Site icon Aparadh Bichitra

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের বলি শিরিনা আক্তার আসামীরা পলাতক

কিশোরগঞ্জে পুটিমারী ইউনিয়নের সাদুরারপুল এলাকার গৃহবধু শিরিনা আক্তার যৌতুক দিতে না পারায় স্বামী, শাশুড়ী, দেবরসহ অনেকের নির্র্যাতনে জীবন দিলেন। অভিযোগে জানা যায়, পানিয়ালপুকুর কাচারীপাড়া নিবাসী আব্দুস ছামাদের কন্যা শিরিনা আক্তারের সাথে পুটিমারী সাদুরারপুল নিবাসী মৃত্যু রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহেদুল ইলামের বিগত ১৫ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক রেজিস্ট্র্রি কাবিনমূলে বিবাহ হয়।
বিবাহিত জীবনে তারা এক ছেলে সন্তানের মা- বাবা। শিরিনা আক্তারের কাছে তার স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরসহ অনেকেই প্রতিমূহুর্তে যৌতুকের দাবী করে  মারপিটসহ অমানুষিক নির্যাতন করত। শিরিনার উপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় গণ্য-মাণ্য ব্যক্তিসহ চেয়ারম্যান- মেম্বারগণ কয়েকবার মিমাংসা করে দেন। আর উভয় পক্ষকে জানানো হয় যে, ভবিষ্যতে যেন শিরিনার কোন ক্ষতি না হয়। তার পরে ও  নিতাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া ও পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম কয়েকবার এদের বিচার করেন। আবার ও গত ১৫ সেপ্টেম্বর/১৭ তারিখে শিরিনা আক্তার তার স্বামীর চাহিদামত যৌতুক দিতে না পারায় তাকে তালাক দিবে বলিয়া শারিরিক নির্যাতন করে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। বলে দেন যে, তোমার এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যানকে নিয়া আস। শিরিনা তার পিতার বাড়ীতে এসে স্বামীর বাড়ীর নির্মম অত্যাচারের কথা বর্ণনা করে সবার কাজ থেকে বিদায় নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে চলে আসেন।
অতঃপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর/১৭ বিকাল অনুমান ৫টার সময় শিরিনার দেবর সাদ্দাম হোসেন (২৭) মোবাইল ফোনে আব্দুস ছাত্তারকে জানান, আপনার মেয়ে বিষ পান করেছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আব্দুস ছাত্তার তার ভাতিজা আাবু বক্করকে সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে খুঁিজয়া না পাইয়া সাদ্দামকে মোবাইল করলে এবার সে জানায়, শিরিনা ভাবি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করিয়াছে। রংপুর কোতয়ালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। মামলা নং- ১৫৯/১৭। ঘটনার বিষয় জানার জন্য শিরিনার স্বামী, শাশুড়ী, দেবরসহ তাদের পক্ষের লোকজন বাড়ী ছেড়ে পলাতক থাকায় তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানায়, অভিযোগ পেয়েছি আসামীগণ পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।