বিপিএলকে ঘিরে জমজমাট জুয়ার আসর!

0
880

জয় সরকার ঃ পাড়া-মহল্লা, খেলার মাঠে, হাট-বাজারে এমনকি গ্রামগঞ্জের প্রতিটি চায়ের দোকানে বিপিএলকে ঘিরে বাজির নামে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। দুর্বল টিমের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের খেলা থাকলে সে ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। এক ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে কত রান হবে, ৫-১০ওভারে কত রান হবে, খেলায় কে কতটি উইকেট পাবে, কে কত রান করবে, কে জিতবে, কে হারবে ইত্যাদি বাজিতে মেতে উঠে ক্রিকেট জুয়াড়ীরা। বিশ্লেষকদের মতে, আমাদের দেশে ক্রীড়াবাজির আবির্ভাব ঘটেছে পার্শ্ববর্তী দু’দেশ ভারত ও পাকিস্থান থেকে। যা গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলমান বিপিএলকে ঘিরে চলছে ধুম-ধামাক্কা জুয়ার আসর। টেলিভিশনের সামনে বসে খেলা দেখা দর্শকদের মাঝে চলে দর কষাকষি। ১৫-২৮ বছর বয়সীরাই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠছে বেশী। জুয়াড়ীদের এই নতুন ধান্ধায় মেতে উঠেছে উপজেলার অভিজাত এলাকাগুলোও। ধনীর দুলালরা বাজি ধরেন মোবাইলের মাধ্যমে ক্ষুদে মেসেস বার্তা দিয়ে অথবা মোবাইল ফোনে কথা বলে। মোবাইল ফোনে বাজির ধরার কথাগুলো রেকর্ড করে রাখা হয় যাতে পরে কোনো রকম গোলমাল না হয়। তাদের বাজি ধরার ধরন যেমন ভিন্ন এবং তেমনি বাজেটও বড়। এছাড়া বিভিন্ন মোড়ের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে চলে এই ক্রিকেট বাজি। দলগত হার-জিত নির্ধারণ বাজির পাশাপাশি চলে ওভার বা বল বাই বল বাজি। এ দেখে নতুন প্রজন্মের অনেকেই বাজি ধরে সর্বস্ব হারিয়ে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়াসহ নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
এক জুয়া/বাজীকরের মাধ্যমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিটি খেলায় আমার মাধ্যমে নূন্যতম ৫ লক্ষ টাকার বাজি ধরা হয়। প্রতি খেলায় আমার আয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর এ টাকায় আমার সাথে আরো কয়েকজন কাজ করছে। তাদের কাজ হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ছেলেদের উতসাহিত করা।
এ বিষয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঘুরে আরো জানা যায়, মহল্লার কিছু দোকান মালিকরা বাজিকরদের মাধ্যম হিসেবে টাকা জমা, আদান প্রদানসহ বাজি ধরার জুয়াড়ী ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আজকাল একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, যখন কোন খেলা চলে বিশেষ করে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ হলে জটলা বেধে যায় মোড়ের দোকান গুলোতে। পুলিশের পক্ষে গোয়েন্দা নজরদারীসহ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সকল অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে অভিভাবকদের দৃঢ় সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক প্রশাসনিক গোয়েন্দার কঠোর নজরদারি খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে বলে সুধিসমাজের অভিমত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − one =