সিটি কলেজের মেধাবী ছাত্রী গৃহবধূ মনিষা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

0
454

নগরীর পাহাড়তলী থানার কাট্টলীতে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের মেধাবী ছাত্রী গৃহবধূ মনিষা দাশ (পপি) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শোকাহত পরিবারের পক্ষ থেকে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মনীষার পিতা দিলীপ দাশ, মাতা টুনটু দাশ, কাকা মাধব দাশ, রতন দাশ, আন্না দাশ, দেবাশীষ রুদ্র, ডেইজী রুদ্র, বিজয় দাশ,ছন্দা দাশ মুনমুন,উত্তম দে, স্বপন দাশ, আশীষ দাশ বাচ্চু, রুবেল দাশ, সুস্মি দাশ, পম্পি দাশ, বিভু চক্রবর্তী, উজ্জ্বল দত্ত, সঞ্জীব চক্রবর্তী টিংকু, মোঃইসাক মিঞা বাবুল, স্বরূপ বিশ্বাস, মোঃ লোকমান, অপু দত্ত, তন্ময় দে, লিজা দাশ, জয় চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, রিতা দাশ বাপ্পী, ঝুন্টু চৌধুরী, বাবলু দে, মিন্টু দে, শোভন দাশ প্রমুখ।  মানববন্ধনে গৃহবধূ মনিষার পিতা দিলীপ দাশ অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা চলাকালে সকালে কোন এক সময়ে তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার চালায় স্বামী অভিজিৎ দত্ত রকি, শাশুড়ি ঝর্ণা দত্ত, ননদ মুন্নী ও জিমকী। দীর্ঘসময় এ অবস্থায় তাকে ঘরে ফেলে রেখে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনীষাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামী ও আত্মীয়-স্বজন লাশ গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে এবং ময়না তদন্তেও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। এরপর নিয়মানুযায়ী মনীষা দাশের সৎকার সম্পন্ন করা হয়। গৃহবধূ মনীষার মা টুনটু দাশ মানববন্ধনে বলেন, তার মেয়ে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের এমবিএ (চূড়ান্ত) পরীক্ষা দিয়েছিল। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়েকে ব্যাংকার পাত্র দেখে বিয়ে দিলেও নানান অজুহাতে তারা মেয়ের ওপর নির্যাতন চালাতো। হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালালেও লাশ দেখে আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। এসময় স্বামী ও শাশুড়ি-ননদদের আচরণ ছিল রহস্যজনক।  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মনিষার স্বামী অভিজিৎ দত্ত রকি এইচএসবিসি ব্যাংক ইপিজেড শাখায় কর্মরত। তিনি প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে বশে আনার চেষ্টা করছেন। অবৈধ উপার্জনে কোটি টাকা ব্যয়ে কাট্টলীতে ভবন নির্মাণ করেছেন। যৌতুক চেয়ে বিয়ের পর থেকে তিনি স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছেন। সর্বশেষ মনীষাকে হত্যার পর মামলা না করতে তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিচ্ছেন। হত্যার আলামত লোপাট করায় গ্রেফতার পূর্বক রিমান্ড এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করা হয় মানববন্ধনে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − 5 =