গাইবান্ধার মতিন মেহেদির শেষ পরিণতি কী?

0
4603

মোনায়েম মন্ডল ঃ ‘মানুষ মানুষের জন্য’। একইভাবে সকল ধর্মই স্বীকার করে, সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি মানুষ। এই সত্য কথাটি বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং গবেষক সাধক-ইতিহাসবিদ দার্শনিক, পীর-আউলিয়া, আলেম-ওলামা-দরবেশ ও সাধু সন্নাসি ও ধর্মীয় দলিলাদী পর্যালোচানা মতে- সৃষ্টিকর্তা মানুষের মাঝেই বিচরণ করেন। সেহেতু যে সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টিকে যিনি ভালবাসেন তিনিও তাকে ভালবাসেন এবং সৃষ্টিকর্তা যাকে ভালবাসেন তাকে তিনি উত্তম পুরষ্কার দেন।  সৃষ্টির সেরা মানুষ যদি হন প্রতিবেশী বা এরাকার, তাহলে? তাহলে দায়িত্ব-কর্তব্য শুধু বেড়ে যায় না অপরিহার্যও হয়ে পড়ে। এমন অপরিহার্যতা থেকেই আমার এই লেখা। কারণ মতিন মেহেদী আমার এলাকার। এমনকি গোটা দেশে বা গ্রামে বসবাসকারী জীবনে এ সম্পর্কেও গুরুত্ব বিদ্যমান। এবার আসি গাইবান্ধার মতিন মেহেদী কে। কিবা তাদের প্রশ্ন। যে প্রশ্নের উত্তর আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি।  কোন অভিযোগটি মিথ্যা। যে অভিযোগ মিথ্যা কারনে শাস্তি ভাগে তাঁর সন্তান নারাজ। এমন প্রশ্নের কিনারা পাওয়া দুস্কর। কারণ প্রশ্ন মতিনের বাবা-মার, স্ত্রী-সন্তানদেও, ভাই-বোনদের। একইভাবে প্রশ্ন মতিনের কোরআনের ব্যাখ্যা ও আল্লাাহর কথা শুনে আকৃষ্ট হওয়ার অপরাধ মতিনের সাথে একই মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে থাকা কিশোর ছাত্র তরুন যুব ব্যক্তিদের অভিভাবকদেরও। কি উত্তর দিবো আমি। তা জানিনা বলেই জ্ঞানী-গুণী-বিজ্ঞ-সচেতন ও আইনজ্ঞ পাঠকদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে প্রশ্নত্তর খুঁজে নিতে চাই। তার আগে বলে নিতে হয়, ইতিমধ্যে প্রসঙ্গ এসে গেল বেশ কটি। কোন বিষয়টি আগে লিখবো বুঝে উঠছি না। কারণ এমনিতেই বিশিষ্ট-প্রখ্যাত সাংবাদিকদের শুনতে না হলেও আমার মত যারা সাধারণ তাদেরকে সম্প্রতিককালে বেশী বেশী শুনতে হয়Ñ এটা সাংবাদিকদের দেয়া উপাধি। এ খবর সাংবাদিকদের মনগড়া বা বানোয়াট এমন অনেক কথাই। তারপরও লেখালেখি চলতে। লিখতেও হচ্ছে। মাঝে মধ্যে লেখালেখিরই লেখা এটি।
মতিন মেহেদীর তার বাবা কে? মতিন মেহেদীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ইনামুল হক মন্ডল গাইবান্ধা শহরের ব্রীজরোড়ে বাসাবাড়ী। গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগোয়ায় গ্রামে বাড়ী হলেও ছেলে মেয়েরা শহরে বাসায়ই বড় হয়েছে। এ পরিচয় টুকু তার যথেষ্ট নয়। এই নুরুল ইসলাম মাষ্টার নিজের গ্রাম থেকে ছেলেদের ডেকে এনে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা এসকে মজিদ মুকুলের সংগঠিত রৌমারী মুক্তাঞ্চলে পাঠাতেন। অর্থ্যাৎ ইনামুল হক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রশিক্ষক। এছাড়াও তিনি বায়াত্তরে বৃহত্তর রংপুর জেলার মধ্যে মনোনীত দুর্নীতিমুক্ত সফল ত্রান চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে ‘৭৩’ ‘৭৭’ ও ‘৮৪’ তিন মেয়াদেও নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আগাগোড়াই যে মানুষটি আওয়ামীলীগ করেছেন তিনি মতিন মেহেদীর বাবা। যার পরিবারে সর্বনিম্ম শিক্ষাগত যোগ্যতা ¯œাতক থেকে ¯œাতকোত্তর। শত্রুতা বসতও কেউ তার কোন ছেলে বা মেয়েকে খারাপ অহংকারী, বেয়াদব, উশৃংখল বলতে পারবে না। এমন গুনে গুণান্বিত সন্তানদের মধ্যে মানুষের ভালবাসা-আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা