Site icon Aparadh Bichitra

প্রেয়ভাসিনিী এখন সিসিউতে

তার কপালের বড় আকৃতির টিপ, হাতে গলায় নানান ব্যতিক্রমী গহনা আর মুখ ভরা হাসি, সব সময় আলাদা করে মানুষের চোখে পড়তেন। তিনি গুণি ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে। আক্ষরিক অর্থে মৃত্যুর সাথে লাগাতার দেড় মাস যুদ্ধ করতে করতেই মহান বিজয় দিবসে বারবার বলছেন বিজয় দিবসের কথা।

 

শনিবার দুপুর একটা। প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস আর মেয়ে ফুলেশ্বরী হাতে ছোট একটি পতাকা আর বড় একটি টিপ নিয়ে ঢুকলেন আইসিইউতে। মেয়ে সযত্নে টিপ পরিয়ে দিলেন মায়ের কপালে। ছেলে পতাকাটি বেঁধে দিলেন মায়ের খাটের সাথে। ছেলে কারু তিতাস তার মাকে জিজ্ঞেস করলেন। বল তো মা আজকে কি দিবস? প্রিয়ভাষিণী বললেন, আমি জানি, বুঝতে পারি।

 

তিতাস আবার জানতে চান, আইসিউতে কোনও ঘড়ি কেলেন্ডার না থাকলেও বিজয় দিবসের কথা কিভাবে মনে রাখলেন।প্রিয়ভাষিণী বলেন, এদিনের কথা কখনও ভুলার না। কারু তিতাস জানান, তার মা বিজয় দিবসের সকাল থেকেই অস্থির হয়ে আছেন বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য। সকালে দেখতে আসা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও বারবার বলেছেন তাকে বাসায় নেওয়ার ব্যবস্থা করতে। ফুলেশ্বরী বলেন, অনেক দিন পর টিপ পরে আর পতাকা পেয়ে তার মা প্রশান্তির হাসি হেসেছেন। প্রিয়ভাষিণীর সন্তানরা জানান, তাদের মায়ের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। সবশেষ কিডনীর যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই। হ্রদযন্ত্রে চার চারবার অ্যাটাকের মাঝে আছে পেসমেকার লাগানো। আছে উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ ডায়াবেটিস। তার উপর গত রোববার পায়ে হয়েছে জটিল অস্ত্রোপচার।