রৌমারীতে এটিও ও ইউডির অনৈতিক কর্মকান্ড ও দুর্নীতি

0
918

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ উপজেলায় কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহেদুল ইসলাম (লিটন এটিও ) উপজেলার সহকারী শিক্ষকদেরকে অন্যায়, অত্যাচার ও অনৈতিক, কর্মকান্ড অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ টি পয়েন্ট তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, বিভাগীয় অফিস ও সচিবালয় বরাবরে দিয়েছেন।

পয়েন্ট গুলি, সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষন না করেই নানা কৌশুলে অর্থ আত্মসাৎ করেন, শিক্ষণগনের কোন আবেদনের সুপারিশ চাইলে টাকা ছাড়া কোন সুপারিশ দেন না, বিদ্যালয়ে পরিদর্শন না করে ভুয়া পরিদর্শন দেখিয়ে থাকেন, শিক্ষক বদলী ও ডেপুটেশন দেওয়ার অজু হাতে উচ্চ হারে উৎকোচ গ্রহন করে থাকেন, তিনি অত্র উপজেলায় যোগদানের পর থেকে চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আদায় করে তা আত্মসাৎ করেন, বিলম্বে উপস্থিত ও অনুপস্থিত শিক্ষকের নিকট হতে চাকুরীর ভয়ভীতি দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহন, স্লিপ কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় (উপকরণ) আসবাবপত্র ক্রয়ের নামে সিংহ ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করে থাকেন, স্লিপ বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিকল্পনার নমুনা ছক তার নিজের মতো করে মাত্র ৫০ টাকায় কম্পোজ করে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ১ হাজার টাকা করে কৌশলে গ্রহন করে, কাপ স্কাউট প্রতিজ্ঞা আইন ও মটো ৩ থেকে ২ ফুট একটি ব্যানার যা ১ শত টাকায় তৈরী করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিকট ৫ শত টাকা করে ক্রয়ে বাধ্য করেন, এসএমসি গঠনের ব্যায় ভার বহনের নামে প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত উৎকোচ গ্রহন করেছেন, প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদ বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষককে দ্বাতিত্ব প্রদানের ক্ষেত্রেও শিক্ষককে উচ্চ হারে উৎকোচ দিতে বাধ্য করেন, একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি চাকুরি চুত্যির ভয়ভীতি দেখিয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করে পর্যায় ক্রমে ২০ হাজার টাকা লুফে নেন, মাসিক সমন্বয় সভায় ও অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষকদের অবহেলা ও অবজ্ঞা করে সম্মানে আঘাত হেনে উচ্চ বাচ্চ কন্ঠে গাল মন্দ করেন, সাহেদুল ইসলাম এর অন্যায় কার্যকলাপের জন্য প্রায় শিক্ষকদের সাথে পথে ঘাটে বাকবিতন্ডা হয়, তার নিজ এলাকা কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে তিনি দুষ্কৃতিকারী, মাস্তান ও দুশ্চরিত্রবান হেতু আমরা শিক্ষক শিক্ষিকাগণ চাকুরির দ্বায়ে সম্মানার্থে তার অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে চাকুরি করে আসছ্।ি
অপর দিকে উচ্চমান সহকারী আবুল হাশেম এর বিরুদ্ধেও শ্রান্তি বিনোদন, বিভিন্ন অজুহাতে ঘুষ নেয়া, একিভুত ট্রেনিংয়ে প্রতি প্রতিষ্ঠানে ২ জন শিক্ষককে নেওয়ার কথা থাকলেও না নিয়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের বিনিময়ে ৩/৪ জন করে শিক্ষক নেন, ডিপিও অফিসের কোন তথ্য সংরক্ষন করেননা এবং আত্বিয়তার লেজ ধরে চ্ইেন মেইন্টিন করেন, তার কাজের সার্র্র্ভিস হালফিল করা হয়না, অফিসের কোন তথ্য হালফিল করা হয় না, দ্বিতীয় ধাপে ৭ টি প্রতিষ্ঠানে বেতন বিল ধরাতে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা উৎকোচ চেয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি শাহিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম, সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ শান্ত, উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন, সদস্য আনিছুর রহমান, সদস্য জসিম উদ্দিন, সদস্য শহিদুল ইসলামসহ অনেকে গিয়ে অভিযোগ দেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সাহেদুল ইসলামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকরাই আমার সাথে অন্যায়, অত্যাচার ও অনিয়ম করেছে এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ জন্য সহকারী শিক্ষকরাও আমার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায়কে অভিযোগ বিষয়ে বললে তিনি বলেন, আমি উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি এবং এবিষয়ে ডিডি ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জানিয়েছি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফরহাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি এবং সমাধানের লক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার ব্যবস্থা করছি।
এমতাবস্থায় এহেন নীতিভ্রষ্ট, হাজারো অন্যায় অত্যাচারকারী অত্র উপজেলার নিরীহ, সহজ সরল, মহৎ শিক্ষকদের নিজ দায়িত্বসমুহ সঠিকভাবে পালন করার সুযোগ দানে উপজেলার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় ও শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহেদুল ইসলামকে জরুরী ভিত্তিতে তাকে অন্যত্র বদলী করা অত্যাবশ্যক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 18 =