Site icon Aparadh Bichitra

ডিআইজি মিজানের হুমকি, ডিভোর্স দিয়ে দিতে বললেন

তুমি ছবি ডিলেট করে দাও, ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের বিষয়টি আমার আইজি ও কমিশনার দেখেছেন * এ মেসেজ যদি কোনো মিডিয়াতে আসে তাহলে অনেক খারাপ হবে, সে এ মেসেজ ফেসবুক থেকে উইথড্র করবে, ছবি ডিলেট করবে ডিআইজি মিজানুর রহমান অফিস মুডে তার কর্মস্থলে। এ ছবিটি আপলোড করে স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন মরিয়ম আক্তার ইকো বিয়ের কিছুদিন পর ১৭ সেপ্টম্বর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার ইকো ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ডিআইজি মিজানুর রহমান অফিস মুডে তার কর্মস্থলে বসে আছেন। এ ছবির ক্যাপশনে ইকো মিজানুর রহমানকে স্বামী হিসেবে উল্লেখ করে লেখেন,

 

‘হোয়েন মাই ডিয়ার হাব্বি ইন ওয়ার্কিং মুড।’ এ ছবিটি ফেসবুকে দেখার পর তিনি ইকোর ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন। সেখানে তখন ইকোর মা কুইন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এ ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা হয়। মা-মেয়ে দু’জনকে শাসিয়ে দ্রুত ফেসবুক থেকে ছবিটি ডিলেট করার জন্য ডিআইজি মিজান চাপ দেন। তাদের বাকবিতণ্ডার ৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের অডিও বার্তাটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। কথোপকথনের বিষয়টি নিচে তুলে ধরা হল-

 

ইকোর মা কুইন তালুকদার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানের সামনেই ইকোকে বলেন, ‘তুমি ছবি ডিলেট করে দাও।’ এ সময় ডিআইজি মিজান উত্তেজিত হয়ে বলেন, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মিজান ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের বিষয়টি আমার আইজি ও কমিশনার দেখেছে। আমার ছবি সে (ইকো) আপলোড করে দিছে। ইকোর মায়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানকে বলতে শোনা যায়, “১৭ সেপ্টেম্বর সে ফেসবুকে লিখেছে ‘হোয়েন মাই ডিয়ার হাব্বি ইন ওয়ার্কিং মুড’ (যখন আমার প্রিয় স্বামী কর্মব্যস্ত মেজাজে)। এইটা কেন দিল?” জবাবে ইকো বলেন, ‘এটা বিয়ের পর দিয়েছি।’ একথা শুনে মিজান আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তখন ইকোর মা ডিআইজি মিজানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মিজানুর তুমি সিনক্রিয়েট করো না।’ এরপর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজান নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলেন, ‘এই মেসেজ যদি কোনো মিডিয়াতে আসে তাহলে অনেক খারাপ হবে। সে এ মেসেজ ফেসবুক থেকে উইথড্র করবে। ছবি ডিলেট করবে।’ একথা শুনে ইকোর মা বলেন, ‘তোমার সঙ্গে কি আমার মেয়ে ভাইগা গেছে, না তুমি তুলে নিয়েছ?’ জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজান বলেন, ‘ও আপনিও মেয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন? তাহলে শুনুন, এই ছবি এবং স্ট্যাটাস যদি ডিলেট করা না হয় তাহলে আমি আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করব।’ এ কথার পর ইকো বলেন, ‘তুমি মামলা কর- আমি এসব ভয় পাই না।’ এতে উত্তেজিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজান বলেন, ‘তোর মতো … কি কিছুই ভয় পায় না।’ একপর্যায়ে ইকোর মা ইকোর পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘তুমি মামলা কর, আমরা মামলা লড়বো।’ এরপর স্ত্রী ইকোকে উদ্দেশ করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানকে বলতে শোনা যায়, ‘ছবি আপলোড করা তোমার কাছে কিছু না, কিন্তু মিডিয়ার কাছে অনেক কিছু।’ আবারও ইকো বলেন, ‘ছবিটা আপলোড করেছি বিয়ের পর।’ একপর্যায়ে ডিআইজি মিজান বলেন, ‘আমি আর কোনো কিছুতেই নাই।’ এরপর ইকো বলেন, ‘ঠিক আছে তুমি ডিভোর্স দিয়ে দাও। ইউ উইল বি ফেইস।’ ৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের এ অডিওর কথাবার্তা ইকো ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানের বিয়ের বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।