Site icon Aparadh Bichitra

টাঙ্গাইল মির্জাপুর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ!

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা ঃ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া সাব রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন ও   অফিস সহকারী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা  অনিয়ম আর ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম দূর্নীতির নেপথ্যে অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নানা ভাবে বিভিন্ন লোকদেরক মারফতে ভূয়া খাজনা খারিজের কাগজ পত্র জমা নিয়ে স্থানীয় দলিল লেখক সিন্ডিকেট চক্র ও ভূমি অফিসের এক শ্রেণীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আতাত করে দলিল রেজিষ্ট্রি করে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নগদে দলিল দাতা ও গ্রহিতা দের নিকট থেকে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তদন্ত মুলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এক কর্মচারী জানান, এদের যোগ সাজসে দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে যেমন ভোটার আইডি কার্ড, ভুয়া খাজনা খারিজের রশিদ ও জাল সই স্বাক্ষর ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়ারিশান সম্পত্তি ও সরকারী খাস সম্পত্তি দলিল করে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে করে অন্যান্য ওয়ারিশানগন খাস সম্পত্তি গ্রহিতাগন চরম ভাবে প্রতারিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।  দলিল সৃষ্টির সময় তাহারা সেরেস্তা খরচ নামে প্রতি লাখে ৩০০-৫০০ টাকা আদায় করে যাহা সাধারণ মানুষের নিকট হইতে ঐ সেন্ডিকেট চক্র আদায় করিয়া দিচ্ছে উক্ত অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম এর হাতে। জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে অনেক ব্যক্তিগত সম্পত্তি দলিল অযোগ্য হওয়ার পরেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় হয়েছে দলিল। এছাড়া অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম সহযোগিতায় একজনের সম্পত্তির অন্যজন বিক্রি করার  অভিযোগও রয়েছে। কাগজ পত্র ঠিক থাকার পরেও দলিল যোগ্য অনেক সম্পত্তি ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করিতে আসা দলিল দাতা ও  গ্রহিতাগন চরম হয়রাণীর শিকার হচ্ছে এই অফিসটিতে। এ অফিসটি কিছু বহিরাগত দালালে ছেয়ে গেছে। তাদের কাছে প্রকৃত দলিল লেখকরাও জিম্মি। সিন্ডিকেট দলিল লেখকদের কারণে প্রতি মাসে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং ফাঁকি দিচেছ সরকারী রাজস্ব। তাদের ক্ষমতা ও টাকার কাছে সবাই অসহায়। দলিল লেখক কল্যান সমিতি নামক সিন্ডিকেট সদস্যদের দাপটে  সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের লোকজনও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের অবৈধ কাজে সহযোগিতা না করলে তারা হুমকি দামকি এবং কি গালিগালাজও করে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিযোগ কারী জানান সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন পারটাইম অফিস করায় ঐ  অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম এর উদাসীনতার কারনেও অফিসটিতে এ রকম অনিয়ম দূর্নীতি থামছে না। অফিস সহকারীকে অনৈতিক টাকা দিলে দলিল নিবন্ধনে কিছুই দেখেন না। না দিলেই মুল কাগজে খুটিনাটি ভুল ত্রুটি ধরে দলিল নিবন্ধনে দাতা গ্রহীতাদের কে নানা বিধ উপায়ে নাজেহাল ও হয়রানী করে বলে জানা যায়। বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর,  জেলা দূর্নীতি দমনের উপ-পরিচালক সহ আইন মন্ত্রী সচিব এর নিকট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী একাধিক ভুক্তভোগীদের।