Site icon Aparadh Bichitra

কেরামত আলী দেওয়ানের ৩ সন্ত্রাসী খুনী তপু, সাজু, রাজু ধরা ছোঁয়ার বাহিরে, এলাকা উত্তপ্ত, প্রশাসনের নিরবতা পালন

ষ্টাফ রিপোর্ট ঃ
মোঃ কিসমত আলী (৪২), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, মাতা-মৃত শরফুন নেছা, সাং-বাসা নং-ক/৭৪, কুড়াতলী, থানা-খিলক্ষেত একজন প্রাইভেট গাড়ী চালক। গত ০৩/০৩/২০১৭ ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় কুড়াতলী পুর্বপাড়া পকেট গেইট সংলগ্ন (জনৈক আজম আলীর) আজমিরী-আরিফা টি স্টোরের সামনে পাকা রাস্তায় গেলে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে আসামী সন্ত্রাসী (১) মোঃ রায়হান সরকার তপু (২২), (২) মোঃ সাজু (২৬), (৩) মোঃ নাজমুল হাসান রাজু (৩০), উভয়ের পিতা-রুহুল আমিন সরকার, মাতা-মোছাঃ নিলুফা বেগম, বাসা নং-ক-৭৯/৩/সি, নিহারিকা মঞ্জিল, কুড়াতলী পূর্বপাড়া, থানা-খিলক্ষেত, ঢাকাগণ আমার ভাই কিসমত আলীকে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও মাথায় ইট দিয়া সজোরে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মোঃ আঃ সালাম (৮০), পিতা-মৃত আব্দুল শাহেদ, সাং-ধলা চাঁনপুর শামসুদ্দিন চেয়ারম্যান এর বাড়ীর পাশে, থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ, বর্তমানে-কুড়াতলী লতিফ মৃধার বাড়ীর ভাড়াটিয়া উদ্ধার করে কুর্মিটোরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত্র আনুমানিক ১০.৫৫ মিনিটের সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। উক্ত সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কিসমতের বড় ভাই লিয়াকত হোসেন (৪০) ও এলাকাবাসী জানান খিলক্ষেত থানার সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ানের খাস লোক হিসেবে উক্ত তপু, সাজু, রাজু নিয়মিত রাজনীতির নামে মাদক ও নারী ব্যবসা করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুড়াতলী ইউনিট যুবলীগের সভাপতি হিসেবে কিসমত আলী তাদেরকে প্রায় অবৈধ কাজ ছেড়ে দেয়ার জন্য নিষেধ করত। এরই জের হিসেবে কিসমত আলীকে হত্যা করা হয়। উক্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন ফলে প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দেখছেন এলাকাবাসী। কেরামত দেওয়ানের ক্ষমতা দেখিয়ে খিলক্ষেত থানাধীনস্থ বহু স্থানেই তৃনমুল পর্যায়ের নেতা নেত্রীরা চাঁদাবাজী, মাদক/নারী ব্যবসা/অস্ত্র ব্যবসা সহ ভূমি দস্যুতার  মত আরো নানা অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকার সূত্রে জানা যায়। (আগামী সংখ্যায় বিশদ আকারে প্রকাশ করা হবে)। লিয়াকত হোসেন প্রতিনিধিকে জানায় আমার ভাই যুবলীগের ইউনিট সভাপতি থেকে ও কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি এবং মৃত্যুর পরেও তাকে বা আমাদেরকে প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা দেবার মত কেউ পাশে এসে দাড়ায়নি। ফলে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান যুবলীগের সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছি। (চলবে)