ঈদ হোক সবার জন্য আনন্দময় না ঘটুক কোন অপ্রিতিকর ঘটনা

0
1182

গোটা মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রমযানের ঈদ অন্যতম। পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজি, রাষ্টিয় ও তামাম মুসলিম উম্মাহর জন্য এ পর্বটির গুরুত্ব বিশাল। টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পর অনন্দঘন পরিবেশে রমযানের ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চলে রমযান মাসের শুরু থেকেই। অতিতের তিক্ততাকে ভুলে গিয়ে ধনী-গরিব এক হয়ে এক মহা মিলনের দিন হচ্ছে শাওয়ালের ঈদ। রমযানের পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব সকল মুসলিমের। ধর্মীয় সম্প্রতির এ দেশে সকল ধর্মের লোক মিলে আনন্দে এক যায় ঈদের দিনে। শিশুরা দিন গুনতে থাকে কবে আসবে তাদের অনন্দঘন দিনটি। তবে বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। প্রতি বছর এ অনন্দঘন দিনটি যতই ঘনিয়ে আসে ততই দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রিতিকর ঘটনা বাড়তে থাকে। প্রতি বছর যাঁকাতের কাপড় বিতরনের নামে নারি ও শিশু হত্যার মত অপকর্ম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

 

কিছু তথাকথিত মুসলিম ও দুই নম্বর টাকার মালিকরা নাম ফুটানোর জন্য মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে যাঁকাতের কাপড় বিতরন করে। এই কাপড় আনতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে পদদলিতে এ পর্যন্ত প্রচুর সংখ্যক নারি ও শিশু হতাহত হয়েছে যা উব্দেগজনক। প্রতি বছরই দেখা যায় এধরনের নগ্ন চিত্র। তাছাড়া পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাবার সময় সড়ক দুর্ঘটনা, লঞ্চ ডুবি ও প্রতারক চক্রের হাতে সব কিছু হারাতে হচ্ছে অনেক দূরপাল্লার যাত্রিদেরকে। রমযান আসার আগ মুহুর্তে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যায়ভাবে গুদামজাত করে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে জনহয়রানিতে মেতে ওঠে। অফিস আদালতে ঘুষের টার্গেট বেড়ে যায় কয়েক গুন। রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা থেকে চালা চামুন্ডদের চাঁদাবাজিতে জনজীবন হয়ে ওঠে দূঃসহ। রমযানের পবিত্রতাকে ভুলে গিয়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারনে আমাদের ওপর নেমে আসে অত্যাচার ও জুলুমের খড়গ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় হচ্ছে মহান আল্লাহর সঠিক পথ অবলম্বন করে তাঁর নির্দেশমত চলা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 − one =