Site icon Aparadh Bichitra

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক অফিসে মোটরযানের মামলা ভাঙ্গানোর নামে সরকারী রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক অফিসের প্রসিকিউশন শাখায় মোটর যানের মামলা ভাঙ্গানোর নামে সরকারী রাজস্ব আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ঐ অফিসে  একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মামলা ভাঙ্গানোর কাজে দায়িত্ব রত থাকলেও সে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তাকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বহাল তবিয়তে  থেকে কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক প্রসিকিউশন শাখায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলা ভাঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে জানা গেছে। নানা অনিয়ম ও ঘূষ দূর্নীতির মাধ্যমে মামলা ভাঙ্গানোর নাম করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত প্রয়োজন। অভিযোগ কারীরা জানান দুদক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক তদন্ত করলেই কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক সহ সিন্ডিকেট দের সকল অপকর্মের  চিত্র বেরিয়ে আসবে। মোটরযান হতে জরিমানা মামলা প্রতি ৩, ৪, ৫,৭ ও ১০ হাজার টাকা আদায় করলেও কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক সাদা কাগজে ঐ আদায় কৃত টাকার একটি লিষ্টে  মামলা নং ও টাকার অংক লিখে টাকা গুলো কেসস্লিপের সাথে মোড়াইয়া সবার সামনে সংরক্ষণ করে। মামলা ভাঙ্গাইতে আসা শ্রমিক / মালিক দের নিকট থেকে আদায় কৃত জরিমানার টাকার কোন বৈধ রশিদ না দিয়া ভূয়া শ্লিপ প্রদর্শন করিয়া মামলা খাওয়া বিবাদীদের ধোকা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। তথ্যে জানা যায় মামলা ভাঙ্গানোর আদায়কৃত টাকা হতে মামলা প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ ট্রেজারী খাতে জমা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগকারী আরও জানান সপ্তাহে প্রতি রবিবার হতে বৃস্প্রতিবার পর্যন্ত সকাল ১০.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে মামলা ভাঙ্গানোর ঐ সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশদের নিজস্ব নিয়ম। শুক্র ও শনিবারের দিন মামলা ভাঙ্গানো হয় না। গত ০৯/০৯/২০১৭ ইং তারিখ রোজ শনিবার ঐ সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের অফিসে প্রসিকিউশন শাখায় গিয়ে জানা যায় কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক, শুক্র শনিবার সহ সপ্তাহের সব দিনেই তিনি নিজেই মামলা ভাংগিয়ে থাকে।  দুরদূরান্ত থেকে আগত মামলার বিবাদীদের নিকট থেকে মামলা প্রতি অতিরিক্ত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ঘুষ নিয়ে মামলা ভাঙ্গিয়ে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। মামলা ভাঙ্গাইতে আসা শ্রমিক/মালিকগনদের নিকট হইতে অনৈতিক টাকা আদায়ের অপকৌশল হিসাবে তারা দিনের পর দিন নানা কৌশলে হয়রাণী দূরব্যবহার করিয়া ভোগান্তিতে ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোকে নাজেহাল করে ঘুষ দূর্নীতি করছেন। যে কারনে তিনি ঐ স্থান থেকে বদলীও হচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক কে তার এহেন অপকর্মের কথা জিজ্ঞাস করা হলে, তিনি জানান আমাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে, অন্যান্য প্রশ্ন তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। টি, আই রে-নেওয়াজ সেল ফোনে জানান আমি নতুন যোগদান করেছি। হাইওয়ে রোডে যান জট নিরসনে ব্যস্ত আছি, আর কোন কথা না বলেই সেল ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা টি, আই হুদাকে অফিসে পাওয়া যায় নাই। কনষ্টেবল আব্দুর রাজ্জাক জানান স্যার ঢাকায় আছেন। সেল ফোন নম্বর চাইলে তিনি জানান “ স্যারের অনুমতি ব্যতিত সেল ফোন নম্বর দেওয়া নিষেধ”। বিধায় তার বক্তব্য জানা যায় নাই।