দক্ষিণ বনশ্রী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জাল সনদে শিক্ষকতার স্বর্গরাজ্য ব্যবস্থা নিচ্ছেনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দুদক

0
2166

অপরাধ বিচিত্রা রিপোর্ট ঃ
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে জাল সনদধারী শিক্ষক-শিক্ষীকাদের কদর বেশি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে জালিয়াতির পিলেচমকানো তথ্য উদঘাটিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিচ্ছেনা শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন।
জানা গেছে, জাল সনদপত্রে চাকরী বাগিয়ে নেয়া নাটেরগুরু সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম সরদার বিষয়টি ধামাচাপার মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তদন্তÍ প্রতিবেদনে তার জালিয়াতির প্রমান মিললেও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি আজো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। বরং আরো দুইজন সহকারী শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে চাকুরী প্রদান করে জালিয়াতির রেকর্ড গড়েছে। ফিরোজা আক্তার পান্না, সানু আক্তার ,সায়লা হক, ফিরোজা বেগম লাভলী এবং মাহবুব আলম একই প্রক্রিয়ায় চাকরী বাগিয়ে নিয় ফুরফুরে মেজাজে আছেন। প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলম সরদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫-১২-২০১৫ তারিখ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং ০৩-০২-২০১৬ তারিখের তদন্ত প্রতিবেদনে, সহকারি শিক্ষক মোঃ আলম সরদার এর বিরুদ্ধে ০৪ টি অভিযোগ এবং দুইজন সহকারি শিক্ষক ফিরোজা আক্তার ও সানু আক্তারসহ আরো তিনজন সহকারি শিক্ষক সায়লা হক, মাহবুব আলম, ও ফিরোজা বেগম লাভলী” এর ভূয়া সনদপত্রের মাধ্যমে চাকুরি গ্রহন করে এমপিওভূক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে সরকারি অর্থ আতœসাৎ বন্ধ করাসহ উল্লেখিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে নিম্নে তাদের আর্থিক ও অন্যান্য অনিয়ম এবং অবৈধ নিয়োগ সহকারি প্রধান শিক্ষক আলম সরদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ : ০৪/০২/২০১০ তারিখের নীতিমালার ১৩ নং অনুচ্ছেদ এবং পরিশিষ্ট ঘ এর ক (৬) মোতাবেক নিয়োগকালে কাম্য অভিজ্ঞতার ১০ বছর ছিল না বিদায় সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে তার নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকালে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন না করার অভিযোগ প্রমাণিত। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পূর্বে পূর্ব প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র দাখিল না করার অভিযোগ প্রমাণিত। একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠান হতে সরকরি বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ প্রমাণিত। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অদ্যপর্যন্ত সরকারি প্রধান শিক্ষক এর ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক হিসাবে এমপিও বাবদ ৫,৬৪,২৪০ টাকা গ্রহন করেছেন, যাহা অবৈধ ও বেআইনি। মোঃ আলম সরদার (শাহাবুদ্দিন মজুমদার, রাণী মামুন, নিবলু, খোরশেদ আলম মৃধা, সনত চন্দ্র দাশ, ওমর হোসেন, এস এম সাদিকুর রহমান, কাউসারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে বহাল রয়েছেন। তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে দলা-দলি সৃষ্টিসহ আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে সি-৩৬, দক্ষিণ বনশ্রী, গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯ কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিষয়টি জানাজানি হলে তরিঘরি করে কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হয় তার কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা জিম্মি। ফিরোজা আক্তার ও সানু আক্তার ২০১০ সালে আগস্টমাসে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। সহকারি শিক্ষক ফিরোজা আক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ হল: ফিরোজা আক্তার, পিতা মরহুম শফিকুর রহমান খন্দকার, মাতা: ফয়জুন্নেসা এর ইনডেক্স নং -১০৫৪৫৩৪, তার শিক্ষক নিবন্ধন নাই ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্রটি ভূয়া। (২) এমপিও কালে তার বিএড ডিগ্রি ছিল না। (৩) একাডেমিক সনদে এইচ.এস.সি এ তৃতীয় বিভাগ এবং বি.এস.এস তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত। জালিয়াতী করে বি.এস.এস এ দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্র্ন সনদপত্র দাখিল করে চাকুরী নিয়েছেন। সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষকতা ক্ষেত্রে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহন যোগ্য নয় (সনদপত্র ও বি.এস.এস.এর নম্বরপত্র সংযুক্ত)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বর পত্রের রোল নং-৭৯০২৮, রেজি নংঃ-৮০৪৬, পাশের সন-১৯৯৪, শিক্ষাবর্ষ: ১৯৯১-১৯৯২ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভাগে উত্তীর্ণ। প্রভিশনাল সার্টিফিকেট রোল নং-৭৯০২৮, রেজি নং: ৮০৪৬, পাশের সন-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষ : ১৯৯১-১৯৯২ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভাগে উত্তীর্ণ। (৪) একটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ৭০০৮৩২৭/২০০৭. রোল নং-২১০২০৩১২ এবং অপর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ৮০০০৫৩৬৩/২০০৮, রোল নং-১০২১২৩৭৭। সহকারি শিক্ষক সানু আক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ: সানু আক্তার, পিতা: ওহিদুজ্জামান, মাতা: শিপু বেগম এর ইনডেক্স নং ১০৫৪৫৩৮, বেসকারি শিক্ষক নিধন্ধন নাই, তিনি একাধিক বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্র দাখিল করেছেন (কপি সংযুক্ত) একটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর-৭০০৮৩২৫/২০০৭, রোল নং-২১১৮০১৮৫ এবং অপুর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ৮০৪০৫৩৬৩/২০০৮, রোল নং-৩১৪১২৮৭১। (২) এমপিওপ্রাপ্তকালে তার বিএড ডিগ্রি ছিল না। (৩) তার কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে সনদপত্রটি ভূয়া। (৪) এছাড়া সহকারী শিক্ষক সায়লা হক এর নিয়োগ কালীন সময় তার বিএড ডিগ্রি ছিল না। এবং তার নিবন্ধন পত্রটি ভূয়া। (৫) সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলম ও ফিরোজ বেগম লাভলী এর শিক্ষক নিবন্ধন ভূয়া বলে জানা যায়। শিক্ষামন্ত্রনালয় সঠিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করিলে এসকল বিষয় জানা যাবে, দুর্নীতিবাজ আরও শিক্ষক শিক্ষিকাদের আসল মুখোশ উন্মোচন হবে। সঠিক ভাবে উক্ত বিষয়গুলো তদন্ত করার স্বার্থে সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ শিক্ষামন্ত্রনালয় ও মহাপরিচালকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা ভবন ঢাকা এবং চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন, সেগুন বাগিচা ঢাকাকে অবগতির জন্য যারা অনুরোধ করেছেন তারা হলেন ১/ মোঃ ওমর হোসেন সভাপতি, তেজখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, বাঞ্চারামপুর এবং অভিভাবক সদস্য, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট, গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯ ২/ আলহাজ্ব খোরশেদ আলম মৃধা-বীর মক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা কসবা থানা আওয়ামীলীগ এবং কো-অপ্ট সদস্য, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ। দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট, গোড়ান, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯ ৩/ এস এম সাদিকুর রহমান অভিভাবক সদস্য, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট, গোড়ান, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯। দুদকে প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে সংবাদটি পরিবেশন করা হলো যা আগামীতে আরও অজানা সংবাদ উপস্থাপন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =