রৌমারী ও রাজিবপুর ২ উপজেলার বর্ষার শুরুতেই নদীঘেষা বেড়িবাধ ভেঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ২ উপজেলা মানচিত্র

0
1656

বর্ষা মৌসুমের শুরহতেই ও জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরূপ প্রভারের কারণে রৌমারী ও রাজিবপুরের নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙন আতংকে নদী তীরঘেঁষা কুড়িগ্রমের রৌমারী ও রজিবপুরসহ দুই উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। যুগযুগ ধরে অব্যাহত ভাঙ্গনের কবলে ইতমেধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতশত একর ফসলী জমি, বসত ভিটা, ক্ষেত খামার ও অসংখ্য স্থাপনা।
যে কোন সময় বিলীন হওয়ার শংকা ও হুমকীর মুখে রয়েছে উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের বাটকামারী খেদাইমারী, ঘুগুমারী, সাহেবের আলগা, চর ধনতোলা, ইটালোকান্দা, ফোলোয়ার চর নৌকাঘাট, খনজনমারা, কাঠালবাড়ী, যাদুর চরের, দিগলাপারা, ধনার চর চরের গ্রাম, পাখিউড়ার চর, রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন এর বদরপুর, ধলাগাছা, টাঙ্গালীপাড়া, কোদালকাটিচর, মহনগঞ্জ ইউনিয়নের, প্রায় পূরোটাই হুমকির মুখে রয়েছে, রাজিবপুর উপজেলার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স.  শত বছরের পুরনো রাজিবপু বাজার, নৌকাঘাট এলাকা ও প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে দিনদিন ছোট হয়ে আসছে রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুই উপজেলার মানচিত্র।
বিশেষ করে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে নি¤œাঞ্চলের কয়েকটি নিচু এলাকার গ্রাম প্লাবিত হতে যাচ্ছে, ভাঙন প্রবনতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত কোন না কোন এলাকায় সর্বনাসা বরক্ষপুত্র নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিনিয়র মাদ্রাসা,
রৌমারী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জাকির হোসেন এমপি সাবেক, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা জানান, নদীর পূর্বপাড় কুড়িগ্রমের রৌমারী ও রাজিবপুর দু অংশে টিকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় পক্ষান্তরে পূর্ব পাড়ের অংশের ২৫/৩০কি.মি. এলাকায় জোয়ারের সামান্য পানি বৃদ্ধিতে দুই উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। প্রতি বছর ধান, পাট, শাখ সবযির, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতসহ কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের কবলে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে শতশত পরিবার। দ্রত রৌমারী ও রাজিবপুর দুই উপজেলায় টিকসই বেরিবাঁধ নির্মাণসহ ভাঙন রোধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি দুই উপজেলার হাজার হাজার নদী মানুষেরা জোর দাবি জানান ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 3 =