Site icon Aparadh Bichitra

অর্কিড হাউজিং এর এমডি প্রতারক সাবির বেসিক ব্যাংকের শতকোটি টাকা লোপাটকারী এখন জেলহাজতে

ব্যাংকের অর্থ লোপাট করা যায় সহজেই এমন একটি প্রবনতা যেন থামছেই না। জালজালিয়াতী করে নানা ভাবে সরকারী বেসরকারী ব্যাংকগুলো নানাভাবে ব্যাংকের অর্থ লোপাট করে চলছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের টাকা দিয়ে জমি কিনে ব্যাংকেই জমি বন্ধক দিয়ে টাকা লোপাট করে চলছে। খোদ রাজধানীতেই সেই বেসিক ব্যাংকের টাকা লোপাটের আরো একটি ঘটনা অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে। এবার বেসিক ব্যাংকের অর্থ লোপাটকারী অর্কিয হাউজিং এর মালিক সবির আহমেদ এর অর্থ লোপাটের ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বেসিক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কেনা হয়েছে জমি আবার সেই জমি কিনে বিেসক ব্যাংকেই জামানত রেখে আবারো লোননিয়েছে সাবির হোসেন। এই বাবে ৮৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এআরএসএস ইন্টারণ্যাশনাল ও অর্কিড হাউজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি মোঃ সাবির হোসেন। বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখায় ভয়ংকর এ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্নীতির মামলায় প্রতারক সাবির এখন জেলহাজতে। ২০১২ সালের  ১৬ জানুয়ারী বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর জামানত ব্যাতিত এসও ডি ৫০ কোটি, এলটি আর ১০ কোটি ও এলসি ১৫ কোটি টাকা সহ মোট ৭৫ কোটি টাকার লোনের আবেদন করে। আবেদনটি ক্রেডিট কমিটি কতৃক নেতিবাচক হলেও  পরিচালনা পর্ষদ একই বছরের ৩০৬তম পর্ষদ সভায় শর্ত সাপেক্ষে লোন অনুমোদন করে। শর্তানুযায়ী মর্টগেজ দলিল  সম্পাদনের পর ঞ্ন বিতরনের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তিতে প্রতারক সাবির হোসেন এসও ডি ৫০ কোটি থেকে বাঢ়িয়ে ৯৫ কোটি টাকা বর্ধিতকরন এবং সহায়ক জামানত পরিবর্তনের আবেদন করেন। শাখা রিন কমিটি কোন রকম শুপারিশ ব্যাতিত আবেদনটি প্রধান কার্যারয়ে প্রেরন করেন। ৩১৩ তম পর্ষদ সভায় এসওডি রিন সিমা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ কোটি টাকা করা হয়। এর পর সাবির হোসেন ১৩ ফেব্রুয়ারী তেকে রিনের টাকা উত্তোলন শুরু করে। জানা গেছে প্রতারক সাবির রিন পেতে ব্যাংকে যে সম্পত্তি মটর্গেজ রেখেছেন তা ক্রয় করেন ২৯ মে থেকে ৬ আগষ্ট সময়ে। অর্থ্যাৎ ব্যাংক থেকে রিন নিয়েছেন ১৩ ফেব্রুয়ারী, সেই টাকায় জমি কিনেছেন ২৯ মে থেকে ৬ আগষ্ট মাসে আর সেই জমি ব্যাংকে মর্টগেজ রেখেছেন ৩০ সেপ্টেম্বর।
এদিকে যে সম্পত্তি দেখিয়ে  তিনি ৮৫ কোটি টাকা রিন নিয়েছেন রুপসা সার্বেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সেই সম্পত্তির মুল্যায়ন করে বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা। রুপসা সাভেয়ার কতৃক সম্পত্তির বাজার মুল্য নির্ধারন করা হয় ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং তাৎক্ষনিক বিক্রয় মুল্য  নির্ধারন করা হয় ৪৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অথচ ভয়ঙ্কর প্রতারণার মাধ্যমে  সাবির হোসনে ব্যাংক থেকে প্রতারনার শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
অন্যদিকে সাবির হোসেনর প্রতারণার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মুহম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। ইক্ত মামলায় সাবির হোসেন এখন জেল হাজতে।
এদিকে অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ঝিকাতলা রায়েরবাজার ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের অর্কিড হাউজিং এর মালিক সাবির আহমেদ ডেভলপার চুক্তির মাধ্যমে বাড়িওয়ালাদের জমির ভুয়া দিলল বেসিক ব্যাংকে বন্ধক রেখে ১০০ কোটি টাকা রিন উত্তোলন করে। তার কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার শামিম পলাতক রয়েছে এবং অপিসেও তালা জুলছে। অবস্থা এমন যে বাড়িওয়ালা এবং জমির মালিকদের মাতায় হাত। এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে। ভুক্তভোগি কারোর কাছে কোন তথ্যপ্রমান থাকলে তা জানানোর জন্য অনুরাধ করা গেল। প্রয়োজনে নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে।