নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বোয়ালখালী পৌর এলাকার এক অসহায় বৃদ্ধের বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেয়ায় মেয়েকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করলে মুমুর্ষ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমদন্ডী গ্রামের হাজী আহম্মদ নবীর বাড়িতে গত সোমবার দুপুর ১টায় এঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগে জানা যায়, হাজী আহম্মদ নবী মসজিদে যাওয়ার সময় তার বাড়ীর সামনে একটি ফিকআপ গাড়ীর ড্রাইভার করিম সওদাগরের বাড়ী কোথায় জিজ্ঞাসা করলে সে করিম সওদাগর নামে কোন লোক নাই কিন্তু করিম বক্স নামে এক লোক আছে বলে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই এলাকার মৃত মাহামুদ বক্সের পুত্র সন্ত্রাসী মোঃ রুবেল(২৩) ও মোঃ ইসহাকের পুত্র মোঃ ফয়সাল(২০) আহাম্মদ নবীর পথরোধ করে করিম সওদাগরকে চিনেনা বলে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। চিৎকার শুনে মেয়ে কহিনুর আক্তার এসে মসজিদের ইমাম সাহেবের সহযোগিতায় পিতা আহাম্মদ নবীকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। এর ১৫/২০ মিনিট পর সন্ত্রাসী রুবেলের নেতৃত্বে রোকন উদ্দিন(২৫), খোরশেদ আলম(২৩), করিম বক্স(৫৫), জয়নাল আবেদিন(২২), ফয়সাল(২০), মাঃ আব্বাস উদ্দিন(২২) সহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-শোঠায় সজ্জিত হয়ে আহম্মদ নবীর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এসময় সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেওয়ায় মেয়ে কহিনুর আক্তারকে এলোপাতারি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তার মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে, পরনের কাপড়-চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় কহিনুরকে সর্বশেষ গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সন্ত্রাসীরা তার গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহম্মদ নবী ও তার মেয়ে কহিনুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলাকারীরা বাড়ির দরজা, জানাজা, কলিং বেল, বাল্ব, ঘেরাবেড়া, পানির পাইপ,চেয়ার টেবিল,আলমিরাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে অনুমান ৮৫ হাজার টাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার বিষয়ে গুরুতর আহত কহিনুর আক্তার বাদি হয়ে বোয়ালখালী থানায় ওই দিনই ৭ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। থানার এস আই বেলাল ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানান। থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।