Site icon Aparadh Bichitra

জাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ২০১৭ জাকসু, শিক্ষক নিয়োগে ও সান্ধ্যকোর্সে চালুতে সংস্কারে প্রতিশ্রুতি জাতীয়তাবাদী প্যানেলের

জাবি প্রতিনিধি: ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষক নিয়োগে পদ্ধতিগত সংস্কার এবং সান্ধ্যকোর্স চালুর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ও শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিমালা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে (জাবি) আসন্ন সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের প্রার্থীরা।
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হলে সব দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করেই তারপর নির্বাচন দিতে হবে। একচেটিয়া নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারেন না।

 

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপিপন্থি’ শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সম্পাদক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম সেলিম।
অধ্যাপক শরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী প্যানেলের প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। নির্বাচিত হলে প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য কি পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন “আমাদের সর্বপ্রথম কাজ হবে জাকসু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এজন্য সকল শিক্ষার্থীর জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবে।” শিক্ষক নিয়োগে পদ্ধতিগত সংস্কার আনতে সিনেট অধিবেশনের এজেন্ডাভূক্ত করার বিষয়ে অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, “হ্যা, আমরা এটা সিনেট অধিবেশনে এজেন্ডাভূক্ত করবো এবং এ বিষয়ে বৈশি^ক মানদন্ড অনুসরণের ব্যবস্থা রাখার জন্য কাজ করবো।” সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “আসলে বিষয়টি জটিল। বন্ধ না করা গেলেও এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার জন্য আমরা কাজ করবো।

প্যানেলের প্রার্থী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, “ এই যে বিশ্ববিদ্যালয় এত সমস্যার মূলে আছে জাকসু সচল না থাকা। এজন্য এটাকে অগ্রাধিকার দেব। বিশ^বিদ্যালয়ের নানা পর্যায়ে গুণগত পরিবর্তনের জন্য সিনেটের সব ক্যাটাগরিতে নিয়মিত নির্বাচন হওয়া জরুরি।”
তিনি বলেন, নেতৃত্ব তৈরির আতুরঘর হলো জাকসু। আমরা জাকসু নির্বাচন চাই। এই নির্বাচনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়সহ সকল দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে। ছাত্রদলকে বাইরে রেখে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া নির্বাচনকে আমরা সমর্থন করি না।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী’ প্যানেলের আহ্বায়ক মো. মাসুদ হাসান তালুকদার লিটন। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী প্যানেল যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এই প্যানেল বিজয়ী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, গবেষণা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা, শিক্ষক নিয়োগে মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া, সুস্থ্য ছাত্র রাজনীতি চর্চায় জাকসুসহ হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানসহ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, আশরাফ উদ্দিন খান, কেএম রাশেদ হাসান, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, মো. আলমগীর সরকার, মো. জামাল উদ্দীন, মো. সবীর হোসাইন, অধ্যাপক মো. নূরল ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম, আব্দ্ল্লুাহ আল মামুন, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।