কুষ্টিয়ার মা-মেয়ে দুই মক্ষীরানী লাবনী ও লিয়ন্তির খপ্পরে পড়ে সাংবাদিক কামালের সর্বনাশ

0
2617

কাজী ফারুক ঃ
কুষ্টিয়ার মা-মেয়ে দুই মক্ষীরানী লাবনী খান ও সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তি ওরুফে লামিয়ার খপ্পরে পড়ে সাংবাদিক কামাল সর্বশান্ত। সাংবাদিক কামাল একজন শিক্ষীত, অতি সহজ সরল লোক। সাত বোনের এক ভাই। কুষ্টিয়াতে নিজের বাড়ী আছে। বোনের বাসার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক লাবনী খান। এক পর্যায়ে লাবনী খান কামালের বোনের কাছে, কামালের জন্য লিয়ন্তির বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের স্বাক্ষী লাবনী ও উকিল বাবা স্বামী লতিফ খান। উভয় পক্ষের কথামতে বিগত ৩১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর লাবনী খান ও লতিফ খান তাদের চৌরহাঁসের ভাড়া বাসায় তাদের মেয়ের জামাই হিসেবে কামালকে ৪ দিন বাসায় রাখে-তবে তাদের মেয়ে তার নববধু সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তিকে তার কাছে থাকতে দেয় না। তার বিবাহ বাসরও হয়না। লাবনী খান ও লতিফ খানের মেয়ের জামাই কামাল অসুখী মন নিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে আসে। এর পর থেকে তার শাশুরী লাবনী খান স্বামী লতিফ খান ও তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তি কখনো বাসা ভাড়া দিতে হবে, কখনো কোচিং এর টাকা, স্কুল খরচ সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিতে থাকে। পরবর্তীতে জানুয়ারী ২০১৭ তে কামাল কুষ্টিয়াতে তার বউ-নববধু সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তির সাথে একসাথে কয়েকটা দিন থাকার আশা নিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকার শীতকালীন কাপড়-পোশাক নিয়ে শাশুরী লাবনী খান ও লতিফ খানের ভাড়া বাসায় যায় এবং শাশুড়ীর হাতে নববধু সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তির ভরন-পোষণ বাবদ টাকা দেয় এবং কয়েকদিন নববধুকে নিয়ে মার্কেটে যায়, মার্কেট করে এবং বেড়ায়। সেই বার প্রায় ৫ দিন তার শাশুরী ও শশুর লাবনী খান ও লতিফ খানের বাসায় অবস্থান করে। সেই কয়েকদিনেও তার শাশুরী এবং শশুর লাবনী খান ও লতিফ খান তাকে তার নববধু সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তির সাথে একত্রে থাকতে ও রাত্রী যাপন করতে দেয়নি। ইতিমধ্যে তার শশুর শাশুরীর পরিবার বাসা বদল করে চৌরহাঁসের বাসা থেকে কুষ্টিয়া কোটপাড়ায় বাসা নেয়। এরপর মার্চ ২০১৭ তে মোবাইল ফোনে বউয়ের আহবানে কামাল আবারও কুষ্টিয়া যায় এবং তার শশুর-শাশুরীর কুষ্টিয়া কোটপাড়ার ভাড়া বাসায় উঠে। কিন্তু শাশুরী তাকে দেখে জনৈক আলী যার  মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তিকে তালাক দেওয়ার জন্য হুমকী, ধমকী দেয় ও মারমুখী আরচণ করে ও তার কাছে টাকা দাবী করে। সে সেই রাতে অনেক কাকুতি মিনতি করে ও কান্নাকাটি করে সে দফা প্রাণে রক্ষা পায় এবং সে রাত্রি তার শশুর লতিফ খানের সাথে ড্রইং রুমে জীবন আতঙ্কে রাত্রি যাপন করে। পরদিন ভোর প্রায় ৭ টার দিকে সে তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তির জন্য কেনা বোরকা ও পোশাক পরিচ্ছদ ও তার সাথে থাকা কাপড় পোশাকের ব্যাগ ফেলে রেখেই তার শশুর লতিফ খানের সাথে ঐ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। শশুর কর্মস্থলে চলে যায় আর সে কুষ্টিয়া আড়–য়াপাড়া বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে শাশুরী মোবাইলে ফোন করে তাকে বলে