Site icon Aparadh Bichitra

সুচিকে ট্রুডো: রাখাইনে চলছে ‘বর্বর নিপীড়ন’

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে কড়া ভাষায় একটি চিঠি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এতে তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর ‘বর্বর নিপীড়নে’ হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রোহিঙ্গা সংকটের শুরুতেই পাশ্চাত্যের যে গুটিকয়েক নেতা এ নিয়ে সরব হয়েছেন, তাদের অন্যতম কানাডার উদারপন্থী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তিনি চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুচিকে ফোন করেও তার গভীর উদ্বেগের কথা জানান।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি সুচিকে একটি চিঠি লেখেন। তবে সেই চিঠি এখন প্রকাশ্যে এসেছে।
সুচিকে কানাডা সরকার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে। সেই বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রুডো লিখেছেন, ‘আমি গভীর হতাশা, বিস্ময় ও ক্ষোভের সঙ্গে আপনাকে জানাতে চাই যে, কানাডার অন্য নাগরিকরা লক্ষ করছেন মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বর নিপীড়ন চলছে অথচ আপনি মুখ বুজে রয়েছেন।’
তিনি লিখেছেন, ‘তারা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এবং মিয়ানমারের সব সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ট্রুডো ২০১২ সালে সুচির নোবেল বক্তৃতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভের দুই দশক পর সুচি যখন সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন, তখন তিনি ভাষণে বলেছিলেন, ‘নোবেল কমিটি যখন আমাকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে তখন তারা এটাও স্বীকার করে নিয়েছে যে বার্মার নিপীড়িত ও বিচ্ছিন্ন জনগণও এই বিশ্বেরই অংশ।’
সুচি সেই ভাষণে আরও বলেছিলেন, বাকস্বাধীনতা ও ভীতিমুক্ত সমাজ পাওয়া মানুষের অধিকার। সুচির এসব কথা উল্লেখ করে চিঠিতে ট্রু–ডো লিখেছেন, ‘আপনার এসব নৈতিক বাক্যগুলো রাখাইনের চলমান পরিস্থিতিকে উপহাস করছে।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘন ও আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে স্থলমাইন বসানোর কথা উল্লেখ করে ট্রুডো লিখেছেন, এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। ট্রু–ডো লিখেছেন, জাতিসংঘ বলেছে রাখাইনে যা চলছে তা ‘জাতিগত নিধনের এক পাঠ্যপুস্তকীয় দৃষ্টান্ত’। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই।