সমস্যা,ব্যবসায়ে লোকসান, বিদেশ যাত্রায বাধাঁ, শত্রুকে পরাস্থ, বিয়েতে বাধাঁ, জায়গা জমি বিরোধ, ছেলে মেয়ে অবাধ্য, বিদেশ অবস্থান কারীকে ফিরে আনা, কফিলকে বাধ্য করা, যাদু- টোনা-বান কাটানো, হঠাৎ পাগল ও বোবা হওয়া, জ্বীন-পরীর আছর থেকে মুক্তি, এরকম প্রায় হাজারো সমস্যা মাত্র ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ১০০% গ্যারান্টি সহ তদ্ববীর দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপনের নিচে লেখা আছে ভিপি ও পার্শ্বেল যোগে তদ্ববীর পাঠানো হয়। তার নিচে ছোট অক্ষরে তার ঔষধালয়ের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও শেষের দিকে লিখা আছে বৈদ্যের মোবাইল নং ০১৭২৪২৩২৭৮৮। প্রতারণার শেষ কোথায়, সব কিছু দেওয়া থাকলেও বিজ্ঞাপনের কোথাও দেওয়া হয়নি এত বড় কবিরাজ বৈদ্য তথাপি কথিত মগাশ্যামীর নাম যার তদ্ববীরে হাতের ইশারায় মগা তন্ত্রের মাধ্যমে হাজার হাজার রোগীর হাজার রোগের চিকিৎসা হচ্ছে যার জাদুকরী ছোঁয়ায় যাবতীয় সমস্যা সমাধান হচ্ছে। তার নাম বিজ্ঞাপনের শুরুতে থাকার কথা। সেখানে নাম একেবারে বাদ, ঘটনা কি ? হ্যা রহস্য লোকানো, ঘটনা হচ্ছে নাম দিলে তো মানুষের কাছে সহজে ধরা পড়তে পারে সে যে প্রকৃত মগা শ্যামী কিংবা মগ বৈদ্য নয়। যার প্রকৃত নাম আব্দুর রহমান মিলন। সে একজন মুসলিম হয়ে মগ বৈদ্য ও ভুয়া কবিরাজ পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে নানামুখি প্রতারণার  বিষয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতারনামূলক বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে ছিলেন নাছিমা আক্তার নামের এক গার্মেস শ্রমিক। নাছিমা তার স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে বাচাঁর জন্য সর্বশেষ উপায় হিসেবে সমস্যা সমাধানের জন্য গিয়েছিলেন মগা শ্যামী বৈদ্য মিলনের কাছে। মিলন এ মহিলাকে স্বামীর সাথে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মধুর মিলন হবে সম্পর্ক ভাল হয়ে যাবে,যাবতীয় অমিল দূর হয়ে যাবে আশ্বাস দিয়ে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে একটি তাবিজ প্রদান করবেন। বিনিময়ে মহিলাকে দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। অসহায় মহিলা নাছিমা আক্তার নিরুপায় হয়ে স্বামী স্ত্রীর অমিল দূর হওয়ার এক বুক আশা নিয়ে বাসার ফ্রিজ,স্বর্ণ অলংকার বিক্রি করে বৈদ্য আব্দুর রহমান মিলনকে নগত ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু  বৈদ্যের কথা আর কাজের কোন মিল নাই । এক , দুই, তিন সপ্তাহ এমনি করে মাস চলে যায় কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। উল্টো রিয়েকশন স্বামী আগে নাছিমাকে বাসার ভেতর নির্যাতন করলেও  তাবিজ নেওয়ার পর মারধর করে  বাসার ভেতর থেকে বের করে দেয়। তাবিজের কোন ফল না হওয়ায় নাছিমা বৈদ্য মিলনের কাছে গিয়ে তার টাকা ফেরত চায়। বৈদ্য মিলন নাচোড় বান্দা কোন অবস্থাতেই টাকা ফেরত দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। কাজ না হওয়ায় মহিলাকে সে কু প্রস্তাব দিতে ও লজ্জাভোধ করেনি। মহিলা বৈদ্যের কথায় রাজি না হয়ে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর চান্দগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এসআই আব্দুল কাদের সঙ্গীয় ফোর্স সহকারে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ভুক্তভোগী মহিলা নাছিমাকে কথিত ভন্ড বৈদ্য মিলনের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দেয়। শুধু তাই নয় কথিত এ বৈদ্যের প্রতারনার শিকার হয়ে অনেকে আজ নিংস্ব হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন তার নানামুখি প্রতারণার শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। সূত্রে জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে মিলন একজন  কোটিপতি। শহরে ও গ্রামের বাড়িতে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ। প্রতারণার নানা বিষয় নিয়ে তার ব্যক্তিগত মুটোফোন ০১৭৩৩৩৫৭৯৬০ নাম্বারে জানতে চাইলে সে সমস্থ বিষয় অস্বীকার করে বলেন “আমার চিকিৎসায় মাঝে মাঝে দু এক জনের কাজ না হলেও বেশিরভাগ ভাল হয়ে যায়। আমি কোন প্রতারণা করি না। নাছিমার বিষয়ে কাজ হয়নি কেন জানাতে চাইলে দমকি দিয়ে বলেন“ কিয়ের লাইগা তুই আমার কাছে প্রশ্ন করার কে ? তোর মত দুইশ সাংবাদিক আমি চরাই, আমি এখানে এমনে ব্যবসা করি না” একথা বলার পর অশ্লিল গালিগালাজ করে সংযোগ কেটে দেয়। এদিকে ভুক্তভোগী ও  স্থানীয়রা  অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন  আব্দুর রহমান মিলন  কোন চিকিৎসক কিংবা কবিরাজও নয় সে একজন প্রতারক। যার অপচিকিৎসা বাণিজ্যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সে কখনও নিজেকে দন্ত চিকিৎসক,কখনও কবিরাজ, মগা শ্যামী আবার কখনও কখনও নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে সম্পূর্ণ প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ তার প্রতারণার খবর প্রশাসন ও জেনে গেছে। এরপরও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন রুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হ্েচ্ছ না। সচেতন মহল যত দ্রুত সম্ভব কথিত ভন্ড বৈদ্য মগ পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমান মিলনের প্রতিষ্ঠান নবরতœ ঔষুধালয়ে জরুরী ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার পূর্বক তার যাবতীয় অবৈধ ঔষুধপত্র জব্দকরে প্রতরণামূলক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। অন্যতাই  সচেতন মহল এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে মহাসড়কে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে হবে জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =