চট্টগ্রাম: পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকার ঘণ্টাখানেক আগে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ৫০ এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাঁস হওয়া এসএসসির পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র মুঠোফোনে দেখছিলো। এ সময় ওই বাসে উঠে পড়েন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টার দিকে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পাশেই বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।
সৈয়দ মোরাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাওয়া স্কুল কেন্দ্রের পাশে বাসে বসে বেশ কয়েকদিন থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে কিছু পরীক্ষার্থী জটলা বেঁধে মুঠোফোনে কি যেন দেখে। বিষয়টি আমার নজরে আসে। এরপ্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিষয়টি আমি নজরদারিতে রাখি। ‘
তিনি আরও বলেন, সকাল নয়টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পাশে এসে থামে। ওই বাস বাওয়া স্কুল কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য পটিয়া আইডিয়াল স্কুলের ৫৬ জন পরীক্ষার্থীকে নিয়ে আসে। সঙ্গে ছিলেন ওই স্কুলের এক শিক্ষিকাও। বাস থামার পরপরই বাসের ভেতরেই ৬/৭ জন করে জটলা বেঁধে মুঠোফোনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আসা পদার্থবিজ্ঞানের খ সেটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেখছিল। সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই বাসে অভিযান চালিয়ে আটটি স্মার্টফোন উদ্ধার করি। ওই সময় পরীক্ষা শুরু হচ্ছিল। পরে মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হচ্ছে। ‘
একটি শক্তিশালী চক্র প্রশ্নফাঁসে জড়িত রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’ যেখানে শিক্ষকও জড়িত রয়েছে বলেও জানান সৈয়দ মোরাদ আলী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পটিয়া আইডিয়াল স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই প্রশ্ন পেয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হলেই তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।