মতিন মেহেদী একজন। লেখা সংক্ষিপ্ত করার স্বার্থে আপাতত: তাঁর প্রশ্নটা লিখে রাখছি। কিন্তু বিষয়টা সহজ নয়। কারণ প্রশ্নের মাঝে রয়েছে প্রশ্ন। যে প্রশ্নগুলো বলতে হতে হবে বিচারক নয়তোবা বিজ্ঞ আইনজীবি ও আইনবিদ। আংশিক দিতে হতে হবে বা পারবেন অভিজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত উর্ধত পুলিশ কর্মকর্তা। বিচারক, আইনবিদ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ যে স্তরেরই হোক বিচারিক আদালতের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় লেখা লিখতে গণমাধ্যম কর্মকর্তা যেমন লাগবে তেমনি হতে হবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতনামা সাংবাদিক কলাম লেখক। কিন্তু এসবের কোনটাই আমি নই। তারপরও কেন যেন- প্রশ্নটা আমার কাছে আবারো ঘুরে ফিরে সামনে এসে গেল। মতিন মেহেদী কোন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা,সমাজের নেতা,বিশিষ্ট রাজনীতিক বড় ব্যবসায়ী বা প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি নয়। কোন গুন্ডা মাস্তানও নয়। তারপরও শিরোনাম দখল করলো কি করে। পরিবার পরিজন সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যার যার মনে যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে তারাও চেষ্টা করে  তাদের কথা বলতে। এগুলো যোগ হয়েছে মতিনের আক্ষেপ অভিযোগ কেন্দ্রিক বাবার প্রশ্নে। তাদের কথা থেকে বেরিয়ে এলো পুলিশের মামলা ও কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীর প্রতিবেদনে গাইবান্ধার মতিন মেহেদী হতে প্রায় বাংলাদেশেরই মতিন মেহেদীতে পরিণত হয়েছে।
গাইবান্ধার মতিন মেহেদী বাংলাদেশের মতিন মেহেদী বানাতে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতকে নিয়ে গঠিত চারদলীয় জোট সরকার সার্ক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ পাকিস্তান বাদে সার্কভূক্ত দেশগুলোর দাবী দিল সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা ধর্মীয় মৌলবাদীজঙ্গী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। প্রামন করতে হবে বিশেষত রাজশাহী অঞ্চলে জেত্রমতি নেতা শায়েখ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম (গণ মাধমের দেয়া নামের বাংলা ভাই) এর নেতৃত্বে প্রগতিশীল রাজনীতিকদের বাড়ি থেকে ধরে এনে গাছে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে হত্যাকারীদের সাথে তাদের(সরকার) কোন সম্পর্ক নেই এবং তাদের গ্রেফতার করে বিচার কওের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর এটা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করার জোর চাপ ছিল পশ্চিমা বিশ্বের। অবশেষে অরিন্দম কহিলা বিষাদেও মতই ভূমিকা নিতে হলো বিএনপি নেতৃত্বাধীণ জোট সরকারকে। অনেকাংশে শুরু হলো গ্রেফতার ও বিচারের প্রতিযোগীতা। এই প্রতিযোগীতার শিকার হলো মতিন মেহেদী ও তার কোরআনের ব্যাখ্যা ও আল্লাহর কথা শুনে আকৃষ্ট হওয়া ছাত্র-যুব-ব্যক্তিরা। পুলিশ কর্তৃক সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যম মতিন মেহেদীর আল্লাহ ও বাংলা কোরআনের ব্যাখ্যার প্রচার মূলক কাজের দলীয় নাম হয়ে গেল আল্লাহর দল। শুধু কি তাই? না, এখানে যে কথাটি বা বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, সে বিষয় স্পষ্টভাবে বলার দাবী রাখে। কিন্তু কে বলবে তা। মতিন মেহেদীর বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা সবার কথায়ই আছে মতিন মেহেদী তার বাড়ির