Site icon Aparadh Bichitra

‘ওষুধে মোটা করা মাংস খেলে মানুষও মোটা হয়

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, কৃত্রিম উপায়ে ওষুধে মোটা করা গরুর মাংস খেলে মানুষও মোটা হয়। শনিবার সকালে পবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবা আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। বক্তারা বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড জাতীয়-ডেকাসন, ওরাডেক্সন, প্রেডিনিসোলোন, বেটনেনাল, কর্টান, অ্যাডাম-৩৩, পেরিঅ্যাকটিন ইত্যাদি অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ট্যাবলেট ও ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটা করছে। এসব গরুর মাংস খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার, হৃদপিন্ড সহ মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বক্তারা বলেন, এসব গরুর মাংস খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই নিরাপদ মাংস পেতে প্রাণিস¤পদ অধিদফতরের মাধ্যমে পশু খামার এবং পশুর হাটে নিয়মিত মনিটরিং ও মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা করা, প্রাণিস¤পদ অধিদফতর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্থলবন্দরে আমদানিকৃত গরু পরীক্ষা, পশুর হাটে পশুচিকিৎসকদের টিম দ্বারা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. লেলিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন পবার নির্বাহী সাধারণ স¤পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, প্রফেসর ড. মো. আবু সাঈদ, পুষ্টিতত্ত্ববিদ ডা. সুমাইয়া ইসলাম, বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সমন্বয়কারী  নজরুল ইসলাম, পবার নির্বাহী সদস্য শাহীন আজিজ, আবুল হাসনাত, পবার সহ-স¤পাদক মো. সেলিম প্রমুখ।