“এমন যদি সবাই হত” রাজধানীর আদাবরে যুবলীগের দৃষ্টান্ত আরিফুর রহমান তুহিনের নির্দেশে এবং মোঃ বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা যুবলীগ কর্মীদের আইনী সহযোগিতায় র‌্যাব-২

0
2339

এস.ডি বাবু ঃ
রাজধানীতে ক্রাইম জোন খ্যাত ভয়ংকর  থানাগুলোর মধ্যে অন্যতম আদাবর থানা। এই থানার জন্ম ২০০৫ইং সন থেকেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ সহ খুন-খারাবি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই অপরাধের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল মাদক ও জুয়া খেলা। এখানের অলি-গলিতে দেদারসে মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলার রমরমা আসরগুলোর জন্য অপরাধীরা নির্বিঘেœ অপরাধ করত। আশ্চর্যজনক বিষয়-২০১০ইং সাল থেকে এই থানার অপরাধ অলৌকিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৬ইং সাল থেকে এখন পর্যন্ত অভূতপূর্ব সাফল্যের পথে আদাবর থানা। এই সাফল্য বা অপরাধ কমার পিছনে বিশেষ অবদান রেখেছে আদাবর থানার যুবলীগ। আদাবর থানার যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আরিফুর রহমান তুহিনের কঠোর নির্দেশে এবং ১০০নং ওয়ার্ডে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার মাদক ও জুয়া’র ব্যবসা বন্ধে একাত্মভাবে সহযোগিতা করেছেন যুবলীগ কর্মীরা। বিগত বিএনপি সরকারের শেষদিকে তৎকালীন বিরোধী দলের (বর্তমান সরকারী দল) উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছিল বিএনপি সরকারের লেলিয়ে দেয়া আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে আওয়ামীলীগের প্রথম সারির নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরাও রেহাই পায়নি।

02তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের ডাকা একটি হরতালে ফার্মগেট এলাকায় আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর আক্রমনে বর্তমান মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকাবস্থায় পথচারীরা তাকে ফার্মগেট আল-রাজী হাসপাতালে ভর্তি করে। এমনিভাবে অনেক নেতা ঐ সময়ে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়েছিল। আওয়ামীলীগের বহু নেতা-কর্মী ছিল জেলহাজতে। গ্রেফতার আতংকে বহু নেতা-কর্মী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আন্দোলনে মাঠ যখন প্রায় শূন্যের কোঠায় ঠিক এমন সময় রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় সন্ধ্যার সময় কপালে কালো কাপড় বেঁধে হাফ প্যান্ট পড়ে দুই হাতে ২টি মশাল নিয়ে এই অকুতোভয় আরিফুর রহমান তুহিনের নেতৃত্বে রাজপথে একটি মিছিল বের হয়। ঠিক পরেরদিনই ঐ মশাল মিছিলের উত্তাপ রাজধানী সহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ঐ তীব্রতা দেখে বিএনপি তখন ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে এই আরিফুর রহমান তুহিন-কে বিগত সিটি কর্পোরেশনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে পুরস্কৃত করেন। কিন্তু আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর অপকৌশলের কাছে নির্বাচনে হেরে গেলেও অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে কখনো হেরে যাননি এই যুবলীগ নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ কর্মীর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে সর্বকালের রেকর্ড পরিমাণ ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে র‌্যাব-২। এছাড়া যুবলীগ

03 কর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে এই এলাকা থেকে মদ, গাঁজা, বিয়ার, ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ এবং অদ্যবধি পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যুবলীগের এই মহৎ উদ্যোগ এবং র‌্যাব-২ এর তৎপড়তায় পুরনো তালিকাভূক্ত মাদক ব্যাবসায়ীরা ব্যাবসা ছেড়ে দিচ্ছেন অথবা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। কিন্তু নব্য মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন কৌশলে বিভিন্নভাবে মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান তুহিনের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার সাথে হাত মিলিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইয়াছিন মোল্লা। তিনিও বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধীদেরকে র‌্যাবের হাতে সোপর্দ করেছেন। এজন্য তিনিও বিভিন্ন সময় সুবিধাভোগী নেতাদের চক্ষুশূল হয়েছেন। আদাবর এলাকার সবচেয়ে পুরনো জুয়ার আসর ছিল হাবিব ওরফে পক্ষীর জুয়ার আসর। এই জুয়ার আসরের কারণে পর পর ৩ দিনের ব্যবধানে একজন গৃহবধূ এবং একজন মধ্য বয়স্ক নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। যুবলীগ নেতা মোঃ বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মীরা উক্ত জুয়ার আসর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বেশ কিছুদিন জুয়ার আসর বন্ধ থাকার পর ঐ কুখ্যাত মাদক চক্রটি নবোদয় বাজার সংলগ্ন একটি স্থানে এবং একটি স্কুল ঘরে আবারও জুয়ার আসর বসায়। এবারও বাঁধা দিয়ে জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয় যুবলীগ কর্মীরা। কিন্তু ঐ অপরাধ চক্রটি এখনও তাদের অপকর্ম করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা মোঃ বাচ্চু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন-ভাই ৩০ বৎসর যাবত আওয়ামীগের রাজনীতি করি, পেশায় ছিলাম একজন সাধারণ ড্রাইভার। এখনও ড্রাইভার ও শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করি। মাদক ও জুয়া প্রতিরোধ করতে গিয়ে আমাদের ভাই আরিফুর রহমান তুহিন সহ আমাদের দলের একশ্রেণীর সুবিধাভোগী নেতাদের চক্রান্তের শিকার হয়েছি। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের নামে নানা কুৎসা রটনা সহ এখনও আমাদেরকে সমাজে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবুও থেমে থাকবেনা আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। আমাদের কোন পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু যারা ঢাকা শহরে এসে রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে জীবন-যাপন করতো তারাই এখন অঢেল সম্পদের মালিক। এই মাদক ও জুয়া ব্যবসায় ঐ চক্রটিই জড়িত। দলে যাদের কোন অস্তিত্ব নেই, তারাই দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে
দীর্ঘদিন যাবত এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আমাদের ভাই আরিফুর রহমান তুহিন বলেন-আমাদের দলে কোন জুয়ারী ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কোন নেতা বা কর্মী থাকিতে পারিবে না। আপনারা তদন্ত সাপেক্ষে ঐ সকল সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী পাতি নেতাদের বিরুদ্ধে আপনাদের প্রত্রিকায় তাদের কর্মকান্ড প্রকাশ করলে তাতে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার আগামী সংখ্যায় যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান তুহিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × one =