টাংগাইল জেলার দুই হাজার একর ফসলী জমিতে দুই শতাধিক ইটভাটা বিশ হাজার একর ফসলী জমি  তছরোপ

0
660

জেলা প্রতিনিধি টাংগাইল
টাংগাইল জেলার দুই শত ইটভাটায় প্রতি বছর ২/৩ হাজার তিন ফসলী কৃষি জমির আকৃতি বা শ্রেনী বিনষ্ট ও চিরকালের জন্য ফসল উৎপাদনে অকার্য্যকর হচ্ছে ও প্রাকৃতি ভারসাম্য হারাচছে,পরিবেশে বিপর্যয় বন ধ্বংস জীব ,জন্ত, ফসলের বিনাশ  হচছে।

 

ইটতৈয়ারে কাচা মাল হিসাবে এটেল-মাটি, বেলে-মাটি, বেলে-দোয়াশ-মাটির প্রয়োজন মেটাতে  সহজ ও সাশ্রয়ে পাওয়ার হীন-উদ্দেশ্যে তিন ফসলী কৃষি জমিতে ইটভাটা স্হাপনে স্ব উপজেলা কৃষি অফিসার এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি হাসিলে ভাটার   চার পাশের কৃষকের দুর্বলতার সুযোগে  তিন ফসলী জমির ৭/৮ ফুট খনন করে মাটি ইটভাটার চাহিদা পুরনে তিন ফসলী ২ হাজার একর কৃষি জমি শস্য উপার্জনে কৃষকের হাত থেকে  বিলিন হচ্ছে।
টাংগাইল জেলার ১২টি উপজেলার, মির্জাপুর উপজেলায় ৪৭টি ইটভাটা, সংরক্ষিত বনের            ভিতর ৬টি বনের গা-ঘেষে ১১টি, ও বন বহির্ভুত এলাকায় ৩০ টি। সখীপুর উপজেলায় ৮টি ইটভাটা, সংরক্ষিত বনের ভিতর ৮টি।  কালিহাতী উপজেলায় ১২টি ইটভাটা, সংরক্ষিত বনের ভিতর ৪টি,বনের গাা-ঘেষে ৮টি। ঘাটাইল উপজেলায় ৭২টি ইটভাটা, সংরক্ষিত বনে ভিতর ২৩টি এবং বন আইনের আওতায় ৯টি, বনের আওতা মুক্ত ৪০ট। মধুপুর উপজেলায় ১০টি ইটভাটা, সংরক্ষিত বনের ভিতর  ৯টি এবং বন আইনের আওতায় ১টি। টাংগাইল সদর উপজেলায় ৪ট। নাগরপুর ১১টি। ধনবাড়ী ১৬টি। গোপালপুর ০৩টি। ভুয়াপুর ০৫টি। বাশাইল ০৯টি। দেলদুয়ার ০১টি, সহ  টাংগাইল জেলার ১২টি উপজেলায় প্রায় ২০০ শত ইটভাটা শত করা ৯৭% তিন ফসলী কৃষি জমিতে স্হাপিত হয়েছে,। সরকারী গেজেট ভুক্ত বন বিভাগের বনের  ভিতর, ও বনের জমিতে কম পক্ষে ৭৩টি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। দেশের প্রচলিত বন আইনে ১৩ কলোমিটার দুরত্বের মধ্যে কোন ইটভাটা, স-মিল স্হাপন নিষিদ্ধ। ইটভাটা স্হাপনে দেশের প্রচলিত আইনে অকৃষি বা এক ফসলী ১ একরের বেশী জমিতে ইটভাটার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ২/৩ ফসলী কৃষি জমির উপর ইটভাটা স্হাপন করা নিষিদ্ধ।  অকৃষি জমির মাটি সংগ্রহের মাধ্যমে অকৃষি জমি থেকে কৃষি/মৎস্য চাষের জমির আকৃতি সৃষ্টি আবশ্যক। ইটভাটায় খরি ব্যাবহার নিষিদ্ধ। ভাটা স্হাপনে জেলা  পরিবেশ অধিদপ্তর অফিস কর্তৃক এবং স্ব- এলাকাধীন উপজেলা কৃষি অফিসার সরজমিনে  জমির শ্রেনী,  স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, হাসপাতাল, বসত-বাড়ী  জনসমাবেশ এলাকার মধ্যে ইট ভাটা স্হাপন করা আইনত  নিষিদ্ধ। সম্পুর্ন বেআইনী ভাবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টাকার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইটভাটা স্হাপিত হয়েছে। অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে। ইটভাটা শুধু বনের চার পাশেই নয়, বনের ভিতরে ও বনের জমিতে স্হাপন করা হয়েছে। এসব ইটভাটায় সংরক্ষিত বন অঞ্চলের মুল্যবান কাঠ কয়লা পুড়ানো হচ্ছে ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জীব জন্তু বিনাশ থেকে ধরিএীকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে তহবিল গঠন সভা-সেমিনারের মাধ্যমে বিজ্ঞ-জনের মতামত নেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে লক্ষনীয় কোন ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে না।  বন উজার হচ্ছে, ফল ও ফসলের ফলন শুন্যের কোঠায় নেমে আচ্ছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমান আদালত মাঝে মধ্যে জেল জরিমানা করলেও বন্ধ হচ্ছে না।  ইটভাটা নিয়ম বহির্ভুত ভাবে স্হাপিত শতভাগ বেআইনী কাজ কর্মের মাধ্যমে ইটভাটা চালাচ্ছে এরপরও  কি ভাবে তিন ফসলী জমিতে ইটভাটার লাইসেন্স পাচ্ছেন জানতে চাইলে একাদিক ভাটার মালিক ম্যানেজার বলেন,উপজেলা কৃষি অফিসার ইট ভাটার জমির সাফাই পএ পেয়েই  পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে মিল করেই চালাই। ছাড় পএ ছাড়া ভাটা চালাতে অসুবিদা হয় না জানতে চাইলে বলেন তিন লাখ দিয়ে ছাড় পএ নেওয়ার পরও ডিসি অফিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর কে প্রতি বৎসর ২/আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ছাড় পএ না নিয়ে ঘুষের পরিমান কিছু বাড়ি দিলেই মহা খুশি হয়। তাই ছাড় পএের প্রয়োজন হয় না।  ভাটার লোকজনের আলোচনায় জানা যায় রক্ষকরাই ভক্ষক বলে এইভাবে ভাটা চালাচ্ছি, জনশ্রুতিতে জানা যায় দুর্নীতি বাজ সরকারী কর্মকর্তাদের অসহনীয় চাঁদা/ঘুষ আদায়ে দেশটা রসাতলে যাচ্ছে,। বহেড়াতৈল রেন্জ অফিসার জনাব আতাউল মজিদ বলেন আমার রেন্জ অফিসের কাছেই দুটি ইটভাটা চলছে, যাদের কোন ছাড় পএ নাই, রাজনৈতিক কারনে ও আইনী জটিলতায় আইনী কোন ব্যবস্হা নিতে পারিতেছিনা। উপরোক্ত অবস্হা দৃষ্টে জরুরী ভাবে দেশের সচেতন হিতোষীগনের জোর দাবী পরিবেশ অধিদপ্তর, এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের, সচিব, মন্ত্রী, ও প্রধান মন্ত্রী, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − three =