যশোরে কলেজ ছাত্রীকে জোর করে নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে

0
2704

সংবাদদাতাঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে তার নিজের বাড়ির কক্ষে আটকে নগ্ন করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে ওই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়ার পর তার কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মানসিকভাবে চরম অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রী। ১৬ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসা না হওয়ায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে পরের দিন ১৭ নভেম্বর পর্নোগ্রাফি আইনে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হেলাল মোল্লা ও তার ভাই নূর ইসলাম, হেলাল বিশ্বাস এবং আজাহারুল। ওই কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ও স্থানীয় দীন মোহম্মদ ঘরে বসে কথা বলছিলাম। এ সময় এলাকার হেলাল বিশ্বাস, নূর ইসলাম, হেলাল বিশ্বাস, বাবুল, বাচ্চু, মামুন, আজহারুল, রাজ্জাকসহ ১০ থেকে ১২ জন পরিকল্পিতভাবে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে খাটের ওপর ফেলে দেয়। দুই-তিনজন টানাহেঁচড়া করে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। পাশের ঘর থেকে আমার মা এগিয়ে এলে তারা মাকে মারধর করে। পুরো ঘটনা তারা ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।’ কলেজছাত্রীর মামা বলেন, ঘটনার পর থেকে তার ভাগনি অসুস্থ। দুই দিন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মানসিকভাবে সে খুবই অসুস্থ। সারাক্ষণ সে ঘরের ভেতরেই থাকে। কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত করতে যাওয়া অধিদপ্তরের মণিরামপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়েটির বিবস্ত্র করে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার কারণে সামাজিকভাবে মেয়েটি অসম্মানিত হয়েছে। সে কলেজে যেতে পারছে না। মানসিকভাবেও সে ভেঙে পড়েছে।’ মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকাররম হোসেন বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি মোটামুটি উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দেয়া যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + eleven =