সকলকে অভিযুক্ত করেছে, তারা কেন বিজ্ঞ আইনজীবি দিয়ে মহামান্য সর্বোচ্চ আদালতসহ বিচারক আদালতের বিচারকদের বুঝিয়ে বলুনÑ আল্লাহর কথায় ও কোরআনের কোথাও নেই- মানুষকে হত্যা করা ও নির্যাতন করা। যা জেএমবি করে। জেএমবির সাথে তাঁর ও তার ব্যাখ্যালোকে একমত হয়ে অন্যকে বলার কাজে আত্মনিয়োগ কারীদের কোন সম্পর্ক নেই, প্রকাশ্যে বাংলাভাই ঝালকাঠি আদালতে বলেছিল মতিন মেহেদী ও তার সাথের লোকজনকে চিনিনা এবং তাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কে শোনে কার কথা। সত্য কথা বললে জেএমবি বানানো যাবে না। সব জেএমবি না বানালে বিভাগীয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসা যাবে না ও পুরুস্কৃতও হওয়া যাবে না। সাংবাদিকদেও প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তৎসময়ের পত্র পত্রিকা পড়লে দেখা যাবে কোন কোন গণমাধ্যম কর্মী পুলিশকে সন্তুষ্ট করতেই লিখেছেন। একটি বহুল প্রাচরিত পত্রিকায় কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক ২০-০৪-২০০৭ ইং তারিখের পত্রিকাটিতে লিখেছেন ইসলামিক জঙ্গী সংগঠন আল্লাহর দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা মতিন মেহেদীকে কুড়িগ্রাম পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই খবরে লেখা হয়েছে মতিন মেহেদী জেএমবির বর্তমান প্রধান। তবে ঢাকার গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রগুলো থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি আসলে জেএমবির নয় (এই বাক্যটি যেন মতিন মেহেদীর পরিবারের কাছে সমুদ্রে পড়ে একটি ভাসমান খড়কুটোই বাঁচার স্বপ্ন হয়ে হাতের কাছে আসে)। তিনি আসলে আল্লাহর দলের প্রধান। এ কথাগুলো বলতে মতিনের বৃদ্ধ বাবাসহ প্রায় উপস্থিত সকলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। উচ্চস্বরে কান্না জড়িত কন্ঠে মতিনের স্ত্রী বলতে থাকে যে স্বামীর কথার স্বর তার (স্ত্রীর) চেয়েও নীচু। যে সব সময় বলতো সংসার জীবনে যাই করো, তা করো তবে সব সময় আল্লাহর কথা মেনে চলবে আরবী-কোরআনের বাংলায় লেখা কোরআন পড়ে বুঝবে। ছেলেমেয়ে দু’জনকে স্কুল কলেজের লেখাপড়ার পাশাপাশি আল্লাহর কথা মানতে ও বাংলা কোরআন পড়াবে। তাতে ওরা আল্লাহর কথা জানবে বুঝবে ও তা মেনে বলতে পারবে। সেই স্বামী জঙ্গী হবে মানুষ খুন করবে এ কথা কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না। এ সময় মতিনের বাবা ভাই-বোনেরা অভিযোগ আকাড়ে বলেছেন- মতিনের চাওয়া আমি কোরআনের কথা বলি আল্লাহর কথা বলি এবং যে কদিন বেঁচে থাকি বলবো বলার যতটুকু সময় সুযোগ পাবো ততক্ষণ বলেই যাবো। কিন্তু কেন আমাকে জঙ্গী ও জেএমবি বানিয়ে তাদের (জেএমবি) বোমা মেরে, পিটিয়ে ও কুঁপিয়ে মানুষ হত্যার বিচারে শাস্তি দেয়া হলো। আল্লাহর কথা ও কোরআনের কথা বলার জন্য এবং তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে চার দেয়ালের মধ্যে ফাঁসি কেন, প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়ে বা পাথর ছুড়ে মারলেও আমি হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করবো।
