Site icon Aparadh Bichitra

সাভার ডিইপিজেড কাস্টম্স বন্ড কমিশনারেট অফিসে আমদানী রপ্তানী ছাড় পত্রের নামে ঘুষ বানিজ্য

মোঃ জহুরুল ইসলাম- ঢাকা জেলার সাভার  ডিইপিজেড কাস্টম্স বন্ড এ আমদানী রপ্তানী ছাড়পত্র/ এন্টি স্বাক্ষরের  নামে উপ- কমিশনার (পূর্ব- পশ্চিম) এদিম বিল্লাহ সহ রাজস্ব কর্মকর্তা (পূর্ব) কামাল হোসেন, রাজস্ব কর্মকর্তা (পশ্চিম) আমিনুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মুসা ও আজাদ নামক ব্যক্তিগন সিন্ডিকেট করে বছরের কোটি কোটি টাকা  ঘুষ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুট ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে  কাস্টম্স ছাড়াই বিনা শুল্কে ইপিজেটের ভিতরে

 

গার্মেস্টস গুলোর জুঁট কাপড় বাহিরে  পাচার করছে। আমদানী  ও রপ্তানী কারকদেরকে ডিম্মি করে ফাইল স্বাক্ষর ও ছাড় পত্রের নামে প্রকাশ্যেই এই ঘুষ নিতে দেখা গেছে। এই দূনীতির সাথে সরাসরি জড়িত উপ- কমিশনার অব কাস্টম্স এদিম বিল্ল্হা সহ অনেকেই বলে জানা গেছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মুসা জানান, আমাদের এই টাকার অংশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেহ কেহ ভাগ বাটোয়ারা পেয়ে থাকেন। এদিম বিল্লাহর  সাভার কাস্টম্স ও ডিইপিজেড কাস্টম্্স বন্ডে যোগদান করার পর থেকেই আশুলিয়ার প্রেস ক্লাবের নামে কিছু অপসাংবাদিকদের হাত  করে ধিদ্বাহীন ভাবে তার এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্চে বলে জানা গেছে। তার নির্দেশে এরকম কর্মকান্ড  চললে দুদুকের ও উর্ধ্বতনের তদ্বন্ত প্রয়োজন। সাভার কাস্টম্স বন্ড কার্যালয়ে ২য় ও ৩য় তলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মুসা আজাদ সহ ওরা এগারোজন একই অপকর্মে লিপ্ত। এরা  রপ্তানী কারকদের নিকট থেকে ছাড়পত্রের নামে ৫/৬/৭/৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছে। এন্টি স্বাক্ষরের নামে ১শত থেকে ২শত টাকা ঘুষ নিচ্ছে । এই সমস্ত অপকর্ম আড়াল করতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে মুসা নামক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা । গড়ে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যারা ঘুষ দিতে অনিহা প্রকাশ করে তাদের ফাইল আটক রাখে তাদের গাড়ি গুলো কাস্টম্স এর ভিতরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে। ঘুষের নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করলেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এদের অত্যাচারে অতিষ্ট ভূক্তভোগী হয়রানীর শিকার আমদানী রপ্তানী কারকগন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তথ্যকারী জানান, প্রতিদিন সাভার কাস্টম্স বন্ড কমিশনারেট অফিসে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করে। বিষয়ের সত্যতা জানতে উপ-কমিশনার এদিম বিল্লাহর সাথে স্বাক্ষাত করতে চাইলে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মুসা ও আজাদ স্বাক্ষাতে  বাধা গ্রস্ত করে। সেলফোন নাম্বার চাইলেও সহযোগীতা না করে এদিম বিল্লাহর অনুমতি ছাড়া সেলফোন নাম্বার  দেওয়া নিষেধ বলে জানায়।