Site icon Aparadh Bichitra

হাওরের পানিতে ইউরেনিয়াম নেই। হাওরের মাছ, ব্যাঙ, হাঁস-মুরগি কি তাহলে আত্মহত্যা করেছে?

হাঁস, কাউয়া, এরা খুবই সহনশীল প্রানি। যেনতেন দূর্বল টাইপ কোন বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে এসব প্রাণি সহজে মরেনা, হজম কইরা ফালায়। এদের হজম শক্তি আমাগো ঘুষখোর অথবা ব্যাংক ডাকাতদের মতো। যা খায় সব হজম কইরা ফালায়। একটা সহজ উদাহরণ দিলে আরো পরিষ্কার বুঝবেন, যেমন- বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হলে মুরগি মইরা যায় কিন্তু যে ভাইরাসের কারণে মুরগিতে বার্ড ফ্লু রোগ হয়, ওই ভাইরাস সব সময় হাঁস গলায় নিয়ে ঘুরে অথচ সে মরেনা! এজন্য বলা হয় হাঁস এবং মুরগি একই খাঁচায় রাখবেন না।
বিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে এটুকু অন্তত বলতে পারি, হাওড় অঞ্চলে প্রায় ১২০০ টন মাছ আর হজার হাজার হাঁস মরে যাওয়া ছোট খাট কোন Symptom নয়! বাংলাদেশে এরকম ঘটনা দ্বিতীয়টি আর কখনো ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের বিশেষজ্ঞ ড. দিলীপ কুমার এবং দেবাশিষ পালের কথা সত্য হোক। আমরাও বিশ্বাস করতে চাই হাওড় অঞ্চলের পানিতে বিষাক্ত মাত্রার কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ নেই। যা থাকার কথা তার তার চেয়েও কম আছে, এটাই যেন সত্য হয়।
কিন্তু সন্দেহটা বেড়ে যায় তখনই, যখন হাওড়ের হাঁস-মাছের এই মহামারির খবর মিডিয়া থেকে একযোগে ব্ল্যাক আউট হয়। অথচ এমন দূর্যোগের সঠিক কারণ উদঘাটনে চেইন রিপোর্ট হবার কথা ছিল! খুঁজে দেখলাম,আজকের কোন পত্রিকায় হাঁস-মাছের মহামারি নিয়ে আর কোন রিপোর্ট নেই।
এক দিনেই সব উধাও!