Site icon Aparadh Bichitra

ক্রসফায়ার ঘোষিত শীর্ষ মাফিয়া সন্ত্রাসী কালাবাবুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবুজবাগ থানাবাসী

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সবুজবাগ থানাসহ খিলগাঁও ও রামপুরা থানার একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাফিয়ারা প্রশাসনের আওতায় এসেও ধরাছোঁয়ার বাইরে, অথচ তিন থানায় র‌্যাবের হাতে বহু সন্ত্রাসী ও মাফিয়ারা আজ পলায়ন অথবা মৃত সবুজবাগ বাসীর দাবী প্রশাসন কি করে? মাদক নারী আর অস্ত্র ব্যবসা হইতে কি তারা ফায়দা লুটে। নতুন মটর সাইকেল, গাড়ি, দামী শাড়ী, বাড়ি এবং নামী-দামী বারের দোকানে বিবেক বিক্রি করে আসে। যদি তা না হয়, তাহলে র‌্যাব সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনে? পুলিশ খমতায় থাকা স্বত্বেও কেন তা পারে না। সবুজবাগ থানার একাধিক মামলার আসামী ও রামপুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাজাদার নাম ভাঙ্গিয়ে চলা, চাঁদাতুলা, মোবাইলে মানুষের প্রাণনাসের হুমকি দেওয়া, অস্ত্রধারী গুন্ডা লালন-পালনসহ সকল সামাজিক সেবার কাজে বাধা প্রদানকারী কে এই কালাবাবু এলাকাবাসী জান্তে চায়। এলাকা সূত্রে যায় যে, কালাবাবু নন্দিপাড়া এলাকার একজন ভিডিও দোকানের কর্মচারী ছিল। শাহাজাদার সাথে পরিচয় পওয়ার পরে নারী ও ব্লুফ্লিম ব্যবসাসহ অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। কালাবাবুর অন্যতম সহযোগীরা হলো (১) নজরুল ইসলাম নিপু (৩৫) ফেন্সী ব্যবসায়ী কসবা, বি-বাড়িয়া (২) আলসার মাতব্বরের ভাগিনা জুয়েল (২৬) (৩) আমির (৪৩) মাদারটেক বাগান-বাড়ির ফেন্সী ব্যবসায়ী ও ডিলার (৪) শেখের জাগার ইকবাল (হাড্ডিপাকনা ইকবাল) যে অস্ত্র ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত, ইয়াবা ডিলার রুমি (৩২) ও ছাত্রলীগের পরিচয় প্রদানকারী ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সেতু মাডার কেসের আসামী শুভ (৫) ইয়াবা ও নারী ব্যবসায়ী আলিম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৫) তার ম্যানেজার গিট্টু সোহেল(৬) স্বপনের স্ত্রী চাঁদনী (২৬) গাঁজার ডিলার মাদারটেক কৃষি ব্যাংকের উপরে এবং নিচে নিয়মিত সন্ত্রাসীদারা পইকারী ও খুচরা বিক্রেতা (৭) ইয়াবা ডিলার নাদিম (২৬) কাজলের ছেলে (৮) নতুন অস্ত্র ব্যবসায়ী এলাকার বড় ভাই হিসেবে খ্যাত মাদারটেক নতুন পাড়ার অস্ত্র ব্যবসায়ী আসাদ (৯) র‌্যাব ও ডিবির সোর্স পরিচয় প্রদানকারী ফরমা ফারুক ও তার স্ত্রী মক্ষিরাণী মাদক ব্যবসায়ী আখিঁ (১০) মাদারকেট উত্তর পাড়ার ইব্রাহিম (১১) নন্দিপাড়া আলিয়া মাদ্রাসার রোডের ইয়াবা ডিলার ও মেমবার স্বপনের ভাতিজা ও মঙ্গলের ছেলে আব্দুল লতিফ (১২) কপিল ও এরশাদের ভাই ইয়াবা ডিলার খোরশেদ (৩৩) (১৩) মাদারটেক বনেশ্রী রোডের ইয়াবার মাফিয়া ও অস্ত্র ব্যবসায়ী শাহ্ নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ (১৪) শাহাবুদ্দিন কালাবাবুর অস্ত্র রক্ষক ও ডান হাত হিসেবে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইবাজ ও ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত। (১৫) শাকিল (১৭) কালাবাবুর আপন ভাতিজা ফেন্সী, ইয়াবা ও হেরইন নন্দিপাড়ার ব্রিজের আশে-পাশে সকল এলাকা ও কাঠের দোকানগুলোতে নিয়মিত ব্যবসা করে আসছে বলে একাবাসী জানায়। উক্ত কালাবাবুর অত্যাচারে নন্দিপাড়া, ত্রিমহনী, নাসিরাবাদ, শেখেজাগা, দক্ষিণগাঁও ১নং হতে ৯নং ওয়ার্ড পর্যন্ত সকল ধরনের যানবাহন ও অটোরিক্সার কাছ থেকে প্রতিমাসে সাড়ে চার লক্ষ টাকা তার আপন বড় ভাই নন্দিপাড়ার ১নং রোডের নিবাসী আলহাজ আমজাদ হোসেনকে দিতে হয়, না দিলে তাকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকিপ্রদান করে কালাবাবু এই বিষয়ে আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি, এস বি সহ সকল থানায় টাকা দেই। বাবু পাঁচ লক্ষ টাকা প্রশাসনের পিছনে খরচ করে আমার ভাইকে ধরে এমন কোন প্রশাসন নেই। সবুজবাগবাসী জরুরী ভিত্তিতে সৎ ও যোগ্য র‌্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করে কালাবাবুর গ্রেপ্তার ও বিচার দাবী করে। আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত জানবেন।