বিধবা প্রতিবন্ধীকে তিন বছর ধরে অবাধে ধর্ষণ, গর্ভবতী হলে শিশুকে গর্ভেই হত্যা, অতঃপর সিজার- ইউপি মেম্বারের দাপটে বিচার নেই

0
1671

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন বাহাগিলী ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গাপাড়া থেকে ফিরে  রিপোর্ট করেছেন রংপুর বিভাগীয় অনুসন্ধানী টিমঃ “শক্তের ভক্ত নরমের জম”। অসহায় গরীব ও প্রতিবন্ধী মহিলা গৃহকর্মী নালো পাগলীর জীবনে বাক্যটির সাথে বাস্তবতার যে কত মিল স্ব-চক্ষে কেউ দেখলে শরীর সিউরে  উঠবে। একেতো প্রতিবন্ধী তার উপর চার মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়ে স্বামী ও চলে গেছেন ওপারে। নিজের ভিটে-বাড়ি পর্যন্ত নেই, থাকতে হয় ভাইয়ের বাড়িতে । ভাইও অভাবী কদিন আর খাওয়াবে। তাই অভাব ও ক্ষুদার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের দু-এক বেলা খাওয়ানো আরকি। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন বাহাগিলী ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গাপাড়ার বিধবা প্রতিবন্ধী মহিলা নালো পাগলীর জীবনে এ যে এক অসহনশীল কলঙ্ক। এখন পর্যন্ত কোন মেয়েকেই বিয়ে দিতে পারে নাই। তাই সবাইকে গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। বিধবা প্রতিবন্ধী নালো পাগলী অপরাধ বিচিত্রাকে অভিযোগ করে বলে, একই গ্রামের আবু বক্কর হাজীর বাড়িতে তিন চার বছর ধরে  গৃহকর্মীর কাজ করে। অভাব ও সরলতার সুযোগ নিয়ে আবু বক্কর হাজীর বড় ছেলে লম্পট ও চরিত্রহীন মোহাম্মাদ আলী পাঁচ-দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে তিন বছর ধরে অবাধে ধর্ষণ করে আসছে, এক পর্যায়ে গর্ভবতী হলে গর্ভের শিশুকে গর্ভেই ওষুুধের মাধ্যমে হত্যা করে অতঃপর গত সেপ্টেম্বর/২০১৬ ইং এর মাঝামাঝি সময়ে সুফিয়া কামাল মেমরিয়াল হসপিটাল, কেল্লাবন্দ, ধাপ, রংপুরে সার্জন ডাঃ রাজিয়া সুলতানা লাকী(এম.বি.বি.এস, এফ.সি.পি.এস) ও উনার মেডিকেল টিমকে নিয়ে সিজার করে মৃত শিশু প্রসব করা হয়। সিজারের পূর্বে লম্পট ও ধর্ষক মোহাম্মাদ আলী স্থানীয় কোন চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের মাধ্যমে নালো পাগলীর গর্ভে তাঁর অবৈধ সন্তানকে গর্ভপাত করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত গর্ভেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু গর্ভপাত হয়নি । অবশেষে উপায় না পেয়ে লম্পট ও ধর্ষক মোহাম্মাদ আলী তাঁর প্রতিবেশী ও স্থানীয় বর্তমান ইউপি মেম্বার জোনাব আলীর পরামর্শে রংপুর সেন্ট্রাল ল্যাবে গত ০৪ মে ২০১৬ইং নিজেই উপস্থিত থেকে নালো পাগলীর আল্ট্রা-সনোগ্রাম করায় এবং পরবর্তীতে নিজে অনুপস্থিত থেকে কারো সহযোগীতা নিয়ে সিজার করার পরামর্শ দেয় । সবচেয়ে দুঃখ জনক হচ্ছে নালো পাগলীকে এক লক্ষ টাকার লোভ দেখিয়ে বলে কিছুদিন পরেই আমার টাকা হচ্ছে, আপাতত তোমার যে গরুটি আছে সেটি আমাকে দাও আমি  বিক্রি করে তোমার সিজার কারার টাকার ব্যবস্থা করছি। আর বাড়ির সবাইকে বলো তোমার পেটে টিউমার হয়েছে, তাই অপারেশন করতে হবে। সহজ সরল নিরীহ নালো পাগলী লম্পট ও ধর্ষক মোহাম্মাদ আলীর কথামতো সবই করে, কিন্তু বর্তমানে যখন ঠিকমতো কাজও করতে পারছে না এমনকি পোষা গরুটিও হারালো- হারালো নিজের সম্ভ্রম । টাকার অভাবে দু-মুঠো খেতেও পারছে না তখন লম্পট ও ধর্ষক মোহাম্মাদ আলীও তার কথা শুনছে না। স্থানীয় মেম্বার জোনাব আলীকে বললে সে বিভিন্ন ভাবে ধমক ও পুলিশের  ভয় দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে। নালো পাগলী প্রতিবন্ধী ও সহজ সরল হওয়ায় মেম্বারের হুমকি ও দাপটে কাউকে কিছু বলতেও সাহস পাচ্ছে না। লম্পট ও ধর্ষক মোহাম্মাদ আলী ও দাপুটে জোনাব মেম্বারের এই পাশবিক কর্মকান্ডের বিচার কখনো হবে কি?  বিধবা প্রতিবন্ধী  নালো পাগলীর পাশে প্রশাসন কি দাড়াবে ? নাকি রিপোর্টের প্রথম বাক্য- “শক্তের ভক্ত নরমের জম” কথাটি সমাজে আরো প্রতিষ্ঠিত হবে?

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven + twenty =