নিউজ -১ মানবাধিকার সংগঠন গুলো কাজে আসছেনা লক্ষ্মীপুরে কোন জন মানবের

0
708

এস.এম আওলাদ হোসেন- মানবাধিকার সংগঠনগুলো কাজে আসছেনা লক্ষ্মীপুরের কোন জনমানবের। র‌্যালী সভা-সমাবেশ আর মোটর বাইকের নাম্বার প্লেটে মানবাধিকার লিখে ভি.আই.পি ষ্টাইলে চাঁদা বাজীতে ব্যস্ত রয়েছে বেশ কয়েকটি নামধারী মানবাধিকার সংগঠন লক্ষ্মীপুর জেলায়। দু’একটি সংগঠন কিছুটা সক্রিয় হলেও বেশীর ভাগ সংগঠন গুলো ধান্দাবাজীতে ব্যস্ত। লক্ষ¥ীপুরে লাগামহীন এ সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রন করছে কে ? এমন প্রশ্ন জেলার অভিজ্ঞ মহলে। তবে পুরো লক্ষ্মীপুর জেলা ঘুরে একটিও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে এমন কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি। ঘটা করে সারা দেশের ন্যায় মানবাধিকার দিবস পালন হয় লক্ষ¥ীপুরেও। তবুও লক্ষ্মীপুরে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর মা-মনি প্রকল্পের কর্মী, পাবনা জেলার ভাংগুড়া উপজেলার আদাবাাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান খানের মেয়ে ফারহানা আক্তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শাখারী পাড়া এলাকায় আহত হওয়ার ঘটনা ও প্রভাবশালী ডাক্তার নেতাকে দায়ী করার বিষয়ে লক্ষ্মীপুরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভিকটিম ফারহানার ঘটনায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ। জেলা মহিলা অধিদপ্তর এর জিম্মায় ও সহযোগীতা আদালতে অভিযোগ ২০১৬ সালের সব চাইতে আলোচিত ঘটনা। বিছার না পেয়ে প্রভাবশালীদের তোপের মুখে ফারহানা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে লক্ষ্মীপুর ছাড়লেও মানবাধিকার কোন সংঘঠনের ভূমিকা দেখা যায়নি। জিম্মায় নেওয়া জেলা মহিলা অধিদপ্তর ফারহানার পরিসমাপ্তি কি ঘটেছিল তাও জানাতে পারেনি।
২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কমলনগর উপজেলার  চর মার্টিন ইউনিয়নে শালিশ এর নামে শালিকা দুলা ভাইকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ব ব্যাপি তোলপাড় হলেও লক্ষ্মীপুরের কোন মানবাধিকার সংগঠন নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ায়নি। গনমাধ্যমে ঐ ঘটানায় ছড়িয়ে পড়লে কমল নগর থানা পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
২০১৭ সালের প্রথম দিকের সবচাইতে আলোচিত ঘটনা চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নে প্রেমের সর্ম্পক  ও বিয়ের দাবীতে অনশন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীর হামলার স্বীকার হন ফাতেমাতুজ জোহরা নীলা। সেখানেও কোন সহযোগিতা ছিলনা কোন মানবাধিকার সংগঠনের। বরং প্রভাবশালীদের ম্যানেজ মেডিসিন নীলাকে তার দাবী আদায়ে অসহযোগিতা করে। পরবর্র্তীতে গনমাধ্যম সোচ্ছার হয়ে উঠলে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা আইনজীবির সহযোগীতায় নিলা তার দাবী আদায়ে সামর্থ্য হয়।
লক্ষ¥ীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ফকিরপুর গ্রামে জনৈকা আনোয়ারা বেগমকে খেজুরের রস চুরির অপরাদে বিব¯্র করে কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নির্যাতন করে। ঘটনাটি ৩রা মার্চ ঘটে। পরবর্তীতে শালীশ বৈঠকের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা অনোয়ারা বেগমকে প্রদান করার ফতোয়া দেয় ঐ প্রভাবশালীরা। অনোয়ারা বেগম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফতোয়াবাজরা তার গোয়ালের গরু নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ও কোন মানবাধিকার সংগঠন আনোয়ারা বেগমের পাশে দাঁড়ায়নি গনমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে। সাম্প্রতিক ঘটনার মুল হোতা গেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনি ঘটে চলচে প্রতনিয়ত অনেক ঘটনা। জেলার ৫টি উপজেলার ৬টি থানায় প্রতিনিয়ত নিরীহ জনতার উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চললেও মানবাধিকার সংগঠন গুলো দিবস উদযাপন, র‌্যালী, সভা- সমাবেশ গাড়ীতে ষ্টীকার লাগিয়ে ভি.আ.পি পার্সন হিসেবে চলাফেরা সহ চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আর এসব সংগঠন নিয়ন্ত্রনে জেলা পর্যায়ে কোন অবকাঠামো অথবা সংস্থা না থাকায় লাগামহীন লক্ষ্মীপুর জেলায় মানবাধিকার সংগঠন গুলো ফলে এরা কাজে আসছেনা এখানে কোন জন মানবের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + thirteen =