মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
প্রতিদিনের মতো বুধবার দিন ভোর উলিপুর উপজেলার নামাজের চর ক্যাম্পের পাশে জুয়া খেলার আসর হয়ে থাকে। গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জুয়াড়িরা থানায় টাকার বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্য হটাৎ ফোন আসে। তাৎক্ষনিকভাবে জুয়ারিদের মোটরসাইকেলসহ ৭জনকে আটক করে থানাপুলিশ। সারাদিন থানা হাজতে রেখে সন্ধার দিকে টাকার বিনিময় ও সমঝোতায় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশকে টাকা দিয়ে প্রতিদিন জুয়া খেলার আসর বসে। প্রত্যেক দিনের মতো সকাল বেলায় থানায় জুয়া খেলার বিট নিতে যায়। পরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে এএসপি ফাঁড়ি থানার ইনর্চাজরের মুঠোফোনে কল করে জুয়ার খেলার বিটের বিষয় জানতে চাইলে ঐ ইনর্চাজ থানায় জুয়া খেলার বিট নিতে আসা জুয়ারিদের তাৎক্ষনিকভাবে আটক করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া প্রায় এক মাস থেকে মেলার নামে বিশাল জুয়ার আসর হয়ে আসছে। প্রতিদিন মেলা উপলক্ষে ফাঁড়ি থানার পাশে বসে জমজমাট জুয়ার আসর।
তবে অন্যকথা বলে জুয়াড়িরা, চাহিদামত ভাগ না পাওয়ায় পুলিশ আমাদের (জুয়ারীদের) থানায় মোটরসাইকেলসহ আটক করে। দুইদিন পর আবারো গতকাল রোববার মেলার নামে জুয়ার আসর বসলে গোপন সংবাদের মাধ্যমে এএসপি রিপন তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নেয় ফাঁড়ি থানার উপর তখন দায়িত্বে থাকা ইনর্চাজ হারুনসহ থানাপুলিশ জুয়া খেলা স্পটে গেলে জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আবুল মেম্বার, আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে জুয়া খেলা হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক হোসেন মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, থানায় জুয়াড়িরা আটক
বা ছেড়ে দেয়া হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই।
জুয়া খেলা এবং টাকা নিয়ার বিষয় জানতে চাইলে নামাজের চর ফাঁড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, মেলার প্রতিদিন হয়। কিন্তু জুয়ার খেলার খবর আমার জানা নেই। আটকদের কিছুক্ষন সাজা দেয়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কোন প্রকার টাকা’র লেনদেন হয়নি।
সিনিওর সহকারি পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) রিপন কুমার মওদুত জানান, “জুয়া খেলার বিষয় আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে। যারা জুয়া খেলার সঙ্গে জরিত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নেয়া হবে। তাই আমাদের ফাঁড়ি থানাকে জুয়া খেলার উপর ব্যবস্থা নিতেও বলেছি।”