আব্বু-আব্বু গত রাতে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, আমাকে মাফ করো। তাকে বলে আব্বু তোমার কাছে ১০/১২ হাজার টাকা হবে? টাকা নিয়ে বাসায় আসো। উপরে উল্লেখিত আলী তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তির মামা পরিচয়ে তাকে বলে (মোবাইল ফোনে) তোমার কাছে কত টাকা আছে? যে টাকা আছে তোমার শাশুরীকে দিয়ে আসো-পরে রাত্রিতে তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তি তাকে মোবাইলে ফোন করে বলে-১০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় আসো। তাহলে সে তার সাথে এক সাথে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করবে। মোবাইলে কথা সংরক্ষিত আছে। সে আরো বলে, ১০ হাজার টাকা যদি না নিয়ে আসো তাহলে তার কাছে আসার দরকার নাই, যেখান আছো, সেখানেই থাকো। পুলিশ পরিচয়ে রকিবুল ও শাশুরী ও বউকে টাকা দেয়ার কথা বলা হয়। এসবই পরিকল্পিত, পাতানো ফাঁদ মনে করে, প্রাণের ভয়ে সে সেদিন রাতে তাদের বাসায় যায় নাই। দুই-তিনদিন বোনের বাসায় থেকে ঢাকায় বাসা ও কর্মস্থলে ফিরে আসে।  স্বামী ও ন্ত্রী সহবাস করতে ১০/২০ হাজার টাকা চাওয়ার এই ঘটনা নজিরবিহীন। ঢাকায় ফিরে আসার পর তার বোনের মারফত, তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তিকে তার জন্য স্বর্ণের চেইন এবং ডায়মন্ডের নাকফুল এবং পোশাক পরিচ্ছদ দেয়া হয়। ঢাকা ফিরে আসার পর থেকে লাবনী খান, লতিফ খান, সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তি, লিপ্তি, লিনতা ও কাজল একের পর এক মোবাইলে ফোন করে তাকে প্রাণনাশের হুমকী, ধমকী দিচ্ছে ও তার বউ সাদিয়া আফরিন লিয়ন্তিকে তালাক দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বউ তালাক দেয়ার জন্য চাপ দেয়া, চাপ সৃষ্টি করা এবং মোবাইল ফোনে বারংবার তাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়ায় সে এখন তার গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়া যেতে ভয় পাচ্ছে। সে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে ও চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তার জানামতে, সাত মাসের মধ্যে ৪ বার বাসা বদল করেছে তার শশুর-শাশুরী ও তার পরিবার। কুষ্টিয়া পেয়ারা তলার বাসায় থাকাকালীন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার কথা সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা-নাঈম স্যার এলাকার লোকজন তাদের বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর পরে কুষ্টিয়া চৌরহাঁস উপজেলা পরিষদ অফিস এলাকার বাসা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ঐ বাড়ির কেয়ার টেকার তারিক যার  পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য লাবনী খান স্বামী লতিফ খানকে ঐ বাসা থেকেও তাড়িয়ে দেয়। কামালের বোনেরা অনেক আশা নিয়ে আদরের ভাই কামালকে সংসারী বানানোর চেষ্টা করেছিল। সেই আশায় গুড়েবালি। স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। কামাল ও তার বোনেরা জানত না, লাবনী ও লিয়ন্তি দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। কামাল এখন তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দিশেহারা। সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিগণই এদের শায়েস্তা করে, কামালের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। সাংবাদিক কামাল নতুন বিয়ে করে আনন্দের বদলে তার চোখে এখন অশ্রুধারা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven + fourteen =