রৌমারী-রাজিবপুরে কমছে সবজির দাম, বারছে পেঁয়াজের দাম

0
729

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে শীতকালীন সবজির সরবরাহ যতই বাড়ছে ততই কমছে সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজির দাম অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে দু-একটি সবজির দাম এখনো চড়াই রয়েছে।
একইভাবে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মাছের দামও। সে ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের বাজারে এখন কিছুটা স্বস্থি ফিরেছে বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।তবে কমতে থাকা পেঁয়াজের দর আবার হঠাৎ করে বেড়েই চলেছে এই নিত্যপণ্যটির দাম ক্রেতাদের পিছু ছারছে না।উপজেলার, রৌমারী সদর হাট, কর্তিমারী হাট, দাতভাঙ্গা বাজার, হাজির হাট, টাপুরচর বাজার, সায়দাবাদ হাট, খেওয়ার চর হাট। রাজিবপুর উপজেলার, রাজিবপুর সদর হাট, শিবিরডাঙ্গী বাজার, বালিয়ামারী হাট, চর রাজিবপুর বটতলা বাজার, নয়ারচর হাট, কোদালকাটি হাটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন সবচেয়ে কমে এসেছে মুলা সাকসবজির দাম। বেশির ভাগ বাজারেই এই সবজিগুলো মিলছে প্রতি পিস পাতা কপি, বাধা কপি ২০-২৫ টাকায়। তবে দু-একটি জায়গায় ৩০/৪০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।বাজারে প্রচুর পরিমাণে নতুন শিম এসেছে। এতে দামও কমতে শুর করেছে।কিছু দিন আগে কেজি ১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে শিম বিক্রি হয়েছে এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। দু-তিন দিনের মধ্যে দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।বালিয়ামারী হাটে বাজার করতে আসা এক বয়স্ক মূরব্বি চাচা আঃ ছাত্তার দেওয়ানী,তিনি জানান ‘কিছু কিছু সবজি এখন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক সবজির দাম ৫০ টাকা বা তারও বেশি রয়েছে। তার পরও সবজির দাম আগের তুলোনায় কমছে, এর কারন যে কয়েক দিন আগেও বিভিন্ন ধরনের প্রতি কেজি সবজি কিনতে গুনতে হতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ’এ ছাড়া বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, মুলা ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ও আলু ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৪৫-৫৫ টাকা, নতুন আলু ১০০ থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৫৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা এবং বিভিন্ন রকমের শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সবজির দাম পড়তির দিকে থাকলেও হঠাৎ করে উল্টো আচরণ শুর করেছে পেঁয়াজের বাজার। তিন-চার দিনের ব্যবধানে হঠাৎ করেই এই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এখন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮০/৯০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।রৌমারী সদর বাজার পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা ময়নাল হক বলেন, দেশি পেঁয়াজের সংকট আছে। ভারতীয় পেঁয়াজের হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি কমেছে। এ জন্যই একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতির কারণে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।এদিকে সবজির বাজারের মতো মাছের দামও বেশ কমেছে। ইলিশের সরবরাহ না থাকার সামিল,বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের টেংরা ও ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। ছোট আকারের রই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজিতে, বড় আকারের রই ৫০০-৬০০ টাকা কেজি ।এবং তা ছাড়া প্রতি কেজি ভাগ্না মাছ ১৪০-১৬০ টাকা, সরপুঁটি ১৩০-১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।কর্তিমারী বাজারের মাছ বিক্রেতা বিলাল হোসেন জানান, বাজারে প্রচুর ছোট মাছ আসতে শুর করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই নদীর মাছ। সব মিলিয়ে সরবরাহ বেড়েছে। এই কারণে বিভিন্ন মাছের দাম কমেছে।
এ ছাড়া বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের দেশি মুরগি ১৫০-২২০ টাকা, গরুর গোশত ৪৩০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।তবে চালের দাম বেশ কিছুদিন ধরেই স্থির অবস্থায় রয়েছে। যদিও এখনো তা স্বস্থিদায়ক অবস্থায় আসেনি। আমনের নতুন চাল বাজারে আসতে সবেমাত্র শুরু হতে যাচ্ছে,তবে চালের দাম আরো কিছুটা কমবে বলে আশা ক্রেতাদের।জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা বিআর-২৮ চালের দাম আরো এক দফা কমেছে। এ চাল এখন বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য চালের দাম সপ্তাহখানেক ধরে একই অবস্থায় রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 − six =