মতিনের বাবা বলেন- আমিও নীতিগত ভাবে জঙ্গী বিরোধী, কিন্তু এমনভাবে প্রচার করা হলো, তাতে মতিন মেহেদির আমরা মা, বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান ‘বলাই’ যেন বিপদ। তোমার(লেখক) ক্ষেত্রেও তাই। তবে মতিনের বিশ^াস, তুমি যদি একটু ধৈর্য্য ধওে ওর এসব বিবরণ লিখে দাও তাহলে কোননা কোন ন্যায় বিচারক নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন। মতিনের বাবা আরো বলেন-“মতিন বলেছে আমি তো কারো কাছে জীবন ভিক্ষা চাচ্ছি না, শুধু চাই আমি(মতিন) জেএমবি নই। আমি শুধু আল্লাহর কথা ও কোরআনের কথা বলি। তা যদি মিথ্যা প্রমানিত হয়, তাহলে আমি শাস্তি মেনে নিবো।  সে শাস্তি যত কঠিনই হোক না কেন”। এই কথা বলার সাথে মামলার কিছু কাগজ দেন। সম্ভাব্য কিছু অংশ পড়ে দেখেছি তাতে অপরাধী ও তার অপরাধ চিহিৃত করে মামলা দায়ের করার জন্য মামলা নয়; তার পরিবারের কথায় বলতে হয় জেএমবি বানানো ও শাস্তি দেয়ার প্রতিযোগিতায়ই মামলা ও তার বিচার। পরবর্তীতে মামলার আর্জি, স্বাক্ষীদেও স্বাক্ষ্য ও বিচারের রায় আইনজীবিদের সাথে  আলোচনা-পর্যালোচনা কওে সম্ভাব্য মতামত লেখার আশা রাখছি। তারপরও দু’একটি বিষয়ে অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোকপাত করা প্রয়োজন বোধ করছি। যেমন ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট জেএমবি দেশের চৌষট্টি জেলায় একযোগে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ও ক্ষয়ক্ষতি করে। এখানে বিবেচনা বা বিচার্য বিষয় হলো মতিন মেহেদিকে দু’জন স্বাক্ষী গাইবান্ধা একটি ব্যাগ নিয়ে চায়ের দোকানে বসা দেখেছে। এ স্বাক্ষীর ভিত্তিতে ও পুলিশের অভিযোগপত্র ও বক্তব্য প্রেক্ষিতে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ আবারো উল্লেখ্য ঝালকাঠি আদালতে জেএমবি নেতারাও তাদেরকে চেনেনা বলে জানিয়েছেন। যদিও এ মন্তব্য রেকর্ডভুক্ত নেই।, তবে মতিন মেহেদি গং যা করেন, তা প্রমানের দাবী তাদের। এখানেই শেষ নয়। পুলিশ প্রায় দু’ঘন্টার পার্থক্য দেখালেও হাস্যকর বা মতিন মেহেদি দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিবেচনার সহায়ক হবে যে,গাইবান্ধায় বোমা বিষ্ফোরণ করে ঝিনাইদহের আদালতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো কি বিশেষ হেলিকপ্টার বা বিমান ছাড়া সম্ভব? তা যেহেতু নেই সেহেতু বলা যায় অসম্ভব। উপরন্ত ঝিনাইদহের মামলায় ৪৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য হচ্ছে তারা মতিন মেহেদিকে দেখেননি। এখানে আরো দুটো বিষয় বিবেচনার দাবী রাখে। এক, ২০০৩ সালে মতিন মেহেদি বাগেরহাটের খান জাহান আলী(রাঃ) মাজারে যাবার পথে ঝিনাইদহ শহরের একটি মেসে থাকা তার ভাগিনা ও তার সাথের ক’জন মিলে মতিনকে ইফতার করে যাওয়ার জন্য মেসে নিয়ে যান। ভাগিনার সাথে তার মেস বন্ধুরা মতিন মেহেদির আল্লাহর কথা ও কুরআনের ব্যাখ্যা শুনে একমত হয়ে তারাও এ আদর্শ প্রচারে সম্মত হয়েছিল। এ কারণে তারা জঙ্গীবাদী ছাত্রশিবিওে যোগ দেয়ার আহবান উপেক্ষা করার প্রতিশোধ নিতে শিবির কর্মী জঙ্গীরা সভা করছে মর্মে  থানাকে অবগত করালে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এক মাস জেলে থাকার পর মুক্তি পায়। সারা দেশে জেএমবি আলোড়িত সর্বত্র আলোচিত বোমা মেরে মানুষ হত্যার জন্য ২০০৩ সালের সুত্র ধরে গ্রেফতার করতে পারে ভেবে দু’জনের বাবা দু’ছেলেকে থানায় সোপর্দ করে। পুলিশ যথারীতি পরিকল্পনা মতে একজন কিশোরসহ দু’জনকেও জেএমবি’র মামলাভুক্ত করে। জেএমবি’র মতিন মহেদি গংদেও মৃত্যুদন্ড হয়। একই অভিযোগে প্রায় একই সময়ের ঘটনায় গাইবান্ধায় জাবজ্জীবন ও ঝিনাইদহের মামলায় মৃত্যুদন্ড হয়। এ পরিস্থিতিতে মতিন মেহেদির বাবা-মা,ভাই-বোনেরা সর্বোচ্চ আদালতে আপীল করেছেন, আপীল গৃহীতও হয়েছে। গুণী অভিজ্ঞ পাঠক সমাজই বলুন এখন আর কি করার আছে, সন্তানদের পিতৃ¯েœহ পাওয়ার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + nine =